॥ রামু নিউজ ডেস্ক॥
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের
পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতির জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ জন শিক্ষকের
বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
এই শিক্ষকদের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পাঁচ জন। বাকিরা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
মঙ্গলবার
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ
মৌখিকভাবে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে মামলা দায়েরের এই আদেশ দেয়।
যাদের
বিরুদ্ধে মামলা করতে বলা হয়েছে, তারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. ফেরদৌস হাসান, অধ্যাপক দিল রওশন
জিন্নাত আরা নাজনীন, অধ্যাপক হাসানুজ্জামান চৌধুরী, চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড.
মো. আব্দুল করিম এবং অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
এই তালিকায় থাকা
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হলেন- ওপেন স্কুলের সাবেক ডিন অধ্যাপক
আলিনুর রহমান, ওপেন স্কুলের সহকারী অধ্যাপক নাজনিন জাহান, সহযোগী অধ্যাপক
ড. আরশাদ আলী মাতুব্বার, স্কুল অব বিজনেসের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ গালিব
আহসান, দর্শনের সহযোগী অধ্যাপক ড. জোবেদা আক্তার, সহকারী অধ্যাপক মো.
মিজানুর রহমান, এ বি এম খায়রুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. আনসারুজ্জামান (অবসর
নিয়েছেন), ড. মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, প্রভাষক মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন,
ভূগোলের সাবেক প্রভাষক এম দেলোয়ার আকবর।
বিকৃত ইতিহাস উপস্থাপনের
অভিযোগে ২০১০ সালে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে গত বৃহস্পতিবার
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ দুই বইয়ের ৫ লেখককে তলবের পর মামলার
এই আদেশ হল।
আদালত বলেছে, দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব উসকে দেওয়া,
প্রতারণা, জালিয়াতি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা, ষড়যন্ত্র, প্রতারণার
মাধ্যমে অর্থ উপার্জন প্রভৃতি অভিযোগে বিভিন্ন ধারায় ওই মামলা দায়ের করতে
হবে।
আদেশের সময় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আর আই
এম আমিনুর রশিদ ও ভারপ্রাপ্ত নিবন্ধক মঞ্জুরে খোদা তালুকদার উপস্থিত
ছিলেন।
আদালতের তলবে অন্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন- ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ ও অধ্যাপক শওকত আরা
হোসেন, অধ্যাপক সাবিহা সুলতানা, মাহফুজা চৌধুরী ও এ এইচ এম দেলোয়ার হোসেন।
আদালত
ইতিহাস বিকৃতির ঘটনায় নতুন করে ৩০ শিক্ষককে তলব করেছে, যাদের ১২ মার্চ
আদালতে যেতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলা হয়েছে, তাদের ১৫ জনও এই
তালিকায় রয়েছেন। অধ্যাপক কামাল উদ্দিন ও অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে তলব
করা হয়নি।
তলবপ্রাপ্ত অন্য শিক্ষকরা হলেন- উন্মুক্ত
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. নাসিরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মো.
আনোয়ারুল ইসলাম, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাদিয়া আফরোজ
সুলতানা, গার্হস্থ্য অর্থনীতির সহযোগী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন, পরিসংখ্যান
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সায়েদ মো. রিপন, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক
ড. মো. আমিরুল ইসলাম, অনন্যা লাবনী, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক
মো. মাজাহারুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাফসান মাহমুদ, কৃষি
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিরিন সুলতানা, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস
এম রেজাউল করিম, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. জাফর আহমেদ, অর্থনীতি
বিভাগের প্রভাষক তাসরুন জাহান, মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক মাসুদ মো.
পারভেজ, প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. কবির উদ্দিন।
১২ মার্চ তাদের সঙ্গে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এরশাদুল বারীকেও হাজির হতে ইতোপূর্বে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ওই
আদালতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াদিয়া জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিনের
নেতৃত্বে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বইয়ে ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে একটি তদন্ত হয়।
ওই কমিটির প্রতিবেদন ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তদন্তপ্রতিবেদনের
ভিত্তিতে ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে।
খবর - (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)