শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

যুদ্ধাপরাধের বিচার: বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিল পাস


ঢাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি
-- যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনি বিধি-বিধান গ্রহণে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্পিকার অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খানের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের বেসরকারি সদস্য দিবসে এই সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি পাস হয়। সংসদে প্রস্তাবটি আনেন ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ। তবে প্রস্তাবটি নিয়ে আইনমন্ত্রীর পক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করছে, তাদের বিচার প্রচলিত আইনেই করা সম্ভব। তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধীদলীয় নেতাসহ বিরোধী দলের বেশ কিছু নেতারা প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলছেন। এছাড়া একটি মহল বা গোষ্ঠী মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালকে বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলছেন বলেও উল্লেখ করেন কামরুল। তবে তিনি সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করার সুপারিশ করলে সংসদ সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় চিফ হুইপের উদ্যোগও কোন কাজে আসেনি। অধিবেশনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ক্ষুব্ধ হয়ে সংসদ সদস্যদের শান্ত করার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা শান্ত হউন। সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করা হবে না।’ এ সময় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করছিলেন ডেপুটি স্পিকার শেখ শওকত আলী। কিন্তু বিলটি প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিষয়টি সামনে এলে সংসদ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে নিজের কার্যালয় থেকে ছুটে আসেন স্পিকার আবদুল হামিদ। পরে সংসদ সদস্যদের দাবির মুখে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, বর্তমানে একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ও বর্তমান আমীরসহ ছয় নেতা এবং বিরোধী দল বিএনপির এক সংসদ সদস্যসহ দুই নেতার বিচার চলছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও চারদলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী শুরু থেকেই এই ট্রাইব্যুনালের বিরোধিতা করে আসছে। এ দুটি দল সমমনাদের নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের অভিযোগ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতেই বিরোধী দল শরিকদের নিয়ে আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে।

বাংলা ভাষার বিকৃত উচ্চারণ-উপস্থাপনা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ


ঢাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি(আরটিএনএন ডটনেট): টেলিভিশন ও রেডিওতে অনুষ্ঠান প্রচারের সময় বাংলা ভাষার বিকৃত উচ্চারণ অথবা ভাষা দূষণ হয় এমনভাবে সংবাদসহ অনুষ্ঠান উপস্থাপন না করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ সংক্রান্ত রুলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন এ আদেশ দেয়। আদালত আদেশে জানায়, বাংলা ভাষার পবিত্রতা রক্ষা করতে সর্বোতভাবে চেষ্টা করতে হবে। এই ভাষার প্রতি আর কোনো আঘাত যাতে না আসে সে বিষয়ে সচেষ্ট হতে হবে। একই সাথে বাংলা ভাষার পবিত্রতা রক্ষা ও দূষণ রোধে একটি রুলও জারি করেছে আদালত। সংস্কৃতি সচিব, তথ্য সচিব, বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসির চেয়ারম্যান, সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রধান কর্মকর্তা; রেডিও টুডে, রেডিও এবিসি ও রেডিও ফুর্তির প্রধান কর্মকর্তাকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে হবে। বাংলা ভাষার দূষণ, বিকৃত উচ্চারণ, ভিন্ন ভাষার সুরে বাংলা উচ্চারণ, সঠিক শব্দ চয়ন না করা এবং বাংলা ভাষার অবক্ষয় রোধে বাংলা একাডেমীর সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে প্রধান করে একটি কমিটি করারও আদেশ দিয়েছে আদালত। এসব বিষয়ে নেয়া পদক্ষেপ আগামি ২০ মার্চের মধ্যে আদালতে একটি প্রতিবেদন আকারে জমা দেবে ওই কমিটি। এই কমিটিতে কারা থাকবেন তা নির্ধারণ করবেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। তবে আদালত কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, নজরুল বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কবি নির্মলেন্দু গুণ, রফিক আজাদ ও সৈয়দ শামসুল হকের নাম প্রস্তাব করেছে। প্রথম আলোতে প্রকাশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের লেখা একটি নিবন্ধ বৃহস্পতিবার আদালতের নজরে আনার পর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। আর এ প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রকিব উদ্দিন আহমেদ। পরে আদালতে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান ও মুরাদ রেজা, ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর এ বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন। এ মামলার শুনানিতে আগামীতে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রফিক উল হক, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার আকতার ইমাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সদরুল আমিন, লেখক সৈয়দ শামসুল হক ও সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের বক্তব্য শোনা হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

