মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

রামুর দূর্বার শিল্পী গোষ্ঠীর কার্যালয়টিও অবশেষে ভূমিদস্যুদের দখলে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের সবচেয়ে প্রাচীনতম সাংস্কৃতিক সংগঠন রামু দূর্বার শিল্পী গোষ্ঠীর কার্যালয়টিও অবশেষে দখল করে নিয়েছে সরকারদলীয় নব্য ভূমিদস্যুচক্র। গতকাল সকালে দুর্বারের শিল্পীরা বেদখলে যাওয়া কার্যালয়টি পুনরায় দখল নিলেও দুপুরে আবার সংগঠনের সাইনবোর্ড ও তালা ভেঙ্গে  ভূমিদস্যুচক্রটি আবারো জবরদখল করে । এঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করলেও পুলিশ
ছিল ভূমিদস্যুদের পক্ষে। এ ঘটনায় রামুর সংস্কৃতিকর্মীসহ সর্বস্থরের জনসাধারনের  মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
জানা গেছে, কক্সবাজার জেলার সাংস্কৃতিক অংগনের প্রাণ রামু দূর্বার শিল্পী গোষ্ঠী। ১৯৮৪ সালে এ সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর থেকে রামু মেরংলোয়া গ্রামে অবস্থিত ওই কার্যালয়ে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চালিযে আসছিল। সম্প্রতি এ কার্যালয় এবং জমিটির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে সরকারদলীয় কিছু নেতাকর্মীর। তারা দুর্বার শিল্পী গোষ্ঠীর শেষ অবলম্বন ও জমিটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে।  এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারী সকালে ৩০ জনের এক সন্ত্রাসীদল ফিল্মী ষ্টাইলে দূর্বার শিল্পী গোষ্টির কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে সংগঠনের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র ভাংচুর ও নাটকের সরঞ্জামাদি তছনছ করে জমিটি দখলে নেয়। ওইদিনই ভুমিদস্যুরা টিনের বেড়া দিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে উক্ত জায়গা দখলে নেয়। গতকাল সাংস্কৃতিক কর্মী এবং সর্বস্তরের জনতা দূর্বারের কার্যলয়টি দখলমুক্ত করলেও ঘন্টা দু’একের মধ্যে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক ও যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পলক বড়–য়া আপ্পু ও জমির কথিত মালিক সুভাষ ধরের নেতৃত্বে একদল ভূমিদস্যু কার্যালয়টি আবার জবর দখল করে নেয়। এসময় তারা দূর্বারের সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলে এবং কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকে মালামাল ভাংচুর করে ওই কক্ষে খাটসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ঢুকিয়ে সুভাষ ধরের আত্মীয় স্বজন ঢোকে পড়ে।
সাংস্কৃতিক কর্মীদের অভিযোগ,  সকালে রামু থানার সেকেন্ড অফিসার কবিরের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ জন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’পক্ষকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় এবং দু’পক্ষের লোকজনকে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বলে। কিন্তু ঘন্টাখানেক পরেই উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কিছুক্ষন পরেই রহস্যজনকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে নব্য ভূমিদস্যু সুভাষ চন্দ্র ধরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পুনঃরায় ভাংচুর করে ও দুর্বার কার্যালয় দখল করে নেয়।
স্থানীয়রা জানায়, ১৯৮৪ সালে দূর্বার শিল্পী গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠার পর থেকে কক্সবাজার জেলাসহ দেশব্যাপী এর সুনাম  বি¯তৃত হয়। স্বৈরচার বিরোধী আন্দোলনেও দুর্বারের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। দীর্ঘ ২৮ বছরের পুরনো এ সংগঠনটি সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ক্ষেত্রে রামুকে এনে দিয়েছে আলাদা পরিচিতি । রামুর অধিকাংশ শিল্পীর হাতেকড়িও এ সংগঠনকে ঘিরেই।
এব্যাপারে দুর্বার শিল্পী গোষ্ঠির সভাপতি শিল্পী বশিরুল ইসলাম জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারী সকালে  একদল ভুমিদস্যু দুর্বার শিল্পী গোষ্টির কার্যালয়ে থাকা গানের বাদ্যযন্ত্র ভাংচুর ও নাটকের বিভিন্ন সরঞ্জমাদি নষ্ট করে, টিনের বেড়া দিয়ে পুরো জায়গা দখল করে নেয়। এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। তিনি জানান, এ সংগঠনের কার্যালয়টি ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে সকল সাংস্কৃতিক কর্মীকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...