বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১২

রামুর আড়াই লাখ মানুষ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে

॥ নীতিশ বড়ুয়া ॥
কক্সবাজারের রামু উপজেলার আড়াই লাখ মানুষ আধুনিক  তথ্য  প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে  রয়েছে। সরকার দেশকে ডিজিটালে রুপান্তরের লক্ষে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারকে সহজলভ্য করার ঘোষনা দিলেও রামু উপজেলার ১১ ইউনিয়েনের জনগন তথ্য সেবা বা ডিজিটাল টেলিফোন এবং ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ককসবাজারের সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের ভূ-গর্ভস্থ ক্যাবল রামু উপজেলার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম,ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এবং প্রায় অর্ধশত দেশে পৌঁছে গেলেও এ সুবিধা পায়নি রামু উপজেলার জনগন। তথ্য প্রযুক্তির আর্শীবাদপুষ্ট ডিজিটাল টেলিফোন, ইন্টারনেট সেবা বাণিজ্যিকভাবে চাহিদার সঙ্গে সরবরাহ নিশ্চিত করা হলে, সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। দেশীয় প্রচারণায় ডিজিটাল সেবার কদর  ও  সুবিধার বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ী মহল।
উপজেলার ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৬ সালে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের একটি কে মাত্র ২৫ লাইনের সি বি এক্সচেঞ্জ স্থাপনের মাধ্যমে রামুতে টেলিফোন সেবা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়। এনালগ সিষ্টেমের উক্ত টেলিফোন একচেঞ্জের গ্রাহকদের টেলিফোনে কথা বলতে বিভিন্ন দূর্ভোগ পোহাতে হতো। স্থানীয় জনগন ও ব্যবসায়ী মহলের দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেেিত উন্নত যোগাযোগের সুবিধার্থে রামু তেমুহনিস্থ ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে স্থানান্তর করে অফিসের চরস্থ রামু পোষ্ট অফিসের ১ একর জায়গা বরাদ্ধ নিয়ে নতুন ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ স্থাপন করা হয়। ৩০০ লাইনের ধারণ মতা সম্পন্ন রামু ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি ২০০৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সাংসদ উদ্ভোধন করেন । রামু অফিসের চর এলাকা থেকে আলহাজ্ব ফজল আম্বিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, লামার পাড়া বৌদ্ধবিহার, রামু কলেজ,রামু হাসপাতাল, চৌমুহনী ,হাইটুপি এলাকায় সম্প্রসারিত টেলিফোন নেটওয়ার্ক কার্যক্রম সীমাবদ্ধ । এতে উপজেলার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ১ টি ইউনিয়ন ডিজিটাল টেলিফোন কার্যক্রমের সুবিধা পায় । রামু উপজেলার সদর ইউনিয়ন ফতেখাঁরকুলের আংশিক জায়গায় এ সম্প্রসারিত কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসলেও ইন্টারনেট সংযোগ সেবা পৌঁছেনি এখনও ।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, অফিসেরচর এলাকায় ৩০ ল টাকায় নির্মিত দ্বিতল ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবনের চারপাশে ঝোপঝাড় ও আগাছায় পরিপূর্ণ। এক্সচেঞ্জে কর্মরত অপারেটর আলী হোসেন জানান, এক্সচেঞ্জ ভবনের চারপাশে মাটি ভরাট ও কাটা তারের বেড়া দেয়ার  কথাছিল । সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এগুলো না করে চলে গেছেন । খালী জায়গায় তিনি শাকসবজীর চাষ করেন ।
রামু ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জের ইনচার্জ, উপসহকারী প্রকৌশলী রফিক আহম্মদ জানান, ২০০৩ সালে ৩০০ লাইনের ধারণ মতায় রামুর ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি  চালু করা হয়। বর্তমানে ২৭৮টি সংযোগ চালু রয়েছে। যা এলাকার জনগণের চাহিদা তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। এর চাহিদা বৃদ্ধির  দাবিতে ২০০৫ সালে এক্সচেঞ্জের ধারণ  মতা ১০০ লাইন বাড়িয়ে ৪০০ লাইনে উন্নতি করা হয়। বর্ধিত লাইনের ক্যাবল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারন না করায় বিগত ৫ বছরেও বর্ধিত লাইনে  সংযোগ দেয়া সম্ভব হয় নাই। এখনই সংযোগ পেতে ইচ্ছুক উপজেলার ফতেঁখারকুল ইউনিয়নের লম্বরীপাড়া, তেচ্ছিপুল, পশ্চিম মেরংলোয়া, রাজারকুল ইউনিয়নের বণিক পাড়া, সিকদার পাড়া, পূর্ব রাজারকুল, শিকলঘাট, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের রাবার বাগান এলাকা ও চাঁকমারকুলে ইউনিয়নের প্রায় ৫০০ গ্রাহক। সম্প্রতি রামু উপজেলার পরিষদের সাথে ১১ ইউনিয়ন পরিষদে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের জন্য দূরত্ব ও সম্ভব্যতার  সার্বিক জরিপ পরিচালনা করে বি. টি. সি. এল । উপজেলার প্রতি ইউনিয়নে ডিজিটাল টেলিফোন সেবা পৌঁছে গেলে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সেবা সুবিধা পাবে  উপজেলাবাসী। সংযোগ তখন ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজারে উন্নতি করা যাবে।
ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন ও বর্ধিত এলাকায়  টেলিফোন সংযোগের   অগ্রগতি
সম্পর্কে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পনী লিমিটেড (বিটিসিএল) কক্সবাজারের সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মাহামুদুর রহমান জানান,ইতিমধ্যে  উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করার লে দূরত্ব ও প্রয়োজনীয় পদেেপর সম্ভব্যতা  জরিপ প্রতিবেদন কর্তৃপরে নির্দেশে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। তবে কবে নাগাদ এ কার্যক্রম শুরু হবে এখনও  তা জানা যায়নি। ২০০৫ সালের বর্ধিত সংযোগের ক্যাবল নেটওয়ার্ক  সম্প্রসারন ও  ইন্টারনেট সংযোগের কার্যক্রম গ্রহন  করা হবে  কিনা জানতে চাইলে  তিনি জানান, এ কার্যক্রমে কোন নির্দেশনা তিনি  এখনও   পাননি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকে অবহিত করা হবে।


এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...