মহেশখালীর শীর্ষ ডাকাত বজল গণ পিঠুনিতে নিহত : এলাকায় আনন্দ উল্লাস


আবদুর রাজ্জাক,মহেশখালী-১৭ ফেব্র“য়ারী: মহেশখালী উপজেলার বহুল আলোচিত সন্ত্রাসী পেশাদার ডাকাত সর্দার বজল বাহিনীর প্রধান ওরফে বজইল্যা ডাকাত গণ পিঠুনিতে নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাযায়, ১৬ ফেব্র“য়ারী বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় বজল ডাকাত মহেশখালী উপজেলার উত্তর নলবিলা মাঝের পাড়া গ্রামের দরিদ্র কানা মমতাজের মাদ্রাসা পড়–য়া ১কিশোরী -বজইল্যা ডাকাতের দেহরক্ষী ফরিদ্যার শালীকে ধর্ষন করতে নিজ বাড়ি থেকে কাধেঁ তুলে নিযে বজল ডাকাতের বাড়ীতে নিয়ে আসে। এ সময় কিশোরী মেয়েটি আতœ-চিৎকার করলে বজইল্যার ভাইয়েরা এসে মেয়েটি কে ছেড়ে দিতে বললে তা অমান্য করে পূনরায় মেয়েটিকে নির্যাতন করতে চাইলে ভাইয়ের উওেজিত হয়ে তাকে মারপিট করেেল সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে পার্শ্ববতী পানের বরজে লুকিয়ে থাকলে ধর্ষিতার পিতা ও স্থানীয় মেম্বার সহ এলাকাবাসী এগিয়ে এসে পানের বরজ ঘেরাও করে বজইল্যা ডাকাত জনগনের হাতে আটকের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে মুহুতের মধ্যে প্রতিবেশী ইউনিয়ন মাতারবাড়ি,শাপলাপুর, হোয়ানক, ও পার্শ্ববতী উপজেলা বদরখালী থেকে হাজার হাজার জনতা এসে ক্ষোভের সংঞ্চার ঘটায়। এ সময় গনপিটুনি শুরু করলে সেখান থেকে বারবার পালিয়ে যাওযার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। গনপিঠুনির এক পর্যায়ে রাত দেড় টায় সে ঘটনাস্থলে মারা যায় ্ তখন এলাকাবাসী থানাকে খবর দিলে মহেশখালী থানার কালারমারছড়া ফাড়িঁর ইনচার্জ এরশাদ উল্লাহ সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বজইল্যার লাশটি উদ্ধার করে মহেশখালী থানায় নিয়ে আসে। আইন শৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের চোখে ফাকিঁ দিয়ে কিছুদিন বাঁচতে পারলে ও অবশেষে জনগনের গণ পিঠুনির শিকার হয়ে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হল । এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রনজিত বড়–যা জানান, নিহত বজইল্যা ডাকাতের বিরোদ্ধে হত্যা,সন্ত্রাসী,পুলিশ এশল্ট ,সড়ক ডাকাতি, নারী ধর্ষন, চিংড়ী ঘেরের লুটপাট,জলদস্যুতা সহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান।

বিদেশের ব্যাংকগুলিতে সবচেয়ে বেশি কালো টাকা রয়েছে ভারতীয়দের


বিডি ২৪ লাইভ ডটকম, বিদেশি ব্যাংকে গচ্ছিত কালো টাকা নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করল সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (সিবিআই)। সোমবার সিবিআই জানিয়েছে, বিদেশের ব্যাংকগুলিতে সব থেকে বেশি কালো টাকা রয়েছে ভারতীয়দের। বিদেশি ব্যাংকে ভারতীয়দের কালো টাকার পরিমাণ প্রায় ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২৪.৫ লক্ষ কোটি টাকা)। মরিশাস, সুইজারল্যান্ড, ব্রিটেন, লিচেনস্টেন-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাংকে হিসাব বহির্ভূত টাকা রয়েছে ভারতীয়দের। এদিন সিবিআই ডিরেক্টর অম্বর প্রতাপ সিং বলেন, “বিভিন্ন বিদেশি ব্যাংকে ভারতীয়দের গচ্ছিত কালো টাকার পরিমাণ প্রায় ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সুইস ব্যাংকে কালো টাকার পরিমাণেও ভারতীয়দের সংখ্যাই সব থেকে বেশি।” বিদেশি ব্যাংকে বেআইনি লেনদেনগুলি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য যোগাড় করাটা কিছুটা সময় সাপেক্ষ। কারণ বেশ কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। সব থেকে কম দুর্নীতিগ্রস্থ দেশগুলির মধ্যে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। এছাড়া পঞ্চম স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর ও সুইজারল্যান্ড সপ্তম স্থানে রয়েছে বলেও জানান সিবিআই ডিরেক্টর। এদিন সিবিআই জানিয়েছে, বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সীমান্ত দিয়ে পাচার হওয়া বেআইনি অর্থের পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় সরকারির আমলাদের ঘুষ নেওয়া টাকার পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ১৫ বছরে এই বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মাত্র ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্ধার করা গিয়েছে। বিদেশি ব্যাংকে গচ্ছিত কালো টাকা দেশে ফেরাতে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলো। দুর্নীতি নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছেন আন্না হাজারে, যোগগুরু রামদেবের মতো অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। কালো টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের এই তথ্য বাজেট অধিবেশনের আগে বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্র: বেঙ্গলী টাইমস

