শুক্রবার, ৯ মার্চ, ২০১২

সত্যপ্রিয় মহাথেরর হিরক জয়ন্তী উৎসব ও বৌদ্ধ মহা সম্মেলনে ড. গওহর রিজভী.... রামুর অসাম্প্রদায়িক চেতনা সত্যিই মুগ্ধ করেছে

॥সুনীল বড়ুয়া॥    দেশ বিদেশের প্রায় একহাজার বৌদ্ধ ভিক্ষু ও শ্রামন এবং হাজার হাজার পূণ্যার্থীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে কক্সবাজারের রামু উপজেলায় গতকাল শুক্রবার সম্পন্ন হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৌদ্ধদের সবোর্চ্চ ধর্মীয়গুরু বৌদ্ধ সাধক পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরর দুইদিন ব্যাপী হিরক জয়ন্তী উৎসব ও বৌদ্ধ মহাসম্মেলন। শিশু-কিশোর, আবাল বৃদ্ধবনিতার অংশগ্রহনে এ উৎসব মহা মিলন মেলায় পরিণত হয়।
 এ উৎসবকে ঘিরে রামুকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। প্রায় ত্রিশটি বৌদ্ধপল্লীতে বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্টিত গতকাল শেষ দিনে উৎসবে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের বৌদ্ধদের সবোর্চ্চ ধর্মীয়গুরু ড. ধর্মসেন মহাথের। অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। স্বাগত বক্তব্য দেন, উদযাপন পরিষদের নির্বাহী সভাপতি তরুন বড়–য়া।
 অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিরক জয়ন্তী স্মারক ‘আর্য্যসত্য’র মোড়ক উন্মোচন করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বৌদ্ধপূরাকীর্তির জন্য ঐতিহাসিক  জনপদ রামু উপজেলা। এখানকার মুসলিম,হিন্দু,বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যে অসামম্প্রদায়িক চেতনা সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। অচিরেই রামু সীমা বিহার এবং রামুর প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন কক্সবাজারবাসী একজন পূণ্য পুরুষকে সম্মানিত করে নিজেরাই ধণ্য হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জয়ন্তী নায়ক সত্যপ্রিয় মহাথেরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি রামুবাসীর ভালবাসা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। 
বিশেষ অতিথি ছিলেন, সোনালী ব্যাংকের পরিচালক সাইমুম সরওয়ার কমল,রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, সিভিল সার্জন ডাঃ কাজল কান্তি বড়ুয়া ,কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, ফ্রান্সের কে আনন্দ মহাথের, ভিক্ষু ইউ কুমারা, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান অজিত রঞ্জন বড়ুয়া, বাংলাদেশ বুদ্ধিষ্ট ফেডারেশনের সভাপতি বিশ্বপতি বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক অশোক বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সিনিয়র সহসভাপতি পি আর বড়ুয়া, মহসচিব ড.প্রণব কুমার বড়ুয়া,ভারতের কোলকাতার বৌদ্ধ ধর্মাংকুর সভার সাধারণ সম্পাদক হেমেন্দু বিকাশ চৌধুরী,রিসো কোসেই কাই বাংলাদেশের ব্রাঞ্চ মিনিষ্টার মিসিউকি আরিতোমি প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে হিরক জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রিয়রতœ মহাথের ও মহাসচিব ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় বক্তব্য দেন। অনুষ্টান সঞ্চালনায় ছিলেন ব্যারিষ্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া ও অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ুয়া।
 এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে রামু সীমা বিহার প্রাঙ্গনে পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরর জীবন ভিত্তিক আলোক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ মোঃ ছাইদুল হক। তিনটায় বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা । শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল। এ সময় অপূর্ব কারুকাজে সাজানো স্বর্গের কল্পরথে সত্যপ্রিয় মহাথেরকে তুলে নানা বাদ্যে তালে তালে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। 
শুক্রবার বিকালে অধ্যক্ষ জিতেন্দ্র লাল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ‘থেরবাদ বৌদ্ধধর্ম প্রতিষ্টায় দক্ষিণ চট্টলার ভিক্ষুসংঘের অবদান’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্টিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ডাঃ প্রভাত চন্দ্র বড়–য়া। স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট সুনীল বড়–য়া। আলোচনায় অংশ নেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যভাষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. জিনবোধি ভিক্ষু, ভারতের বুদ্ধগয়া আন্তজার্তিক সাধনা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ড.বরসম্বোধি থের,  চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. দীপংকর শ্রীজ্ঞান বড়ুয়া, অধ্যাপক জয়সেন বড়ুয়া, চট্টগ্রাম কলেজের পালি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অর্থদর্শী বড়ুয়া, জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক জগন্নাথ বড়ুয়া, ও অ্যাডভোকেট রাখাল চন্দ্র বড়ুয়া।  শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, অধ্যাপক অরবিন্দু বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি সুপ্ত ভূষন বড়ুয়া, বাবুল শর্মা, বোধিমিত্র বড়ুয়া, বংকিম বড়ুয়া,সুবীর বড়ুয়া বুলু, অরূপ বড়ুয়া কালু,অলক বড়ুয়া ও দুলাল বড়ুয়া। সেমিনার সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক সুনীল বড়ুয়া।
হিরক জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি প্রিয়রতœ মহাথের ও  মহাসচিব ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় বলেন, সারা বাংলাদেশের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পূজনীয় ধর্মীয়গুরু পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের। এ উৎসবকে ঘিরে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে রামুর প্রায় ত্রিশটি বৌদ্ধপল্লীতে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। অনুষ্টানে মিয়ানমার, ভারত, অষ্ট্রেলিয়া,নেপাল, শ্রীলংকা,থাইল্যান্ড,ফ্রান্সসহ দেশবিদেশের প্রায় একহাজার বৌদ্ধ ভিক্ষু ও শ্রামন অনুষ্টানে অংশ নেন। শেষদিনে সারা দেশের লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছে।

