শুক্রবার, ৯ মার্চ, ২০১২

রামুর অনন্য সংঘ পুরোধা পন্ডিত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের

॥প্রজ্ঞানন্দ শ্রামণ॥    সুমধুর শব্দ রামু নামটি জপ করতেই মনে প্রশান্তি জাগে। নামটি যেন চিরচেনা। ফঁেতখারকুল, চাকমারকুল, রাজারকুল, দক্ষিণ মিঠাছড়ি, জোয়ারিয়ানালা, কাউয়ারখোপ, ইদগড়, খুনিয়াপালং, গর্জনিয়া, রশিদনগর, কচ্ছপিয়া এই এগারটি ইউনিয়ন নিয়ে রামু থানা বা উপজেলা। শিক্ষা-দীক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, আধুনিক সুযোগ সুবিধার বিচারে সকল ইউনিয়ন সমান নয়। আবার প্রাচীন পুরাকীর্তি, প্রাকৃতিক নিদর্শন ও স্থাপত্য শিল্পের দিক দিয়ে ও সমান গুরুত্বপূর্ণ নয়। আলোকিত ব্যক্তির জন্মভূমি হিসেবে সকল ইউনিয়ন সমান নয়। কিন্ত প্রাচীন পুরাকীর্তি, প্রাকৃতিক অপ্রাকৃতিক নিদর্শন, ঐতিহ্য, আলোকিত ব্যক্তি যে ইউনিয়নের হোক না কেন সামগ্রিক ভাবে আমরা গর্ববোধ করি রামুবাসী হিসেবে। আবার রামুর আলোকিত ব্যক্তিবর্গ যে সম্প্রদায়ের হোক না কেন তাও আমরা রামুর জন্মজাত সন্তান হিসেবে গর্ব করি। সাথে আমাদের আরেকটা গর্ব আছে যে আমরা সম্প্রদায় সম্প্রীতির লালনভূমির মানুষ। রামুতে যুগে যুগে অনেক আলোকিত রাজনৈতিক, ধর্মীয়, আধ্যাতিœক, সাংস্কৃতিক সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ চিন্তাবিদ, বুদ্ধিজীবি ব্যক্তিবর্গ জন্ম নিয়েছেন। রামুতে জন্ম নিলেও পর তাঁরা সমগ্র দেশে আলোর দ্যূতি ছড়িয়েছেন। তাঁরা যেখানে জন্ম সেখানে পড়ে থাকেন নি। সেখান থেকে শক্ত ভিত্তিতে দাঁিড়য়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছেন। সমাজ, দেশ, মানবতার কল্যাণে একাগ্রভাবে কাজ করেছেন। পুরো রামু তাদের নিয়ে গর্ব করেছে এখনো করছে এবং ভবিষ্যতে ও করবে। সংসারে প্রতিদিন অনেক মানুষের জন্ম হয়। কিন্তু সবাই আলোকিত মানুষ হয় না। তাই একজন মানুষ মারা গেলে অল্প সময়ে তার ঘাটতি পূরণ করা যায়। কিন্তু একজন আলোকিত গুণীজন মারা গেলে তার আসন শূণ্য থেকে যায় যুগ যুগ ধরে। অথচ যাঁরা এতটা দুর্লভ ব্যক্তি তাঁরা অনেক সময় আমাদের অগোচরে রয়ে যায়। আমরা তাদের চিনতে পারি না। জাতপাত, ধর্ম, সমাজ ইত্যাদির চাদর মুড়িয়ে তাদের আলাদা করে রাখি। কালান্তরে হাতশা আর গ্লানি নিয়ে তাঁরা আমাদের কাজ থেকে বিদায় নেন। পরে আমরা আপসোস করি। তাজাফুলের মালা দিয়ে মরদেহ ঢেকে রাখি; যেন মরনোত্তর স্বীকৃতি। গুনীজন বলেন
“সাগরে কত মণি মুক্তা, বাগানে কত ফুল ফোটে
কিন্তু কার খবর কে রাখে, অনাদরে তা ঝরে যায়।”

বাগানে প্রতিদিন অনেক ফুল ফুটে। কিন্তু সব ফুল তো আর গোলাপ হয় না। গোলাপের সৌরভ তো আর সব ফুলে থাকে না। ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন
“যে দেশে গুনীর সমাদর হয় না, যে দেশে গুণীর জন্ম হয় না।”

অথচ সমাজ, জাতি, দেশ কিংবা বিশ্বে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটাতে হলে যুগে যুগে সর্বত্রে গুনী মানুষের প্রয়োজন। কোন সমাজ, সম্প্রদায়, জাতি, কিংবা দেশে যত বেশি গুনীর জন্ম হয়, সেই সমাজ, সম্প্রদায়, জাতি কিংবা দেশ তত বেশি উন্নত হয়। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের কথা ভেবে দেখুন। ভারত শুধু একটি গণতান্ত্রিক দেশ নয়, এটা সর্বজাতির তীর্থধাম ও বটে। সনাতন ধর্মের প্রবর্তক, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক যুগে যুগে ভারত বর্ষে আবির্ভূত হয়েছেন এবং ভবিষ্যতে ও হবেন। এবং ভারত বর্ষ থেকে শান্তি সাম্য, মৈত্রী অহিংসা নীতি সারাবিশ্বে ছড়াবেন। অন্যান্য ধর্ম প্রবর্তকগণ ও ভারতবর্ষকে বেছে নেবেন। এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে ভারতবর্ষে গুনীর সমাদর হয়। যার কারণে ভারত বর্ষে যুগে যুগে এমন কিছু ব্যক্তির আগমন ঘটে যাঁদের কাছে পুরোবিশ্ব পদানত হয়। তাঁদের উপর ভর করে মহাভারতের মহিমা বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে। বলতে দ্বিধা নেই যে আমাদের দেশে এখনো গুনীজনের প্রকৃত পূজা হয় না। আমাদের চরম লজ্জা ও অপমান নিয়ে প্রতিবছর বুদ্ধজীবি হত্যা দিবস পালন করতে হয়। এখানে এমন কিছু মানুষের জন্ম হয়  দেশকে অধোমূখী করে রাখতে তারাই যথেষ্ট । বাইরের কোন অপশক্তির প্রয়োজন নেই । সত্য কথা লিখলে হাত কেটে নেওয়া হয়। মূখ ফোটে সত্য কথা বললে গলা কেটে নেওয়া হয়। আর সত্যের পক্ষে বেশি মাতামাতি করলে জীবনের ঢাল থেকে ছেটে ফেলে দেওয়া হয়। ধান ভানতে শিবের গীত করার কোন বালাই নেই। যাঁকে কেন্দ্র করে আমার এ প্রবন্ধ, তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় রামুর জন্মজাত কীর্তিমান পুরুষ পন্ডিত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের। তাঁর বর্ণাঢ্য নন্দিত জীবনের আতœকাহিনী লিখতে হলে এক জোড়া পাকা হাত প্রয়োজন। কিন্তু যে অধম এ প্রবন্ধ শুরু করেছে তার হাত অতি কাচা। যার ফলে ধৈর্য্যশীল সুধী পাঠকবৃন্দ এ প্রবন্ধ পাঠে যতটুকু মনের খোরাক পাওয়া প্রয়োজন ততটুকু পাবেন না, তা অকপটটে স্বীকার করছি। ১৯৩০ সালের ১০ জুন রামু উপজেলাধীন মেরংলোয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন পুণ্যাভিসংস্কার সম্পন্ন এক পুণ্যবান সত্ত্ব বিধুভূষণ বড়ুয়া। সেই বিধুভূষণ বড়–য়া পরে ত্যাগদীপ্ত ভিক্ষুজীবনব্রত গ্রহণ করে আজকের প্রথিতযশা সাংঘিক পুরোধা, ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের’র আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তাঁর পিতা প্রয়াত হরকুমার বড়ুয়া এবং মাতা প্রেমময়ী বড়ুয়া। পারিবারিক জীবনে   তাঁরা ছিলেন তিনভাই Ñ রমনী বড়ুয়া, শ্রীমন্ত বড়ুয়া এবং বিধুভূষণ বড়ুয়া। তিনি মাত্র বিশ বছর বয়সে বুদ্ধশাসনে প্রব্রজ্যা বা শ্রামণ্য ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি একই বছরে শুভ উপসম্পদা বা ভিক্ষুজীবন গ্রহণ করেন। তাঁর গুরু ছিলেন ভারত-বাংলা উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংঘমনীষা ৬ষ্ঠ সংগীতিকারক, ত্রিপিটক বিশোধক, মহাপ-িত বিনয়াচার্য আর্যবংশ মহাথের মহোদয়। ভিক্ষুধর্ম গ্রহণ করার বছর চারেক পর ১৯৫৪ সালে তিনি উচ্চতর ধর্মশিক্ষা বা ত্রিপিটক শিক্ষা লাভের জন্য মিয়ানমার (বার্মা) গমণ করেন। সেখানে তিনি প্রায় এক দশক সময়কাল পর্যন্ত বিভিন্ন পন্ডিত, প্রাজ্ঞ, সাধক এবং স্বনামধন্য সংঘমনীষার সান্নিধ্যে ত্রিপিটক শাস্ত্র অধ্যয়ন এবং বিদর্শন ভাবনা অনুশীলন করেন। পরে রামু বাসীর একান্ত অনুরোধে তিনি ১৯৬৪ সালে এদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। নিজ জন্মভূমি রামুতে এসেই তিনি রামু সীমা বিহারের দায়িত্ব নেন। সেই থেকে অদ্যাবধি প্রায় পাঁচ দশক সময় ধরে তিনি রামু সীমা বিহারে অবস্থান করছেন। স্বদেশে প্রায় ৫০টি বছর তিনি হেলায় ধূলায় কাটিয়ে দেননি। এই পঞ্চাশ বছরে তিনি সমাজ, ধর্ম, সম্প্রদায়, জাতি এবং দেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন। স্বদেশে ফেরার প্রায় সাত বছরের গোড়ায় দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। তিনি প্রাণভয়ে ভীত হয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন নি। তিনি গ্রামের সাধারণ মানুষদের কথা ভেবে বিহারে থেকে যান। পাকবাহিনী জৈনক সৈন্য বিহারে আসলে তিনি তাদের সাথে সরাসরি কথা বলেন। এমনকি রামুর সাহসী সন্তান শশাংক বড়ুয়াকে যখন পাকবাহিনী নির্মম ভাবে হত্যা করে তখন তিনি অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রয়াত শশাংক বড়ুয়ার অন্ত্যেষ্ঠিক্রিয়া সম্পাদন করে। সেই বিপদের সময় তিনি কেবল বৌদ্ধদের পাশে ছিলেন না; তিনি হিন্দু, মুসলিম সবাইকে বিহারে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তিনি এখনো মুক্তিযোদ্ধের অনেক অভিজ্ঞতার কথা অকপটে বলে যান। বর্তমান