রামু নিউজ ডেস্ক : কক্সবাজারে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও সার্বিক উন্নয়নে গঠন করা হচ্ছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এজন্য ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১২’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মহাপরিকল্পনা হাতে নেবে । এছাড়া ভূমি ব্যবহার, পরিকল্পনা, নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি, পর্যটকদের বিনোদন, আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা চিহ্নিত করা ও পাহাড়কাটা প্রতিরোধেও কাজ করবে এই কর্তৃপক্ষ।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া প্রণয়ন করে। ২০০৯ সালের নভেম্বরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অষ্টম বৈঠক এবং ওই বছরের ২৮ মে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পঞ্চম বৈঠকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ করা হয়েছিল। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে খসড়া আইনটি অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, এ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হবেন একজন অতিরিক্ত সচিব মর্যাদার কর্মকর্তা। এই কর্তৃপক্ষে যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার সার্বক্ষণিক ৩ জন সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া পর্যটন কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ভূগোল বিভাগের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, কক্সবাজার শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি বা সম্পাদক, সরকার মনোনীত স্থায়ীভাবে বসবাসরত দুজন ব্যক্তি, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের একজন করে প্রতিনিধি কর্তৃপক্ষের সদস্য হবেন। কর্তৃপক্ষের কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে খসড়া আইনে বলা হয়েছে, এই কর্তৃপক্ষ কক্সবাজারে গৃহায়ণ ও আবাসন সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য সীমিত পরিসরে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা গতকাল তুরস্কের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। চুক্তিটি ১৯৮৭ সালে হয়েছিল। এখন এটি যুগোপযোগী করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তুরস্কও এটি আধুনিকায়নের কাজ করছে। এতে বিনিয়োগের পরিবেশ ও ব্যবসায়িক বিভিন্ন বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া গত ৯ থেকে ১৩ ডিসেম্বর জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের সঙ্গে পলিসি ডায়ালগে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। সভায় জানানো হয়, ২০১২ সালে জ্বালানি তেল আমদানির জন্য ২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। এর সুদ ৫ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে কলকাতায় অনুষ্ঠিত ‘রোড শো ফর টুরিজম ইন বাংলাদেশ’ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খানের অংশগ্রহণের বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে গতকাল অবহিত করা হয়।