বোধিরত্ন পত্রিকার হীরক জয়ন্তী সংখ্যার মোড়ক উম্মোচন করলেন ড. ধর্মসেন মহাথের

॥অর্পন বড়ুয়া্॥  ক্সবাজারের একমাত্র বৌদ্ধ ধর্মীয় পত্রিকা ‘বোধিরত্ন’ এর ৫ম (ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের’র হীরক জয়ন্তী) সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। জানা গেছে ৯ মার্চ শুক্রবার সকালে রামু হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের’র হীরক জয়ন্তী উৎসবে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ পত্রিকার মোড়ক উম্মোচন করা হয়। মোড়ক উম্মোচন করেন সভার সভাপতি বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ড. ধর্মসেন মহাথের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেরুল বাড্ডা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ ও সৌগত সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, বোধিরত্ন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক দুলাল বড়ুয়া, সম্পাদক গণমাধ্যমকর্মী অর্পন বড়ুয়া এবং বার্তা সম্পাদক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু। উল্লেখ্য বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সাবেক সভাপতি পন্ডিত প্রবর সত্যপ্রিয় মহাথের’র জাতীয় হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে এ পত্রিকা’র ৫ম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। মোড়ক উম্মোচনের সময় ড. ধর্মসেন মহাথের বলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় পত্রিকা প্রকাশ একটি উত্তম কাজ এবং বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার-প্রসারে এই পত্রিকা অনন্য অবদান রাখবে। প্রধান সম্পাদক দুলাল বড়ুয়া বলেন বৌদ্ধ সমাজের সম্ভাবনার কথা পাঠক সমাজে তুলা ধরার মহান ব্রত নিয়ে ‘‘প্রজ্ঞার অন্বেষায় অবিরাম যাত্রা’’ এ শ্লোগানকে ধারণ করে কক্সবাজারের একমাত্র বৌদ্ধ ধর্মীয় পত্রিকা বোধিরতœ প্রকাশিত হয়ে আসছে। তাদের এ অগ্রাযাত্রাকে আরও বেশী বেগবান করার জন্য তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। চট্টগ্রাম থেকে বোধিবার্তাসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মীয় পত্রিকা প্রকাশিত হলেও কক্সবাজারে এর আগে কোন বৌদ্ধ ধর্মীয় পত্রিকা ছিল না। বোধিরতœ পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হওয়ায় কক্সবাজার জেলার বৌদ্ধ সমাজের লোকজন পত্রিকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। এ পত্রিকার ধারাবাহিকতা ধরে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অভিজ্ঞ মহল।

রামুতে অবশেষে মারা গেল প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবক

॥রামু নিউজ রিপোর্ট॥  রামুতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গর্জনিয়ায় জায়গা সংক্রান্ত বিরোধীদের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আমীর হোসেন ৫ দিন চিকিৎসাধীন  থাকার পর অবশেষে মারা গেছে। জানা গেছে ৩ মার্চ রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউণিয়নের থিমছড়ি মির্জা ঘোনা নামক স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয় আব্দুর গফুরের পুত্র নিহত আমীর হোসেন (১৮ কে বেদম মারধর করা হয়েছিল । ৭ মার্চ রাত ৩ টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত আমীর হোসেন মারা যান।  রামু থানায় এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বি চৌধুরীকেও পাচ্ছেন খালেদা

॥ রামু নিউজ ডেস্ক॥   অবশেষে বিএনপির সাবেক মহাসচিব, সাবেক রাষ্টপতি ও বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে (বি চৌধুরী) পাচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন আগামী ১২ মার্চ মহাসমাবেশ মঞ্চ থেকে ঘোষণা হতে যাওয়া সম্প্রসারিত নতুন জোটের শরিক হচ্ছে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দল বিকল্পধারা বাংলাদেশ।

