মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

বাবার আসনে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক

আমাদের সময় : শরীয়তপুর-৩ উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাহিম রাজ্জাককে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে রিটার্নিং অফিসার ফরহাদ আহমেদ খান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ ঘোষণা দেন। নাহিম রাজ্জাকের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মুহিতুল গণি মিন্টু সরদারের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায় গতকাল চেম্বার জজ আদালত ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত
করলে বিকালে নাহিমকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচন কমিশনের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন গতকাল ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেন। এ আদেশের কারণে মুহিতুল গণি ১৫ মার্চ অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান। আদালতে মুহিতুল গণির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।

গত রোববার মুহিতুল গণির এক রিট আবেদনের পর তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনাল ও রিটার্নিং অফিসারের দেয়া আদেশ স্থগিতও করেন আদালত। নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসারের ওই আদেশ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি), শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রোববার আদালতে মহিতুল গণির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার জাকির হোসেন। সরকারপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুর পর শরীয়তপুর-৩ আসন শূন্য হয়। এ আসনে আগামী ১৫ মার্চ উপনির্বাচন। মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল রোববার। উপনির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাহিম রাজ্জাক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী টিআইএম মহিতুল গণি মনোয়নপত্র দাখিল করেন ১৬ ফেব্র“য়ারি। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার মহিতুল গণির মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আইন অনুযায়ী ওই আসনের মোট ভোটারের শতকরা এক ভাগ সমর্থকদের স্বাক্ষর সম্বলিত তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম রয়েছে। এছাড়া ৬ জন ভোটার ওই তালিকায় স্বাক্ষর করেনি এ অভিযোগে মহিতুল গণির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে মহিতুল গণি ২৩ ফেব্র“য়ারি নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানালেও ট্রাইব্যুনাল রিটার্নিং অফিসারের আদেশ বহাল রাখে। পরে মহিতুল গণি এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনে বলা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী (প্রার্থিতার পক্ষে সমর্থন যাচাই) বিধিমালা-২০১১ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী রিটানিং অফিসার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা যথাযথ হয়নি। আবেদনে আরো বলা হয়, ওই আসনের ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩১ জন। সেই হিসাবে ১ হাজার ৯৬৮ জনের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর সম্বলিত একটি তালিকা দিলেই হয়। সেখানে মহিতুল গণি জমা দিয়েছেন ২ হাজার ৬৮ জনের।

আদেশের পরে মহিতুল গণি গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, সরকার সমর্থক প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী করতেই রিটার্নিং কর্মকর্তা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন। তিনি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাটি থানার ওসিকে বদলির আবেদন জানিয়ে বলেন, এই ওসি সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। ভোটারদের প্রভাবিত করছেন।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...