বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১২

সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা হত্যার ঘটনায় মামলা

॥ রামু নিউজ ডেস্ক॥  ৭ মার্চ, আব্দুল লতিফ রানা, ফোকাস বাংলা নিউজ: রাজধানীর গুলশানে সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে হয়ে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। বুধবার এ মামলা দায়ের করা হয়। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা গেছে। রাজধানীর গুলশান থানার উপ-পরির্শক মো. জাবেদ মাসুদ জানান, সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা হত্যার ঘটনায় উপ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বিকাল সাড়ে ৩টার পর হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর (১৫)। মামলায় কোন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। নিহত সৌদি নাগরিক খালাফ আল আলী সৌদি দূতাবাসে কনস্যুলার বিভাগে কাজ করতেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার লাশের ময়নাতদন্তের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক অ্যান্ড মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাসান সরদার সাংবাদিকদের জানান, খালাফ আল আলীর বুকেকর বাম পাশ থেকে একটি গুলি পাওয়া গেছে। ওই গুলিটি তার কিডনিতে আঘাত করেছিল। তিনি আরো জানান, খালাফ আল আলী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের এক সূত্র জানায়, গুলশানে সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা হত্যার ঘটনায় ডিবি পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছেন। গুলশান থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, নিহত সৌদি নাগরিকের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের হিমঘরে রাখা হয়েছে। সুত্র জানায়, সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে বৈধ ২৬ লাখসহ ৪০ লাখ বাংলাদেশী, ৪০ লাখ ভারতীয় ও পাকিস্তানী ২০ লাখসহ এক কোটি মানুষ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খুনের পর সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে অবস্থানকারি বাংলাদেশী শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের করাচি শহরে দুজন সৌদি কূটনীতিক খুনের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খুনের ঘটনায়ও একই ধরণের আশংকা করেছেন অনেকেই। তারা মনে করছেন, সেখানে অবস্থানকারী অবৈধ কর্মজীবীদের যেকোন সময় সে দেশের সরকার গ্রেফতার অথবা দেশ থেকে বের করে দিতে পারে। জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির (বায়রার) মতে, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি জনশক্তি রফতানি হয় সৌদি আরবে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশীদের শ্রমবাজারের ৮০ শতাংশই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক। এর ৩৬ শতাংশ সৌদি আরবে। বিদেশে বাংলাদেশের প্রায় ৭৫ লাখ শ্রমিক রয়েছেন। ১৯৭৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয় সৌদি আরবে। এ সংখ্যা বাংলাদেশ থেকে মোট প্রেরিত জনশক্তির প্রায় ৩৭ শতাংশ। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর সৌদি আরবে গড়ে প্রায় দু�লাখ জনশক্তি রফতানি হয়। ২০০৭ সালের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের কাজের জন্য নতুন ভিসা, আকামা নবায়ন ও পরিবর্তন বন্ধ করে দেয় সৌদি সরকার। যার সমাধান এখনো হয়নি। অপর এক সুত্র জানায়, সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত অর্ধেক প্রবাসী বাংলাদেশী এখন অবৈধভাবে রয়েছে। বাংলাদেশীদের ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন করা হচ্ছে না। বিদেশিদের জন্য সৌদি আরবে আকামার মেয়াদ থাকে তিন থেকে পাঁচ বছর। তবে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইনসহ অন্য সব দেশের জন্যই আকামা নবায়ন বা পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। সেসব দেশের নাগরিকদেও কোনো ভোগান্তিও নেই। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষ ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৭৬ সাল থেকে ২০১১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সৌদি আরবে ২৫ লাখ ৮০ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশী গেছে। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সৌদি আরবে জনশক্তি রফতানি বন্ধ হলেও এখনো তার সমাধান হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরব সফরকালে সৌদি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর আকামা পরিবর্তন ও নবায়ন জটিলতার সমাধানের ঘাষণা দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা কার্যক্রম শুরু হয়নি। ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খুনের ঘটনার কারণে শ্রমবাজার ক্ষতিগ্রস্থ হলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে প্রবাসিরা আশংকা করছেন। সেখানে অবস্থানরত শ্রমিকরা এখন আতংকের মধ্যে পড়েছেন। কুটনীতিক খুনের সংবাদ বিভিন্ন রেডিও এবং টিভি চ্যানেলে ফলাও প্রচার হয়েছে। সৌদি আরব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্রগুলোর অনলাইন সংস্করণে বুধবার ফলাও ও গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে। সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে এ সংবাদ বিদ্যুৎগতিতে ছড়িয়ে পড়ে। রিয়াদ, জেদ্দা, মক্কা, মদীনা, দাম্মাামসহ সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রবাসীরা দেশে টেলিফোন করে স্বজনদের কাছে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তারা আশংকা করছেন বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি সৌদি আরবে নেওয়া বন্ধ এবং যারা রয়েছে তাদেরও সমস্যায় পড়তে হবে। যশোর সদরের বসুন্দিয়ার আলী আহমেদ টেলিফোনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, চার বছর যাবৎ বৈধভাবে সৌদি আরবে থাকলেও কোন ধরনের সমস্যায় ভূগতে হয়নি। কিন্তু বুধবার ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খুনের ঘটনা ফলাওভাবে প্রচারের পর সৌদিতে অবস্থানরতদের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, সোমাবার রাত ১টার দিকে গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলী। গুলশান থানা পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধারের পর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করার পর মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রানা/ফোকাস বাংলা/বদিয়ার/১৮৫০ঘ. সাবেক সাংসদ মঞ্জুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঢাকা, ৭ মার্চ, ফোকাস বাংলা নিউজ: চেক প্রতারণার মামলায় কিশোরগঞ্জের সাবেক সাংসদ মজিবুর রহমান ওরফে মঞ্জুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার ১ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আল আসাদ মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামি ২২ এপ্রিল মামলায় যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেন। রাজধানীর গুলশান থানার বাসিন্দা ব্যাবসায়ি মো. রেজাউল করিম ২০১০ সালের ৭ ফেব্র�য়ারি ঢাকার মহানগর হাকিমের আদালতে চেক প্রতারণার অভিযোগে এ মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, সাংসদ মজিবুর রহমানকে সরকারিভাবে রাজউক থেকে একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই প্লটে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য বাদীকে আমমোক্তার নিযুক্ত করে। আসামি বাদীর কাছ থেকে সাইনিং মানি হিসাবে এক কোটি ২০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু রাজউক থেকে ছাড়পত্র পেতে দেরি হওয়ায় বাদীর কাছ থেকে নেওয়া টাকা পরিশোধের জন্য ২০০৯ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ খামার বাড়ি শাখার একটি চেক দেন। ২৩ নভেম্বর বাদী চেকটি নগদায়নের জন্য ব্যাংকে উপস্থাপন করলে কর্তৃপক্ষ �অপর্যাপ্ত তহবিল� মন্তব্যে চেক ফেরৎ দেয়। বাদী পক্ষে মামালাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মুনজুর আলম।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...