বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

রামুতে যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস উদযাপন


রামু নিউজ ডটকম প্রতিবেদক ঃ কক্সবাজারের রামুতে স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী নানা আনুষ্ঠানিকতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর শহীদ দিবস উদযাপন করেছে। ২১ ফেব্রুয়ারী প্রথম প্রহরে রামু উপজেলা পরিষদস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের জেলার প্রথম শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রামু উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, বিএনপি, রামু প্রেস ক্লাব, রামু ডিগ্রী কলেজ, রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুবদল, ছাত্রদল, শব্দায়ন আবৃত্তি একাডেমী, মৈত্রী’০২, মেরংলোয়া প্রতিভা ছাত্র সংসদ, দি লার্নার্স হোম, রামু নিউজ ডটকমসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠন। সকালে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরন, কালো ব্যাজ ধারন করে প্রভাত ফেরী, ছাত্র-ছাত্রীদের রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, ভাষা শহীদদের স্মরনে আলোচনা সভা ও শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া রামু রামকোট জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার হোম্স ও গর্জনীয়া উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের তৈরী কৃত্রিম শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

ত্রিপুরা সরকার কর্তৃক ভাষা সম্মাননায় ভূষিত জাতিসত্বার কবি নরুল হুদা


রামু নিউজ রিপোর্টঃ বাংলাদেশের জাতিসত্বার কবি মুহাম্মদ নরুল হুদাকে ভাষা
সম্মাননায় স্মমানিত করলো ত্রিপুরা সরকার । মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তিন কবি সাহিত্যিককে ভাষাসম্মান জানায় রাজ্য সরকার। সম্মান প্রাপ্তদের মধ্যে একজন নরুল হুদা। এদিন সন্ধ্যা ৭ টায় স্থানীয় নজরুল কলাক্ষেত্রের আনন্দ প্রেক্ষাগৃহে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষষ্ঠানে নরুল হুদার হাতে স্মারক উপহার তুলে দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। সম্মাননার জবাবে নরুল হুদা বলেন, ত্রিপুরার মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আগরতলার সঙ্গে আমাদের নিবিড় সম্পর্ক মুক্তি যুদ্ধের সময় থেকেই। ২১ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে নরুল হুদা বলেন, একুশ আমাদের অহঙ্কার। একুশ আমাদের গর্ব। আমার ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র চেয়েছিলাম। ভাষার আন্দোলন আমাদের স্বাধিকার দিয়েছে। এদিন ২১-১৯ ভাষাসম্মানে ভূষিত করা হয় ত্রিপুরার কবি কল্যাণব্রত চক্রবর্তীকেও। তিনি বলেন, পুঁজিবাদি বিশ্বায়ন চাইছে, এক বাজার, এক সংস্কৃতি ও এক ভাষা চালু করতে। তারা আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়তে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার অনুষ্ঠানে বলেন, সব ভাষার বিকাশ চাই আমারা। ভাষার মধ্যে কোনো ছোট-বড় ভেদ নেই। সব ভাষাই সমান। মানিক সরকার বলেন, আমরা চাই সব ভাষাকে সমান গুরুত্ব দিতে। এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে ত্রিপুরার সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী অনিল সরকার। এদিন আসামের মহিলা কবি অনুরূপা বিশ্বাসকেও সম্মান জানানোর কথা ছিল। কিন্তু তিনি আসতে পারেননি। অনুষ্ঠানে মঞ্চে মহম্মদ নরুল হুদা তার লেখা কিছু বই মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং মন্ত্রী অনিল সরকারের হাতে তুলে দেন শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে। এর পর হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদিন বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে দুপুরেও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠান হয়েছে। রাজ্যের প্রতিটি সীমান্ত এলাকায় বিপুল উতসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই দিনটি পালন করা হয়েছে। সগ্রহঃ উখিয়া নিউজ.

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...