এ ব্যাপারে শুক্রবার বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

এদিকে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে ও বিকল্প ধারা সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মাহি বি. চৌধুরী খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশান কার্যালয়ে দেখা করেছেন। রাত সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় সোয়া একটা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার সঙ্গে একান্তে কথা বলেন মাহি বি চৌধুরী।

রাত দেড়টায় মাহি বি চৌধুরী বাংলানিউজের কাছে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা শিকার করেন।

জোটে যাচ্ছেন কি না জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (শুক্রবার) দলের চেয়ারম্যান (বি চৌধুরী) সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত বলবেন।’

প্রসঙ্গত, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচেনর দাবিতে চলমান আন্দোলন জোরদার এবং মহাজোট সরকারকে মোকাবেলায় গত বছর জুন মাসে খালেদা জিয়া জোট সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেন।

এ উপলক্ষ্যে ওই বছর ১২ জুন প্রথম বি চৌধুরীর কাছে খালেদা জিয়ার বার্তা নিয়ে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর বেশ কয়েকবার বিএনপি ও বিকল্প ধারার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কতক জায়গায় মতৈক্যে পৌঁছাতে না পেরে জোটের বাইরে থেকেই বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সঙ্গে যুগপৎ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয় বিকল্পধারা।

কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ভিত্তিক মাহি বি চৌধুরীর সংগঠন ব্লু ব্যান্ডের কার্যক্রমের ওপর সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন সম্প্রসারিত জোটে আসার ব্যাপারে আগ্রহ বাড়তে থাকে বিকল্প ধারার।

তামিম জাতীয় দলে

॥রামু নিউজ স্পোর্টস ডেস্ক॥    অবশেষে তামিম ইকবালকে এশিয়া কাপের দলে নেওয়া হয়েছে। বিসিবি সভাপতিকে অনেক বুঝিয়ে রাজি করানো গেছে বলে জানান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। বৃস্পতিবার রাতে হোটেলেও উঠেছেন তামিম।
৭২ ঘণ্টার নাটকের পর তামিমের এশিয়া কাপে খেলা নিশ্চত হয়। সোমবার রাতে দল ঘোষণার আগে তামিমকে অতিরিক্ত তালিকায় পাঠিয়ে দেন বিসিবি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল। ওই রাতে ১৫ সদস্যের পরিবর্তে ১৪ জনের দল ঘোষণা করে বিসিবি। এর প্রতিবাদে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন আকরাম খান।
গত দুই দিন তামিমের ফিটনেস পরীক্ষা চলে। টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে ফিট ঘোষণা করলেও বৃহস্পতিবার বিকেলে বিসিবি সভাপতি এসএমএসের মাধ্যমে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে জানায় তামিম খেলবে না, ১৪ জনের দল থাকবে এশিয়া কাপে। উপায়ান্তর না দেখে নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন সিরাজ বিসিবি সভাপতিকে বোঝাতে চেষ্টা করেন এবং শেষপর্যন্ত তারা সফল হন।

চাচীর প্রেমে ভাতিজা : অবশেষে পলায়ন

॥ রামু নিউজ ডেস্ক॥   সৌদি প্রবাসী স্বামীর অনুপস্থিতে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে চাচী ভাতিজাকে নিয়ে এক অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর সংবাদ পাওয়া গেছে। চাচী নিয়ে ভাতিজা পলায়নের এর চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে টেকনাফ উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া উত্তর শীলখালী গ্রামে। মা ও জেটাতো ভাই কে অভিযুক্ত করে গতকাল ৮মার্চ পুত্র বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন আনোয়ারুল ইসলাম গত ৮বছর ধরে সৌদি আরব অবস্থান করছেন। এ সুযোগে ভাতিজা আব্দুস শুক্কুরের পুত্র অবিবাহিত আব্দুল মান্নানের সাথে স্ত্রী ৪সস্তানের জননী শামেলা খাতুনের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। ক্রমে তা গভীর পর্যয়ে পৌঁছে। উক্ত ভাতিজা স্বামীর অনুপস্থিতে চাচী শামেলার বাড়ীতে আসা যাওয়া করত। আস্তে আস্তে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে গত ২৮ফ্রেরুয়ারী সকালে প্রতিবেশীর বাড়ীতে বেড়াতে যাবার বাহানা করে স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা সহ সন্তানদের ফেলে ভাতিজার হাত ধরে পালিয়ে যায়। শামেলা খাতুনের বড় পুত্র আব্দুস সাত্তার সম্ভাব্য স্থানে সন্ধান করেও মায়ের হদিস না পেয়ে গতকাল ৮ মার্চ টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার মজুমদার প্রাথমিক সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি এসআই মাসরুরুল হককে নির্দেশ দিয়েছেন। অসম পরকীয়া প্রেমের এ ঘটনা নিয়ে পুরো এলাকায় মুখরোচক আলোচনা এবং সর্বত্র তোলপাড়া চলছে।

