॥উখিয়া প্রতিনিধি॥
উখিয়ায়
নীতিমালা বহির্ভূতভাবে উৎপাদিত প্রায় ৪ লক্ষ ইট জব্দ করেছে
পরিবেশ অধিদপ্তর, র্যাব ও বন বিভাগ। উপজেলার ভালুকিয়া খেওয়াছড়ি এলাকার লোকালয়ে গড়ে উঠা পলাশ বড়ুয়ার ইট-ভাটায় এ
অভিযান চালানো হয় । এ সময় ইট-ভাটা মালিককে ৭ দিনের সময়
সীমা বেধে দিয়ে কারণ দর্শাও নোটিশ প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়
জনসাধারণের অভিযোগ, ভালুকিয়ার খেওয়াছড়ি গ্রামে
বন ও পবিরেশ মন্ত্রী হাসান মাহমুদের নাম ভাঙ্গিয়ে
সম্পূর্ণ লোকালয়ে
প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রামের রাওজানস্থ পলাশ বড়ুয়ার মালিকানাধীণ ইট-ভাটায় ফসলী
জমির মাটি কেটে ইট তৈরী করা হচ্ছিল। পাশাপাশি ইট-ভাটার জন্য জারিকৃত সরকারী
বিধিমালা বহির্ভূত চিমনি ব্যবহার করে ইট পোড়ানোর কারণে ইট-ভাটার বিষাক্ত
কালো ধোঁয়া এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। তাছাড়া উক্ত পলাশ বড়ুযা স্থানীয় অঅওয়ামীলীগ নেতাদের অর্থের মাধ্যমে ম্যানেজ করে নির্ধিদায়
এখানে ইটভাড়া চালিয়ে আসছিল। এ ব্যাপারে গন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল
০৫ মার্চ সকাল ১০টায় পরিবেশ অধিদপ্তর, র্যাব-৭ ও উখিয়া সহকারী বন সংরক্ষক
বশিরুল-আল-মামুন উক্ত ইট-ভাটা পরিদর্শন করে। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী
পরিচালক আব্দুল্লাহ-আল-মামুন সাংবাদিকদের জানান, ইট-ভাটা পরিদর্শন করে
যথাযত বৈধতা না পাওয়ার কারণে ইট-ভাটা মালিককে কারণ দর্শাও নোটিশ প্রদান করা
হয়েছে। পাশাপাশি ইট-ভাটায় উৎপাদিত ৪ লক্ষাধিক ইট জব্দ করা হয়। এদিকে এ
ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হলেও উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরো বেশ
কয়েকটি ইটভাটা বহাল তবিয়তে থাকার অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ
,শুধুমাত্র গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে সংবাদ মাধ্যমের দেখিয়ে
দেওয়া ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হলে সংশ্লিষ্ট দ্বায়িত্বে নিয়োজিত
কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজ কি ? এ প্রশ্ন এখন সবার ।