বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

সাইবার-যুদ্ধে ভারতের পরাজয়!


বাংলাদেশভিত্তিক ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকারস গ্রুপ বিএসএফের একটিসহ ভারতের প্রায় ২০ হাজার ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। হ্যাকিংয়ের কারণে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ওয়েবসাইটটি (www.bsf.nic.in) পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দক্ষিণ ভারতের বহুল প্রচারিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক ডেকান ক্রনিকল আজ এ খবর জানিয়েছে। ক্রনিকলের খবরে বলা হয়, ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকারস গ্রুপ দাবি করেছে সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার প্রতিবাদে তারা এ কাজ করেছে। ফেসবুকে এই গ্রুপের একটি ফ্যান পেজে এক হ্যাকার লিখেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নেই। কিন্তু বিএসএফের বর্বরতা এবং সর্বোপরি ভারত সরকার এটা করতে আমাদের বাধ্য করেছে।’ পত্রিকাটি বলেছে, ‘অপর একটি পোস্টে এক হ্যাকার লিখেছেন, ভারত ১৯৭১ সালে আমাদের সমর্থন করেছে। এখন তারা আমাদের হত্যা করছে। একজন ভণ্ড বন্ধুর চেয়ে একজন প্রকাশ্য শত্রু ভালো।’ অপর একটি পোস্টে এক পাঠক লিখেছেন, ‘আমি মৃত্যুর পরোয়া করি না। জয়ী না হওয়া পর্যন্ত আমি আমার মাতৃভূমির জন্য যুদ্ধ অব্যাহত রাখব।’ ডেকান ক্রনিকল জানিয়েছে, বাংলাদেশের এই হ্যাকার গ্রুপটি ভারতের একটি জনপ্রিয় শেয়ার বাজারবিষয়ক সংবাদ ওয়েবসাইটও (www.paisacontrol.com) হ্যাক করেছে। অনেক ওয়েবসাইট হ্যাক করার পর এই গ্রুপটি ওই সাইটে নানা ধরনের দাবি পোস্ট করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—‘বিএসএফ, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধ কর।’ এ ছাড়া ‘থ্রিএক্সপায়ারথ্রি সাইবার আর্মি নামের একটি বাংলাদেশি হ্যাকার গোষ্ঠী ভারতের সাত শতাধিক ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে বলে খবরে দাবি করা হয়েছে। খবরে বলা হয়, ‘ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকারস লিখেছে, তারা এই হ্যাকিং উত্সব উদযাপন করছে। ভারতীয় হ্যাকার গোষ্ঠীর সদস্য অ্যাসেল ইন্ডিয়া ভয়ে সাইবার বিশ্ব ছেড়ে গেছে। তাই আমরা বলতে পারি, এই সাইবার যুদ্ধে ভারতের পরাজয় হয়েছে।’ বাংলাদেশি হ্যাকার পরিচয় দানকারীরা বলছেন, বিএসএফ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ও অত্যাচার বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশি হ্যাকাররা এই সাইবার-যুদ্ধ শুরু করেছেন। টিপাইমুখ বাঁধসহ অন্যান্য বিষয়ের কথাও তাঁরা বলছেন। ৯ ফেব্রুয়ারি ভিডিও আদান-প্রদানের ওয়েবসাইট ইউটিউবে ভারত সরকারের প্রতি একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে ‘বিডি ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকারস’। ভিডিওতে মুখোশ পরা একজন হ্যাকারকে যান্ত্রিক (রোবটিক) গলায় কথা বলতে দেখা যায়। তাঁর বক্তব্য হলো, ‘হ্যালো বাংলাদেশের নাগরিকরা, আমরা বাংলাদেশ ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকারস। এখন সময় আমাদের চোখ খুলবার। বিএসএফ এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে, তাদের গুলিতে আহত হয়েছে আরও ৯৮৭ বাংলাদেশি। অপহূত হয়েছে হাজারো মানুষ। এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। তারা অবিচার করছে। সংকটময় এ মুহূর্তে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আমাদের কিছু দায়িত্ববোধ রয়েছে, আমরা চাই ভারত সরকার নিরপরাধ বাংলাদেশিদের হত্যা করা বন্ধ করুক। নতুবা আমরা ভারতীয়দের বিরুদ্ধে সাইবার-যুদ্ধ শুরু করব। এটি চলতেই থাকবে।’ বাংলাদেশের ‘বাংলাদেশ সাইবার আর্মি’, ‘বিডি ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকারস’, ‘এক্সপায়ার সাইবার আর্মি’—এ তিনটি হ্যাকার গ্রুপ এই সাইবার-যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কয়েকজন হ্যাকার জানান, বাংলাদেশি হ্যাকারদের সমর্থন দিয়েছে আন্তর্জাতিক হ্যাকার দল ‘অ্যানোনিমাস’। এ ছাড়া পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও সৌদি আরবের শক্তিশালী হ্যাকাররা বাংলাদেশি হ্যাকারদের সমর্থন দিয়ে গতকাল থেকে ভারতীয় সাইটে আক্রমণ করছেন। হ্যাকারদের ফেসবুক গ্রুপ, বিভিন্ন বাংলা ব্লগসাইটের একাধিক ব্লগে বাংলাদেশি হ্যাকারদের আক্রমণের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। প্রথম আলোয় পাঠানো ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকারস দলের একটি ই-মেইলে বলা হয়েছে, এ আক্রমণ চলতেই থাকবে। ওই ই-মেইলে বাংলাদেশের কোনো সাইট আক্রান্ত হলে বা আক্রমণ ঠেকাতে ওয়েবমাস্টারদের কী করতে হবে, তার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এদিকে ভারতের ‘ইন্ডিশেল’ হ্যাকার দল বাংলাদেশি সাইটগুলোতে আক্রমণে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অপরদিকে ভারতীয় হ্যাকারদের দাবি অনুযায়ী বাংলাদেশের ৩০০ সাইটে আক্রমণ করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য পদ হারাচ্ছেন জাপার আবুল কাশেম


