বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১২

যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে পারবেন না: শেখ হাসিনা

॥ রামু নিউজ ডেস্ক॥
 ঐতিহাসিক ৭ মার্চে ঢাকায় শোভাযাত্রা শুরুর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই। 

বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় সমাবেশ শুরু হলেও বিকাল পৌনে ৫টায় সমাবেশ মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। 

বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেল। আন্দোলনের ডাক কি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য?” 

“যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে পারবেন না, এই বিচার বাংলার মাটিতে হবেই,” বলেন তিনি। 

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে এই সমাবেশে শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর শোভাযাত্রা শুরু হয়। ধানমণ্ডি বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে গিয়ে শেষ হয় ওই শোভাযাত্রা। 

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উদ্বোধন করলেও শেখ হাসিনা এতে অংশ নেননি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এতে নেতৃত্ব দেন। 

সন্ধ্যা ৬টায় শোভাযাত্রার প্রথম অংশটি ধানমণ্ডি বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে পৌঁছায়। এরপর ৬টা ৩০ মিনিটে শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তবে তখন শোভাযাত্রার শেষ অংশ বঙ্গবন্ধু ভবনে পৌঁছায়নি। 

হানিফ এই শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী ১১ মার্চের মানববন্ধন এবং ১৪ মার্চের সমাবেশে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ মঞ্চ হলেও বিকালেই জনসমাগম পশ্চিমে নিউ মার্কেট, পূর্বে পল্টন, উত্তরে কাকরাইল এবং দক্ষিণে বঙ্গবাজার ছাড়িয়ে যায়। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং রমনা পার্কেও অবস্থান নেন অনেকে। 

এই সমাবেশ ও শোভাযাত্রার কারণে প্রায় পুরো ঢাকা জুড়েই দেখা দিয়েছে যানজট। 

৭ মার্চে এই সমাবেশ ও শোভাযাত্রা হলেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেছেন, “খালেদা জিয়া দেশের স্বাধীনতার প্রতি যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, তা প্রতিহত করতেই এই সমাবেশ। 

বরাবর সভা-সেমিনারের মধ্যে দিনটি পালন করলেও এবার ঢাকায় বিশাল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনটি পালন করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই শোভাযাত্রায় সহযোগী সংগঠনগুলোও অংশ নিচ্ছে। 

একদিকে ঐতিহাসিক এই দিনটি পালন এবং অন্যদিকে বিরোধীদলের বহুল আলোচিত সমাবেশের আগে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন- দুটি বিষয়ই প্রাধান্য পাচ্ছে আওয়ামী লীগের কাছে। 

আশরাফ বলেন, “খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে চান। গত নির্বাচনে আইএসআইয়ের টাকা নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন তিনি। খালেদা জিয়া আইএসআইয়ের দালাল।” 

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখো মানুষের জনসভায় ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, “এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।,,,,, ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল।” 

তার ওই ভাষণেই সশস্ত্র যুদ্ধের দিক-নির্দেশনা পায় বাঙালি, এরপর ২৬ মার্চ শুরু হয়ে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পথ বেয়ে আসে স্বাধীনতা। 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু হতে যাওয়া এই শোভাযাত্রায় কয়েক লাখ লোক সমাগম নিশ্চিত করতে বেশ কিছুদিন ধরেই কাজ করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। 

ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডের পাশাপাশি পাশের জেলা থেকেও নেতা-কর্মী-সমর্থকরা এতে যোগ দেয় বলে কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...