উখিয়ায় বিজিবির অভিযানে ২ লক্ষাধিক টাকার বার্মিজ মালামাল জব্দ


মাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া ::উখিয়ার মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টের বিজিবি জোয়ানরা যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ২ লক্ষাধিক টাকার বার্মিজ মালামাল জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টের নায়েব সুবেদার সাহাব উদ্দিন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় টেকনাফ থেকে কক্সবাজারগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে কাঠ,মদ ও বার্মিজ মালামাল সহ প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার অবৈধ পন্য উদ্ধার করেন।

লামায় সাংবাদিক ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণ নাশের হুমকি : নিরাপত্তা চেয়ে থানায় ডায়রী


মো. নুরুল করিম আরমান, লামা::মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর ছরোয়ার ও এটিএন বাংলা টেলিভিশনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মেহেরুন রুনি হত্যার রেষ কাটতে না কাটতেই বান্দরবানের লামায় মোহনা টেলিভিশনের বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি হাছান আল মামুনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রাণনাশসহ মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। এ ব্যাপারে সাংবাদিক হাছান আল মামুন তার ও পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে লামা ও পার্শ্ববর্তী চকরিয়া থানায় ৯জনকে বিবাদী করে পৃথক দুটি সাধারণ ডায়রী করেছেন। ডায়রী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জানুয়ারী চকরিয়ার উত্তর হারবাং চেয়ারম্যান পাড়ার ঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার ভিডিও চিত্রসহ মোহনা ও দিগন্ত টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারিত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদীরা মোহনা টেলিভিশনের বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি হাছান আল মামুনকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে ১১ ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে তার বাড়ীর চারদিকে সন্ত্রাসী মোহড়াসহ ঘর থেকে বাহিরে আসার জন্য ডাকাডাকি করেন। এ সময় হাছান আল মামুন ঘরের বাহিরে না আসলে তারা অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে ও প্রাণনাশসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। এমনকি তার স্কুল পড়–য়া রবিউল হাসান রনি (১৫) ও মেয়ে ছাদিয়া আক্তার সুমাইয়া (১০) কে স্কুলে যাওয়া আসার পথে অপহরণ করার হুমকিরত আছে। এ বিষয়ে সাংবাদিক হাছান আল মামুন নিরাপত্তা চেয়ে বৃহস্পতিবার লামা থানায় (ডায়রী নং- ৫৮৩, তাং- ১৬/০২/১২ইং) ও গত ১২ ফেব্রুয়ারী চকরিয়া থানায় (ডায়রী নং-৫৮৮, তাং- ১২/০২/১২ইং) পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরী করেন। হুমকিদাতা (বিবাদীরা) হলেন, উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের নাজমুল ইসলাম (৬০), মো. রিয়াদ (২৪), মুরাদ (২৭), মো. জাবেদ (২৭), রেজাউল করিম (২৫), মামুন (২৫), জামাল (২৮), সোহাগ (৩০) ও আলতাফ হোসেন (৪৫)।

খুটাখালীতে সড়ক দূর্ঘটনায় ছাত্র নিহত ৩ ঘন্টা সড়ক অবরোধ


মোঃ রেজাউল করিম,
ঈদগাঁও।কক্সবাজারের খুটাখালীতে সড়ক দূর্ঘটনায় স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। ১৬ ফেব্র“য়ারী সকালে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে কিশলয় স্কুল গেইটস্থ স্থানে এ দূর্ঘটনা ঘটে। প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, বৃস্পতিবার সকালে খুটাখালী মিলেনিয়াম স্কুলে যাওয়ার জন্য রাস্তা পার হতে গিয়ে চট্টগ্রাম মুখী মাক্রোবাস স্বজোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা দ্রুত ছাত্রটিকে উদ্ধার করে চকরিয়া জমজম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ছাত্রটি খুটাখালী পূর্ব পাড়ার নাছির আহমদের পুত্র মোহাম্মদ হাসান (৬)। সে মিলেনিয়াম স্কুলের নার্সারী ছাত্র। ছাত্র নিহতের ঘটনায় এলাকাবাসী ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা সাথে সাথে সড়ক অবরোধ করে। নিহত ছাত্রের লাশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে টায়ার পুড়িয়ে প্রায় তিন ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে চকরিয়া থানার ইনচার্জ ফরহাদ মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ,চকরিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাঙ্গীর আলম বুলবুল,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। খুটাখালী চেয়ারম্যান মাওলা আবদুর রহমান,অধ্যক্ষ এসএম মনজুর কিশলয় বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চৌধুরী মোহাম্মদ তৈয়ব ও এলাকাবাসীর দাবীর মুখে অবশেষে ঘটনাস্থলে দু’টি স্পীড ব্রেকার সাথে সাথে বসিয়ে যানচালাচল স্বাভাবিক করেন। উল্লেখ্য উক্ত স্থানে বিগত এক বছরে প্রায় ১৫জন লোকের প্রাণহানি ঘটেছে।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...