বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ত্রিপুরার একুশ-উনিশের গৌরব ভাষা সম্মান পাচ্ছেন বাংলাদেশের কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা।
আগামী ২১ ফেব্রয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার নজরুল কলাক্ষেত্র মিলনায়তনে তাকে এ সম্মাননা জানাবে মাতৃভাষা দিবস-২০১২ নির্বাচন কমিটি।
নুরুল হুদা বলেন, যে কোনো পুরস্কার পাওয়াই আনন্দের। ত্রিপুরা সরকার প্রথমবারের মতো এ সম্মাননা দিচ্ছে। বাংলাদেশের একজন লেখক হয়ে এ সম্মান পাওয়ায় আমি আনন্দিত।
তাদের এ ঘোষণা থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশের সাহিত্যকর্ম উপমহাদেশের প্রেক্ষিতে গুরুত্ব পাচ্ছে। এ ধরনের স্বীকৃতি আমাদের তরুণ কবি ও লেখকদের অনুপ্রাণিত করবে, যোগ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের ইংরেজির শিক্ষক নুরুল হুদা জানান, ২০ ফেব্রয়ারি কলকাতা হয়ে আগরতলায় যাবেন তিনি। ফিরবেন ২২ তারিখ।
১৯৪৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের দরিয়ানগর গ্রামে মোহাম্মদ নুরুল হুদার জন্ম। ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে øাতক ডিগ্রি পাওয়ার আগেই আধুনিক ধারার প্রতিশ্রতিবান কবির স্বীকৃতি পান তিনি। ধীরে ধীরে প্রবন্ধকার, সাহিত্য সমালোচক ও অনুবাদক হিসেবেও তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন। এ পর্যন্ত শতাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে তার।
এ কবি বলেন, শুরু থেকেই লেখালেখিতে আমি সচেতনভাবে সমাজের বিবর্তন ও রূপান্তরকে ধরে রাখতে চেয়েছি। তামাটে জাতি সিরিজের কবিতাগুলোতে আমি বলেছি, কীভাবে প্রাগ-ঐতিহাসিক কাল থেকে বিভিন্ন জাতিসত্তার মিশ্রণের পরও বাঙ্গালিরা একটি স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে বিকশিত হয়েছে।
২০০৭ সালে বাংলা একাডেমীর পরিচালক হিসেবে অবসরে যান নুরুল হুদা। নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে শিক্ষকতা করছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাশাপাশি ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টে কাজ করছেন সহযোগী সম্পাদক হিসেবে।
সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৮ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার, ১৯৯৬ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সম্মামনা, ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পয়েট অব ইন্টারন্যাশনাল মেরিট এবং ২০০৭ সালে কলকাতার মহাদিগন্ত সাহিত্য পুরষ্কারসহ বহু সম্মামনা পেয়েছেন তিনি।