রামু নিউজ রিপোর্র্ট ঃ
আইন অমান্য করে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে এলডিপির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমেদ বীর বিক্রমকে স্বশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। বুধবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এক আইনজীবি দৈনিক ডেইলি স্টারের অলিস ক্যাসল অন বিচ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে কোর্ট এ আদেশ দেন।
প্রকাশিত খবরটিতে বলা হয়, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ পরিবেশ আইন লংঘন করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঝাউবনের মধ্যে চারতলা একটি স্থাপনা নির্মাণ করছেন। ওই স্থানটি পরিবেশগত বিপন্ন এলাকার (ইসিএ) মধ্যে পড়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ (২০১০ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী ওই এলাকায় সকল ধরনের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ।
প্রতিবেদনের আরো বলা হয়, আইপিএল স্যান্ডক্যাসল নামে ওই স্থাপনা নির্মাণে অলি আহমেদ ইমপালস প্রোপার্টিজ নামের একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে ওই ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়।
খবরটি দেখে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও মো: জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ কোনো আবেদন ছাড়াই স্বউদ্যোগে (সুয়োমটো) অভিযোগ আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন। আগামী ২৮ ফেব্রয়ারী আদালতে হাজির হয়ে স্থাপনা নির্মানের কারন ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে ওই স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং নির্মিত স্থাপনা ভেঙে ফেলতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
১২ দিনের মধ্যে পরিবেশ সচিব, ভূমি সচিব, কক্সবাজার জেলার প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওই স্থানে আর কোনো নির্মাণ কাজ যাতে না চলতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে প্রতিবেদনটি পড়ে শোনান অ্যাডভোকেট ইকবাল কবির লিটন। শুনানিতে অংশ নেন, অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন।