মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১২

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥  
দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপ। এতে পর্যটন শিল্পের বিকাশে দীর্ঘ দিন স্থবির থাকা কক্সবাজারের উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন করে চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছে। কক্সবাজারে পর্যটনের বিকাশে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও।

জেলা প্রশাসক মো: জয়নুল বারী জানান, পরিকল্পিত পর্যটন নগরী গড়তে গত ২৭ ফেব্র“য়ারী কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপ আইন অনুমোদন করেছে মন্ত্রীসভা। এর কয়েক মাস আগেই কক্সবাজারবাসীর আরেকটি প্রাণের দাবী ‘মাষ্টারপ্ল্যান’ অনুমোদন দিয়েছে গৃহায়ন ও গণর্পূত মন্ত্রনালয়। সুতরাং এখন থেকে কক্সবাজারের উন্নয়নে আর কোন সমস্যা সৃষ্টি হবেনা বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় এসব কিছু হচ্ছে। যার কারণে কক্সবাজারে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসছেন দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও।

সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে কক্সবাজারে বিমান ও পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাপান। গত ১৯ মার্চ পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খানের সাথে দেখা করে জাপানের একটি বিনিয়োগকারী দল এ আগ্রহের কথা জানান।

জানা যায়, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের পরিচিতি বিশ্ব জুড়ে হলেও নানা কারণে জায়গাটির তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। সমুদ্র তীরবর্তী সব জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে একের পর এক। গত জোট সরকারের সময়েও ইচ্ছে মতো দলীয় নেতা-কর্মীদের সমুদ্র তীরবর্তী জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। নষ্ট করা হচ্ছে সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ। সব মিলিয়ে কক্সবাজার পর্যটন নগরী তার বৈশিষ্ট্য ধরে রাখতে পারছে না। ঠিক ওই সময়ে বর্তমান মহাজোট সরকার মতা গ্রহণের পর পর্যটন শহর কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আবাসন, হোটেল-মোটেল, বিমান বন্দর, সড়ক যোগাযোগসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য একটি মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপ গঠনের কাজ শুরু হয়। শুধু তাই নয়, সরকারের আহবানে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের বিকাশে এগিয়ে আসতে শুরু করে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ইতিমধ্যে অনেক প্রকল্পের কাজও সম্পন্ন করেছে একাধিক দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ কারীরা। বিনোদন সহ নানা েেত্র কয়েক হাজার কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পথে। এছাড়া কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বিমান বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে কাজও শুরু করেছে সরকার। ফলে পর্যটন শহর কক্সবাজারকে নিয়ে হতাশার চাপ কাটিয়ে আশার আলো দেখতে শুরু করে কক্সবাজারবাসী। কিন্তু দূভার্গ্য জনক হলেও সত্য এ অবস্থায় হঠাৎ জেলার উন্নয়ন কার্যক্রম এক প্রকার স্থবির হয়ে পড়ে দীর্ঘ এগার মাস। শুধু তাই নয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গত ৭ই মে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে,   কক্সবাজারে আবার আবাসন ব্যবসার জন্য একটি নতুন নিয়ম করা হয়েছে। এতে ভবন নির্মাণে নিবন্ধন দিতে পৌরসভার মতা বাতিল করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপ’র উপর ন্যাস্ত করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপ আইন পাশ হওয়ায় নকশা অনুমোদন নিতে পারেনি বিনিয়োগকারীরা। ফলে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন না পাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়ে কক্সবাজারের উন্নয়ন কার্যক্রম। এরই মধ্যে গত ২৭ ফেব্র“য়ারী মন্ত্রীসভা কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপ আইন অনুমোদন দেয়ার পর নকশা অনুমোদন দেয়ার কাজ শুরু হয়।
গ্রীণ ডেল্টা হাউজিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (প্রাঃ) লিঃ এর কক্সবাজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান সোহাগ বলেন, পরিকল্পিত পর্যটন নগরী গড়তে গত ২৭ ফেব্র“য়ারী মন্ত্রীসভা কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপ আইন অনুমোদন দেয়ার মধ্য দিয়ে পর্যটন শিল্পের বিকাশে বর্তমান সরকারের আন্তরিকতা ফুঠে উঠেছে। তিনি আশা করেন, গ্রীণ ডেল্টা হাউজিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (প্রাঃ) লিঃ এর ল্যমাত্রা অনুযায়ী কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের বিকাশে ৩০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের কাজ দ্রুত শেষ করতে পারবেন।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...