ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় শিক্ষক পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন রেখেছে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল।
তবে এ মামলার বাকি দুই আসামি ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হোসনে আরা এবং প্রতিষ্ঠানের বসুন্ধরা শাখার সাবেক প্রধান লুৎফর রহমানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মো. আরিফুর রহমান বুধবার এই আদেশ দেন।
বিচারক আদেশে বলেন, হোসনে আরা এবং লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর্যাপ্ত উপাদান না থাকায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফোরকান মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর পরিমল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জামিন চাইলেও আদালত তা নাকচ করে বিচার শুরুর জন্য ২ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
ভিকারুননিসার দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত বছর ৫ জুলাই স্কুলের বসুন্ধরা শাখার শিক্ষক পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা। এ ঘটনায় সারা দেশে আলোচনার ঝড় ওঠে এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ৭ জুলাই পরিমলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরিমলকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন- এই অভিযোগ ওঠায় ছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে অধ্যক্ষের পদ থেকে সরে যেতে হয় হোসনে আরাকে। আর বরখাস্ত করা হয় বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফর রহমানকে।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর হোসনে আরা ও লুৎফর রহমানকে বাদ দিয়ে শুধু পরিমল জয়ধরকে অন্তর্ভুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। বাদীর নারাজি আবেদনে আদালত পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিলেও আগের মতোই শুধু পরিমলকে আসামি করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
কিন্তু ট্রাইবুন্যালের বিচারক মো. আরিফুর রহমান গত ৯ জানুয়ারি হোসনে আরা ও লুৎফর রহমানের নাম আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেই অভিযোগ আমলে নেন। ওই দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিরও আদেশ দেন তিনি।
হোসনে আরা ও লুৎফর রহমান এরপর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। মামলার আসামি পরিমল বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।