রামুর অনন্য সংঘ পুরোধা পন্ডিত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের

॥প্রজ্ঞানন্দ শ্রামণ॥    সুমধুর শব্দ রামু নামটি জপ করতেই মনে প্রশান্তি জাগে। নামটি যেন চিরচেনা। ফঁেতখারকুল, চাকমারকুল, রাজারকুল, দক্ষিণ মিঠাছড়ি, জোয়ারিয়ানালা, কাউয়ারখোপ, ইদগড়, খুনিয়াপালং, গর্জনিয়া, রশিদনগর, কচ্ছপিয়া এই এগারটি ইউনিয়ন নিয়ে রামু থানা বা উপজেলা। শিক্ষা-দীক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, আধুনিক সুযোগ সুবিধার বিচারে সকল ইউনিয়ন সমান নয়। আবার প্রাচীন পুরাকীর্তি, প্রাকৃতিক নিদর্শন ও স্থাপত্য শিল্পের দিক দিয়ে ও সমান গুরুত্বপূর্ণ নয়। আলোকিত ব্যক্তির জন্মভূমি হিসেবে সকল ইউনিয়ন সমান নয়। কিন্ত প্রাচীন পুরাকীর্তি, প্রাকৃতিক অপ্রাকৃতিক নিদর্শন, ঐতিহ্য, আলোকিত ব্যক্তি যে ইউনিয়নের হোক না কেন সামগ্রিক ভাবে আমরা গর্ববোধ করি রামুবাসী হিসেবে। আবার রামুর আলোকিত ব্যক্তিবর্গ যে সম্প্রদায়ের হোক না কেন তাও আমরা রামুর জন্মজাত সন্তান হিসেবে গর্ব করি। সাথে আমাদের আরেকটা গর্ব আছে যে আমরা সম্প্রদায় সম্প্রীতির লালনভূমির মানুষ। রামুতে যুগে যুগে অনেক আলোকিত রাজনৈতিক, ধর্মীয়, আধ্যাতিœক, সাংস্কৃতিক সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ চিন্তাবিদ, বুদ্ধিজীবি ব্যক্তিবর্গ জন্ম নিয়েছেন। রামুতে জন্ম নিলেও পর তাঁরা সমগ্র দেশে আলোর দ্যূতি ছড়িয়েছেন। তাঁরা যেখানে জন্ম সেখানে পড়ে থাকেন নি। সেখান থেকে শক্ত ভিত্তিতে দাঁিড়য়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছেন। সমাজ, দেশ, মানবতার কল্যাণে একাগ্রভাবে কাজ করেছেন। পুরো রামু তাদের নিয়ে গর্ব করেছে এখনো করছে এবং ভবিষ্যতে ও করবে। সংসারে প্রতিদিন অনেক মানুষের জন্ম হয়। কিন্তু সবাই আলোকিত মানুষ হয় না। তাই একজন মানুষ মারা গেলে অল্প সময়ে তার ঘাটতি পূরণ করা যায়। কিন্তু একজন আলোকিত গুণীজন মারা গেলে তার আসন শূণ্য থেকে যায় যুগ যুগ ধরে। অথচ যাঁরা এতটা দুর্লভ ব্যক্তি তাঁরা অনেক সময় আমাদের অগোচরে রয়ে যায়। আমরা তাদের চিনতে পারি না। জাতপাত, ধর্ম, সমাজ ইত্যাদির চাদর মুড়িয়ে তাদের আলাদা করে রাখি। কালান্তরে হাতশা আর গ্লানি নিয়ে তাঁরা আমাদের কাজ থেকে বিদায় নেন। পরে আমরা আপসোস করি। তাজাফুলের মালা দিয়ে মরদেহ ঢেকে রাখি; যেন মরনোত্তর স্বীকৃতি। গুনীজন বলেন
“সাগরে কত মণি মুক্তা, বাগানে কত ফুল ফোটে
কিন্তু কার খবর কে রাখে, অনাদরে তা ঝরে যায়।”

বাগানে প্রতিদিন অনেক ফুল ফুটে। কিন্তু সব ফুল তো আর গোলাপ হয় না। গোলাপের সৌরভ তো আর সব ফুলে থাকে না। ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন
“যে দেশে গুনীর সমাদর হয় না, যে দেশে গুণীর জন্ম হয় না।”

