মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

আজ বিশ্ব ভালোবাসার দিন


রামু নিউজ ডটকম. সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। এক সাহসী ধর্মযাজকের নাম। রোম সম্রাট ক্লদিয়াসের নির্দেশ অমান্য করেছিলেন তিনি। যার জন্য তাকে কারাবরণ করতে হয়েছিলো। আর কারাগারে তিনি যে কাজটি করেছিলেন তা তাকে মৃত্যুর কোলেই টেনে নিয়েছিলো। কিন্তু এই ধর্মযাজক তার সে কাজ দিয়েই গোটা দুনিয়ার মানুষের স্মৃতিতে চিরঞ্জীব হয়ে রইলেন। তিনিই হয়ে রইলেন ভালোবাসার প্রতীক। কারণ সেন্ট ভ্যালেন্টাইন যা কিছু করেছিলেন তা সবই ভালোবাসার জন্য। ১৭৪৩ বছর আগের কথা। ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিলো ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদ- কার্যকর করার দিন। বেদনাময় সেই দিনটিই হয়ে থাকলো ভালোবাসা প্রকাশের দিন হিসেবে। কী করেছিলেন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন? ক্লদিয়াসের জন্য অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ। কিন্তু ভ্যালেন্টাইনের জন্য তা ছিলো খুবই মানবিক একটি দায়িত্ব পালন। অত্যাচারী হিসেবে স¤্রাট দ্বিতীয় ক্লদিয়াস ইতিহাস-কুখ্যাত ছিলেন। সে ইতিহাস আরো কলঙ্কিত হলো যখন তিনি ঘোষণা দিলেন, ‘রাজ্যের কোনও যুবক আর বিয়ে করতে পারবে না।’ স¤্রাটের মতে, বিয়ে করলে যুবকরা সেনাবাহিনীতে বীরত্ব দেখাতে পারে না। কিন্তু ধর্মযাজক ভ্যালেন্টাইন ক্লদিয়াসের সে নির্দেশ ভাঙলেন। গোপনে বিয়ে করিয়ে দিলেন একদল তরুণ-তরুণীর। ভালোবাসার প্রতি সম্মান দেখাতেই স¤্রাটের নির্দেশকে অমান্য করলেন এই ধর্মযাজক। কিন্তু ক্লদিয়াসের রোষাণল থেকে মুক্তি পেলেন না তিনি। গ্রেফতার করা হলো তাকে। দেওয়া হলো মৃত্যুদ-। এদিকে জেলখানায় বসে মৃত্যুর প্রহর গুনতে গুনতেই ভ্যালেন্টাইন নিজেই প্রেমে পড়ে গেলেন কারারক্ষকের সুন্দরী কন্যার। যা তার মৃত্যুদ- দ্রুত কার্যকর করাকেই ত্বরান্বিত করলো। ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদ- কার্যকর করার দিন। কিন্তু ভালোবাসার জয়গান যার প্রাণে বাজে সারাক্ষণ সেই মানুষটি কী থেমে থাকতে পারেন। মৃত্যুর দুয়ারে এগিয়ে যাওয়ার আগে প্রেমিকাকে লিখলেন এক অনবদ্য প্রেমের চিঠি... ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইন। সে চিঠিই হয়ে থাকলো ভালোবাসা প্রকাশের অবিস্মরণীয় উদাহরণ। আর ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি হয়ে থাকলো প্রেম নিবেদনের দিন। মন দেওয়া-নেওয়ার দিন হিসেবে বিশ্বের দেশে দেশে দিনটি পালন করে প্রেমিক যুগলেরা। দিনটি পরিচিতি পায় ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে।

রামুতে সড়ক দূর্ঘটনায় বৃদ্ধের মৃত্যু


নীতিশ বড়ুয়া. কক্সবাজারের রামু উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের তেচ্ছিপুল নামক স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় ফরুখ আহমদ (৭০) নামের এক বৃদ্ধের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গত ১২ ফেব্র“য়ারী সন্ধ্যায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, উপজেলার তেচ্ছিপুলের মৃত হাজ্বী মুজিবুর রহমানের ছেলে ফরুখ আহমদ প্রতিদিনের ন্যায় মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষে মহাসড়ক পার হয়ে বাড়ি ফেরার পথে দ্রুতগতির মাহিন্দ্র টেক্সি (অন টেষ্ট) ধাক্কা দিলে সে গুরুত্বর আহত হয়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ফরুখ আহমদকে মৃত ঘোষনা করে। ফরুখ আহমদ রামু চৌমুহনী স্টেশনের আলী সওদাগরের পিতা। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মেঘ’র দায়িত্ব এখন প্রধানমন্ত্রীর


বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসীর হাতে নিহত সাংবাদিক দম্পতি মেহরুণ রুনি ও সাগর সরওয়ারের একমাত্র শিশুপুত্র মেঘ এর শিক্ষা ও উন্নত জীবন গড়ে তোলার দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি বলেছেন ‘যতদিন আমি জীবিত আছি মেহরুন রুনি ও সাগর সরওয়ারের সন্তানের শিক্ষাসহ উন্নত জীবন গড়ে তোলার জন্য যা যা করার দরকার তার সবই আমি করবো।’ সোমবার সন্ধ্যায় মেঘকে সঙ্গে নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান মেহরুন রুনির মা নুরুনাহার মির্জা ও সাগর সরওয়ারের মা সালেহা বেগম। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সদ্য স্বজন হারানো এই তিন জন গণভবনে পৌঁছালে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী তাদের জড়িয়ে ধরে সমবেদনা জানান। সাগর ও রুনির দুই মা তাদের সন্তানদের হত্যার বিচার দাবি করেন। প্রধানমন্ত্রী এসময় হত্যার জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের প্রতিশ্রুতি পুনব্যর্ক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘স্বজন হারানোর বেদনা কেমন আমি তা জানি। আমরা দুই বোন একসঙ্গে বাবা-মা-ভাইদেরসহ পরিবার পরিজন হারিয়েছি।’ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। শাকিল ছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা-লীর সদস্য আমীর হোসেন আমু ও পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...