বার্তা পরিবেশক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশে সংসদ সদস্যপদ হারাতে যাচ্ছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা আবুল কাশেম। ২০০৮ সালের নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে যাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। গতকাল প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ সংসদ সদস্য কাশেমের আপিলের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। খারিজের আদেশে আদালত বলে, 'আপিল ডিসমিস'। আদালতে আবুল কাশেমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। ওই আসনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া বিএনপির প্রার্থী মাহমুদুল হাসানের পক্ষে লড়েন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম। আদালতের আদেশের পর আমীর-উল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আদালত আবুল কাশেমের আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে মাহমুদুল হাসানকে সংসদ সদস্য ঘোষণায় হাইকোর্টের রায় বহাল থাকল। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী আবুল কাশেম লাঙল প্রতীকে ১ লাখ ৪৭ হাজার ১৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ৭২ হাজার ৮০৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান। কাশেমকে ঋণখেলাপি দাবি করে নির্বাচনের পর হাইকোর্টে আবেদন করেন মাহমুদুল। ২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর দেয়া রায়ে হাইকোর্ট কাশেমের সংসদ সদস্যপদ বাতিল করে জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৫ আসনে মাহমুদুল হাসানকে বিজয়ী ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু কাশেমের আবেদনে পরে ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে তাকে নিয়মিত আপিল করতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। কাশেম আদালতের নির্দেশে আপিল আবেদন করলে আদালত গতকাল তা খারিজ করে দিয়েছেন।

গুজব ছড়ানোর দরকার নেই, খুনি ধরা পড়বেই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


নিজস্ব বার্তা পরিবেশক সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছেন, গুজব ছড়ানোর কোন দরকার নেই। আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখুন। খুনি যে-ই হোক তাকে ধরা পড়তেই হবে। আমরা জড়িতদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছি। গতকাল দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ডের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোস্টগার্ডের প্যারেড পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিকিউকে মুসতাক আহমদ, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক কাজী সারোয়ার হোসেন প্রমুখ। এ সময় সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা অপেক্ষা করুন। যেকোন সময় সুখবর শুনতে পারবেন। তদন্ত কাজে অগ্রগতি হয়েছে। গোয়েন্দা টিম পুরোদমে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সম্মেলনে তিনি তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার জন্য বেঁধে দেয়া ৪৮ ঘণ্টা প্রসঙ্গে সাহারা খাতুন বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার গুরুত্ব বোঝানোর জন্য আমাকে এটা বলতে হয়েছিল। নতুন করে আমি আর সময় বেঁধে দিতে চাচ্ছি না। এ সময় তিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নাতি নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। এ বিষয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়ার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তদন্ত কাজ যেন দ্রুত হয় সে জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। আপনারা এ ব্যাপারে আইজিরও বক্তব্য শুনেছেন। তদন্ত কাজ চলছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না। উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সমুদ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আধাসামরিক বাহিনী হিসেবে কোস্টগার্ড আত্মপ্রকাশ করে।

কক্সবাজারে ৩৭ লক্ষাধিক টাকার হেরোইনসহ আটক ১


কালাম আজাদ, ১৪ ফেব্র“য়ারি, কক্সবাজার: কক্সবাজার সদর উপজেলার কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী স্টার লাইনের একটি গাড়ীতে তল্লাশী চালিয়ে ১ কেজি ৮শ ৬০গ্রাম হিরোইনসহ ইব্রাহিম সুমন (২৫) নামের এক পাচারকারিকে আটক করেছে বিজিবি। ১৪ ফেব্র“য়ারি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টায় টেকনাফ ১৭ বিজিবি ও ৪২ বিজিবির যৌধ টইল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে এসব হিরোইনসহ তাকে আটক করে। ১৭ বিজিবি কক্সবাজারের অপারেশন অফিসার মেজর এম এ রাকিব জানিয়েছে. ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী স্টার লাইনের ঢাকা মেট্ট্রো ব -১৪-৬৩৫৪ নাম্বারের বাসযোগে হিরোইন চালান কক্সবাজারের উদ্দেশ্য আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশী চালিয়ে ১ কেজি ৮শ’ ৮৬০ গ্রাম হিরোইনসহ ইব্রাহিম সুমনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ইব্রাহিম সুমন ফেনীর ফাজিলপুর গ্রামের মোহাম্মদ দুলাল আহম্মেদের ছেলে এবং আটককৃত হেরোইনের মূল্য আনুমানিক সাইত্রিশ লক্ষ বিশ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। এ দিকে ৪২ বিজিবি টেকনাফের অধিনায়ক লে.কর্ণেল জাহিদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ দিকে সকাল ১১ টায় ধৃত ইব্রাহিম সুমনকে হেরোইনসহ কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...