অথচ সমাজ, জাতি, দেশ কিংবা বিশ্বে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটাতে হলে যুগে যুগে সর্বত্রে গুনী মানুষের প্রয়োজন। কোন সমাজ, সম্প্রদায়, জাতি, কিংবা দেশে যত বেশি গুনীর জন্ম হয়, সেই সমাজ, সম্প্রদায়, জাতি কিংবা দেশ তত বেশি উন্নত হয়। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের কথা ভেবে দেখুন। ভারত শুধু একটি গণতান্ত্রিক দেশ নয়, এটা সর্বজাতির তীর্থধাম ও বটে। সনাতন ধর্মের প্রবর্তক, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক যুগে যুগে ভারত বর্ষে আবির্ভূত হয়েছেন এবং ভবিষ্যতে ও হবেন। এবং ভারত বর্ষ থেকে শান্তি সাম্য, মৈত্রী অহিংসা নীতি সারাবিশ্বে ছড়াবেন। অন্যান্য ধর্ম প্রবর্তকগণ ও ভারতবর্ষকে বেছে নেবেন। এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে ভারতবর্ষে গুনীর সমাদর হয়। যার কারণে ভারত বর্ষে যুগে যুগে এমন কিছু ব্যক্তির আগমন ঘটে যাঁদের কাছে পুরোবিশ্ব পদানত হয়। তাঁদের উপর ভর করে মহাভারতের মহিমা বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে। বলতে দ্বিধা নেই যে আমাদের দেশে এখনো গুনীজনের প্রকৃত পূজা হয় না। আমাদের চরম লজ্জা ও অপমান নিয়ে প্রতিবছর বুদ্ধজীবি হত্যা দিবস পালন করতে হয়। এখানে এমন কিছু মানুষের জন্ম হয়  দেশকে অধোমূখী করে রাখতে তারাই যথেষ্ট । বাইরের কোন অপশক্তির প্রয়োজন নেই । সত্য কথা লিখলে হাত কেটে নেওয়া হয়। মূখ ফোটে সত্য কথা বললে গলা কেটে নেওয়া হয়। আর সত্যের পক্ষে বেশি মাতামাতি করলে জীবনের ঢাল থেকে ছেটে ফেলে দেওয়া হয়। ধান ভানতে শিবের গীত করার কোন বালাই নেই। যাঁকে কেন্দ্র করে আমার এ প্রবন্ধ, তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় রামুর জন্মজাত কীর্তিমান পুরুষ পন্ডিত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের। তাঁর বর্ণাঢ্য নন্দিত জীবনের আতœকাহিনী লিখতে হলে এক জোড়া পাকা হাত প্রয়োজন। কিন্তু যে অধম এ প্রবন্ধ শুরু করেছে তার হাত অতি কাচা। যার ফলে ধৈর্য্যশীল সুধী পাঠকবৃন্দ এ প্রবন্ধ পাঠে যতটুকু মনের খোরাক পাওয়া প্রয়োজন ততটুকু পাবেন না, তা অকপটটে স্বীকার করছি। ১৯৩০ সালের ১০ জুন রামু উপজেলাধীন মেরংলোয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন পুণ্যাভিসংস্কার সম্পন্ন এক পুণ্যবান সত্ত্ব বিধুভূষণ বড়ুয়া। সেই বিধুভূষণ বড়–য়া পরে ত্যাগদীপ্ত ভিক্ষুজীবনব্রত গ্রহণ করে আজকের প্রথিতযশা সাংঘিক পুরোধা, ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের’র আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তাঁর পিতা প্রয়াত হরকুমার বড়ুয়া এবং মাতা প্রেমময়ী বড়ুয়া। পারিবারিক জীবনে   তাঁরা ছিলেন তিনভাই Ñ রমনী বড়ুয়া, শ্রীমন্ত বড়ুয়া এবং বিধুভূষণ বড়ুয়া। তিনি মাত্র বিশ বছর বয়সে বুদ্ধশাসনে প্রব্রজ্যা বা শ্রামণ্য ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি একই বছরে শুভ উপসম্পদা বা ভিক্ষুজীবন গ্রহণ করেন। তাঁর গুরু ছিলেন ভারত-বাংলা উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংঘমনীষা ৬ষ্ঠ সংগীতিকারক, ত্রিপিটক বিশোধক, মহাপ-িত বিনয়াচার্য আর্যবংশ মহাথের মহোদয়। ভিক্ষুধর্ম গ্রহণ করার বছর চারেক পর ১৯৫৪ সালে তিনি উচ্চতর ধর্মশিক্ষা বা ত্রিপিটক শিক্ষা লাভের জন্য মিয়ানমার (বার্মা) গমণ করেন। সেখানে তিনি প্রায় এক দশক সময়কাল পর্যন্ত বিভিন্ন পন্ডিত, প্রাজ্ঞ, সাধক এবং স্বনামধন্য সংঘমনীষার সান্নিধ্যে ত্রিপিটক শাস্ত্র অধ্যয়ন এবং বিদর্শন ভাবনা অনুশীলন করেন। পরে রামু বাসীর একান্ত অনুরোধে তিনি ১৯৬৪ সালে এদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। নিজ জন্মভূমি রামুতে এসেই তিনি রামু সীমা বিহারের দায়িত্ব নেন। সেই থেকে অদ্যাবধি প্রায় পাঁচ দশক সময় ধরে তিনি রামু সীমা বিহারে অবস্থান করছেন। স্বদেশে প্রায় ৫০টি বছর তিনি হেলায় ধূলায় কাটিয়ে দেননি। এই পঞ্চাশ বছরে তিনি সমাজ, ধর্ম, সম্প্রদায়, জাতি এবং দেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন। স্বদেশে ফেরার প্রায় সাত বছরের গোড়ায় দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। তিনি প্রাণভয়ে ভীত হয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন নি। তিনি গ্রামের সাধারণ মানুষদের কথা ভেবে বিহারে থেকে যান। পাকবাহিনী জৈনক সৈন্য বিহারে আসলে তিনি তাদের সাথে সরাসরি কথা বলেন। এমনকি রামুর সাহসী সন্তান শশাংক বড়ুয়াকে যখন পাকবাহিনী নির্মম ভাবে হত্যা করে তখন তিনি অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রয়াত শশাংক বড়ুয়ার অন্ত্যেষ্ঠিক্রিয়া সম্পাদন করে। সেই