বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১২

কক্সবাজারের অপহৃত হোটেল ব্যবসায়ী রাজধানী থেকে উদ্ধার :রিভলবারসহ আটক-৩

॥কক্সবাজার প্রতিনিধি/ সিবিএন॥ 
রাজধানীর একটি হোটেল থেকে মুক্তিপণের জন্য অপহৃত কক্সবাজারের হোটেল ব্যবসায়ী মৌলানা মুবিনুল হককে উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব-৩)। একই সাথে জড়িত ৩ অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১টি রিভলবার।
৫লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত উক্ত হোটেল ব্যবসায়ীকে নিয়ে অপহরণকারী বনাম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কক্সবাজারে অবস্থানরত মুবিনুল হকের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে দীর্ঘ নাটকীয়তার পর মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলস্থ এসএ পরিবহন অফিস থেকে অপহরণকারীদের আটক করা হয়। 
এর আগে অবশ্য মৌলানা মুবিন অপহরণের সংবাদ দৈনিক কক্সবাজারবাণী সম্পাদকের কানে পৌঁছলে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জেলা পুলিশ সুপার সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে জানানো হয়। ফলশ্রুতিতে পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টা  ও পরামর্শে মুহুর্তেই এই সংবাদ কক্সবাজারস্থ র‌্যাব কার্যালয়ে পৌঁছানো হলে সেখান থেকে পরামর্শ আসে ঢাকার সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থিত র‌্যাব কার্যালয়ে যোগাযোগের। এই অবস্থায় কক্সবাজারবাণী সম্পাদক মানবিক কারণে বিষয়টি দেখার জন্য র‌্যাব-৩ কে মুঠোফোনে অবহিত করলে সেখানে কর্মরত র‌্যাবের সিনিয়র এএসপি রহমত উল্লাহ তৎপর হয়ে উঠেন ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে। দেরি না করে তিনি ফোর্স পাঠিয়ে দেন এসএ পরিবহন কার্যালয়ে। র‌্যাব-৩ এর লে. কর্ণেল মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সার্বিক তদারকিতে মুহুর্তেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসএ পরিবহনে ওৎপেতে কক্সবাজারে খবর দেন অপহরণকারীদের জানিয়ে দেওয়া ঠিকানায় কিছু টাকা পাঠিয়ে তাদেরকে যেন কাকরাইল এসএ পরিবহনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে কক্সবাজার থেকে কিছু টাকা পাঠিয়ে অপহরণকারীদের বলা হয় কাকরাইলে যেতে। কিন্তু দুস্কৃতকারীদের দুর্ভাগ্য পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা র‌্যাবে কর্মরত এসআই মাহবুবের জালে আটকা পড়ে ৩ অপহরণকারী। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে অক্ষত অবস্থায় কক্সবাজারে অবস্থিত হোটেল আল-মুবিন কমপ্লেক্সের মালিক মুবিনুল হককে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের ব্যবহৃত ১টি রিভলবার উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে খবর নিয়ে জানা গেছে, এ ঘটনায় অস্ত্র, অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অপরাধে ২টি পৃথক মামলা হচ্ছে মতিঝিল থানায়। আটক অপহরণকারীরা হচ্ছে শরিয়তপুর যক্ষ্মা মোল্লা গাজী পাড়া এলাকার আবদুল খালেক মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ রাসেল (৩২), বড়–য়াখালী এলাকার সালাহ উদ্দিনের পুত্র বাবু ইসলাম রানা (২৭) ও বরিশাল দত্ত পাড়া এলাকার আবদুল খালেকের পুত্র আবদুল আজিজ (৩১)। তবে তারা সকলেই অস্থায়ী ভাবে ঢাকায় বসবাস করত।
উল্লেখ্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক সফল এই অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে কক্সবাজার সদর মডেল থানার এএসপি তোফায়েল আহমদ এবং ওসি বদরুল আলম তালুকদারের আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল প্রশংসনীয়।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...