বিপদের সময় তিনি কেবল বৌদ্ধদের পাশে ছিলেন না; তিনি হিন্দু, মুসলিম সবাইকে বিহারে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তিনি এখনো মুক্তিযোদ্ধের অনেক অভিজ্ঞতার কথা অকপটে বলে যান। বর্তমান সময়ে কক্সবাজার জেলায় অনেক বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘ দেখা যায়। বলতে পারি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিক্ষুসংঘ কক্সবাজার অঞ্চলে অবস্থান করছেন। কিন্তু তাঁর সময়ে এতগুলো ভিক্ষুসংঘ ছিল না। তাই তিনি রামু, চকরিয়া, মানিকপুর, মহেশখালী, উখিয়া সর্বত্র বিচরণ করতেন সমাজ ও জাতির কল্যাণে। আগে যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটা উন্ন ত ছিল না। দীর্ঘ পথ হেটে অতিক্রম করতে হত। তিনি কখনো রামু থেকে পায়ে হেটে উখিয়া, কখনো চকরিয়া, কখনো মানিকপুর পর্যন্ত গিয়েছেন। অনেক কষ্ট স্বীকার করে ধর্ম প্রচার করেছেন। এইভাবে চলতে যাকে দীর্ঘবছর। তিনি কক্সবাজার অঞ্চলের বৌদ্ধ সমাজকে রীতিমত নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। পরে তিনি কক্সবাজার জেলার আঞ্চলিক সংঘনায়ক এর স্বীকৃতি লাভ করলেন। তাঁর নীতি-আদর্শ, শীল, বিনয়, জ্ঞান, গরিমা, প্রজ্ঞা-মেধা, কর্ম প্রতিভার বিচারে তাঁকে বাংলাদেশী বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সর্বোচ্চ সুপ্রাচীন ধর্মীয় সাংঘিক সংগঠক বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতির দায়িত্বভার দেওয়া হয়। কক্সবাজার অঞ্চলের তিনিই একমাত্র বড়–য়া বৌদ্ধ ভিক্ষু যিনি আঞ্চলিক সংঘনায়ক এবং সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি হতে পেরেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু। তিনি এমন এক আদর্শ বৌদ্ধ ভিক্ষু যিনি বিনয়ের সাথে গভীর সম্পর্ক রক্ষা করে স্বীয় ভিক্ষু জীবন অতিবাহিত করছেন। তিনি একাধারে সুবক্তা, লেখক, সংগঠক এবং আন্তর্জাতিক মানের রামুর এক অনন্য প্রতিভা। তিনি স্বদেশে যেমন শ্রদ্ধায় পূজিত ও বরিত হন; তেমনি স্বদেশের সীমানার বাইরে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক পরিসরে ও রয়েছে তাঁর যথেষ্ট পূজা ও সৎকার। এপর্যন্ত তিনি শ্রীলংকা, মায়ানমা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, ভারত, নেপাল, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি রাষ্ট্র ভ্রমণ করেছেন। ভ্রমণকালে তিনি সেখানে অনন্য সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি ২০০৪ সালে নয়া দিল্লীতে ভারত সরকার কর্তৃক আয়োজিত International Conclave On Buddhaism And Spiritual Tourism শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে বাংলাদেশের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি প্রতিনিধি দলের সাথে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রিত হয়ে সংবর্ধিত হন এবং প্রেসিডেন্ট ড. এ.পি.জে আব্দুল কালাম আজাদ কর্তৃক উপহার স্বরূপ সম্মাননা প্রাপ্ত হন। ২০০৫ সালে মায়ানমা অনুষ্ঠিত World Buddhist Summit  এ ৪সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি সহ বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০০৭ সালে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত United Nations Day Of Vesak  এ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অংশ গ্রহণ করেন এবং ২০০৭ সালে সিঙ্গাপুরের চাইনিজ বৌদ্ধদের কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেন ্এবং তথায় মানবতাবাদী বৌদ্ধ সংগঠন Buddhist  Compassion Relief TZU Chi Foundation, Singapore Chapter  এর সাথে মিলিত হন। ত্রিপিটক সাহিত্যের উপর তাঁর অগাধ পা-িত্যের স্বীকৃতি সরূপ ২০০৩ সালে মায়ানমা সরকার তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্মানের কায়দায় ‘অ¹মহাসদ্ধম্মজোতিকধজ’ (অগ্রমহাসদ্ধর্মজ্যোতিনিশান) উপাধি প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি স্বদেশে বিদেশে বিভিন্ন বিরল সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। জন্মভূমি রামু তথা সমগ্র দেশকে বারবার গর্বিত করেছেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৮২ বছর। জীবনের এই বিরাশিটি বসন্তকে তিনি সাজিয়েছেন শীল, বিনয়, প্রজ্ঞা এবং সমাধির আলপনায়। আজ তাঁর হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠান। পুরো দেশে হৈচৈ পড়ে গেছে। অদ্য তিনি জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ কর্তক সম্মানিত হবেন। তিনি সবার মাঝে অনন্তকাল ধরে জেগে থাকবেন। আজকের এই শুভ মাহেন্দ্রক্ষণে আমি গুরুদেবের নিরাময় সুদীর্ঘায়ু কামনা করছি।

জয়তু সত্যপ্রিয় মহাথের
জয়তু হীরক জয়ন্তী।

চকরিয়ার প্রবাসীসহ সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪

॥রামু নিউজ ডেস্ক॥  সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের খামিস মোশায়েত এলাকায় তরিব রোড নামক স্থানে দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে চকরিয়ার ৩জন সহ ৪ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টা) দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, কর্মস্থল থেকে ‍গাড়িতে (পিকআপ) ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে তারা নিহত হয়। নিহত তিনজনের বাড়ী কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় ও অন্যজনের বাড়ি ঢাকায়। নিহতরা হচ্ছেন, চকরিয়ার পুর্ব বড়বেউলা গ্রামের মৃত আমদুস সোবহানের ছেলে নূর মোহাম্মদ (৪৫), সাহারবিল গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আবু সৈয়দ(২৫), চিকন গাটা গ্রামের কামরুল ইসলাম(৪২)। চতুর্থ জন ঢাকার গাড়িচালক হাসান (৪০)। তাদের লাশ খামিস মোশায়েতের আল মাদানি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।


আজ ৮মার্চ রামুতে পন্ডিত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের'’র হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠান

॥প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু॥   আজ ৯ মার্চ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংঘমনীষা পন্ডিত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের মহোদয়ের হীরক জন্ম জয়ন্তী অনুষ্ঠান। অনেক প্রস্তুতি, অনেক আয়োজনের হাত ধরে অবশেষে রামুবাসীর প্রাণের হীরক জয়ন্তী   বর্ণিল অনুষ্ঠান সূচীর মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হতে চলেছে। দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান সূচীর মধ্যে আজ ৯ মার্চ সমাপনী দিবসে রয়েছে সকালে বুদ্ধপূজা, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন, সংঘদান, পঞ্চশীল গ্রহণ। দুপুরে রয়েছে হীরক জয়ন্তী নায়ক পন্ডিত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের’র প্রতি সম্মাননা জ্ঞাপন, আলোচনা সভা ও বৌদ্ধ মহাসম্মেলন। সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু মহামান্য সংঘরাজ ড. ধর্মসেন মহাথের। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মি. দীপংকর তালুকদার এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রী মি. বীর বাহাদুর এমপি, কক্সবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক জনাব মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, সাংসদ জনাব আব্দুর রহমান বদি, সাংসদ জনাব লুৎফর রহমান কাজল, মহিলা এমপি অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জয়নুল বারী, পুলিশ সুপার জনাব সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সোনালী ব্যাংক লি: পরিচালক মহাজোট প্রার্থী জনাব সাইমুম সরওয়ার কমল, সিভিল সার্জন ডা. কাজল কান্তি বড়ুয়া, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অধ্যক্ষ মোস্তাক আহম্মদ, অধ্যক্ষ বোধিরঞ্জন বড়ুয়া, শিল্পমন্ত্রী দীলিপ বড়ুয়ার সহধর্মীনী অধ্যাপিকা তৃপ্তি রাণী বড়ুয়া, রামু থানা অফিসার্স ইনচার্জ জনাব নজিবুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবুল মনসুর চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ট্রাস্টি স্বজন কুমার তালুকদার, ট্রাস্টি সনত তালুকদার প্রমূখ আরো অনেক স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ, বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ সহ বিদেশী কুটনৈতিকবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। আন্তর্জাতিক মানের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য উদযাপন পরিষদ সবাইকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতির ৮৪তম জন্মদিন শুক্রবার

॥ রামু নিউজ ডেস্ক॥     রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ৮৪তম জন্মদিন শুক্রবার। ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি শপথ নেন। 

নারী নেত্রী এবং মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমান ছিলেন জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জনসভায় অংশ নেওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের নৃশংস গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমান গুরুতর আহত হয়ে দুই দিন পর মারা যান। জিল্লুর রহমান এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক।

জিল্লুর রহমানের বাবা প্রয়াত মেহের আলী মিয়া ছিলেন একজন আইনজীবী। তিনি তৎকালীন ময়মনসিংহ লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জেলা বোর্ডের সদস্য ছিলেন।

ময়মনসিংহ জেলা শহরে রাষ্ট্রপতির শিক্ষা জীবন শুরু হয়। ১৯৪৫ সালে ভৈরব কে বি হাইস্কুল থেকে তিনি

আন্তর্জাতিক নারী দিবস: প্রত্যাশা আর প্রাপ্তী

যুগ যুগ ধরে নারী দিবস পালিত হয়ে আসলেও নারীরা অদ্যবদি প্রত্যাশা আর প্রাপ্তীর হিসাব মিলাতে পারেনি। গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের র‌্যালী রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন নারী কর্মীরা রামুর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করেন। এসময় চৌমুহনী ষ্টেশনে রাস্তার পাশে ছবির নারীরা জীবিকা নির্বাহে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। ছবি ও প্রতিবেদনঃ ওবাইদুল হক নোমান,রামু।

রামুতে শিশু ওয়ায়েজ মোহসিন বিন রফিকী ॥ কুরআন মেনে চললেই জান্নাতবাসী হওয়া যায়

॥ রামু নিউজ রিপোর্ট ॥
       কক্সবাজারের রামু রাজারকুল ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ১১ তম বার্ষিক সভায় অন্যতম আকর্ষন হিসেবে তকরির পেশ করেছেন বাংলাদেশ ভারত তথা উপ-মহাদেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ওয়ায়েজ শিশু হুজুর মোহসিন বিন রফিকী বলেছেন, আল্লাহর কুরআন মেনে চললে অবশ্যই জান্নাতবাসী হওয়া যায়। আর মেনে না চললে জাহান্নামে যাবেন। তিনি কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন হলেই সকল আলেম ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ করার আহবান জানান। তিনি কোন রাজনৈতিক দলের পরে লোক নয় উল্লেখ করে বলেন, দেশের রাজনীতিবিদরা যদি কুরআন হাদিসের নিয়ম মেনে চলতো ভোটের সময় তাদের টাকা দিয়ে ভোট কিনতে হতোনা। তিনি সকল নেতাদের কুরআনের নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন।   
৮ মার্চ বৃহষ্পতিবার রাত ৯ টায় রাজারকুল ফরেষ্ট অফিস মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা ও আয়োজক কমিটির সভাপতি প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সিকদার। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক, থানার অফিসার ইনচার্জ একে নজিবুল ইসলাম।
শিশু হুজুরের বয়ান শুনার জন্য আয়োজনস্থল ছিল লোকে লোকারন্য। হাজার হাজার নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সভায় যোগদান ছিল চোখে পড়ার মতো। সন্ধ্যা থেকেই সভাস্থলে মানুষের ঢল নামে। এসময় ওই সড়কে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় শিশু হুজুর সভাস্থলে উপস্থিত হওয়ার অনেক আগেই মাঠ ভরপুর হয়ে যায়। মাঠে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অনেকে গাছের ঢালে, পাহাড়ে বসে হুজুরকে এক নজর দেখেন ও ওয়াজ শুনেন।    

রামুতে সড়ক দুর্ঘটনায় শাকের কোম্পানীর ছোট ভাই প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন নিহত

॥ রামু নিউজ রিপোর্ট ॥
কক্সবাজারের রামুতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক প্রবাসীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত প্রবাসীর নাম গিয়াস উদ্দিন। সে উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের কলঘর বাজার এলাকার শাকের কোম্পানীর ছোট ভাই।
জানা গেছে, গিয়াস উদ্দিন ৮ মার্চ রাত ১১ টার দিকে নাই্যংছড়ি থেকে মটর সাইকেল নিয়ে কাউয়ারখোপ এলাকার মঈশকুম ব্রীজে পৌঁছলে গাড়ীর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে নিহতের আতœীয় ও বন্ধুরা তাকে এক নজর দেখার জন্য হাসপাতালে ভিড় জমায়। রাত ১২ টার দিকে হাসপাতাল থেকে তাকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...