সময়ে কক্সবাজার জেলায় অনেক বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘ দেখা যায়। বলতে পারি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিক্ষুসংঘ কক্সবাজার অঞ্চলে অবস্থান করছেন। কিন্তু তাঁর সময়ে এতগুলো ভিক্ষুসংঘ ছিল না। তাই তিনি রামু, চকরিয়া, মানিকপুর, মহেশখালী, উখিয়া সর্বত্র বিচরণ করতেন সমাজ ও জাতির কল্যাণে। আগে যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটা উন্ন ত ছিল না। দীর্ঘ পথ হেটে অতিক্রম করতে হত। তিনি কখনো রামু থেকে পায়ে হেটে উখিয়া, কখনো চকরিয়া, কখনো মানিকপুর পর্যন্ত গিয়েছেন। অনেক কষ্ট স্বীকার করে ধর্ম প্রচার করেছেন। এইভাবে চলতে যাকে দীর্ঘবছর। তিনি কক্সবাজার অঞ্চলের বৌদ্ধ সমাজকে রীতিমত নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। পরে তিনি কক্সবাজার জেলার আঞ্চলিক সংঘনায়ক এর স্বীকৃতি লাভ করলেন। তাঁর নীতি-আদর্শ, শীল, বিনয়, জ্ঞান, গরিমা, প্রজ্ঞা-মেধা, কর্ম প্রতিভার বিচারে তাঁকে বাংলাদেশী বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সর্বোচ্চ সুপ্রাচীন ধর্মীয় সাংঘিক সংগঠক বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতির দায়িত্বভার দেওয়া হয়। কক্সবাজার অঞ্চলের তিনিই একমাত্র বড়–য়া বৌদ্ধ ভিক্ষু যিনি আঞ্চলিক সংঘনায়ক এবং সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি হতে পেরেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু। তিনি এমন এক আদর্শ বৌদ্ধ ভিক্ষু যিনি বিনয়ের সাথে গভীর সম্পর্ক রক্ষা করে স্বীয় ভিক্ষু জীবন অতিবাহিত করছেন। তিনি একাধারে সুবক্তা, লেখক, সংগঠক এবং আন্তর্জাতিক মানের রামুর এক অনন্য প্রতিভা। তিনি স্বদেশে যেমন শ্রদ্ধায় পূজিত ও বরিত হন; তেমনি স্বদেশের সীমানার বাইরে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক পরিসরে ও রয়েছে তাঁর যথেষ্ট পূজা ও সৎকার। এপর্যন্ত তিনি শ্রীলংকা, মায়ানমা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, ভারত, নেপাল, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি রাষ্ট্র ভ্রমণ করেছেন। ভ্রমণকালে তিনি সেখানে অনন্য সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি ২০০৪ সালে নয়া দিল্লীতে ভারত সরকার কর্তৃক আয়োজিত International Conclave On Buddhaism And Spiritual Tourism শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে বাংলাদেশের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি প্রতিনিধি দলের সাথে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রিত হয়ে সংবর্ধিত হন এবং প্রেসিডেন্ট ড. এ.পি.জে আব্দুল কালাম আজাদ কর্তৃক উপহার স্বরূপ সম্মাননা প্রাপ্ত হন। ২০০৫ সালে মায়ানমা অনুষ্ঠিত World Buddhist Summit  এ ৪সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি সহ বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০০৭ সালে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত United Nations Day Of Vesak  এ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অংশ গ্রহণ করেন এবং ২০০৭ সালে সিঙ্গাপুরের চাইনিজ বৌদ্ধদের কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেন ্এবং তথায় মানবতাবাদী বৌদ্ধ সংগঠন Buddhist  Compassion Relief TZU Chi Foundation, Singapore Chapter  এর সাথে মিলিত হন। ত্রিপিটক সাহিত্যের উপর তাঁর অগাধ পা-িত্যের স্বীকৃতি সরূপ ২০০৩ সালে মায়ানমা সরকার তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্মানের কায়দায় ‘অ¹মহাসদ্ধম্মজোতিকধজ’ (অগ্রমহাসদ্ধর্মজ্যোতিনিশান) উপাধি প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি স্বদেশে বিদেশে বিভিন্ন বিরল সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। জন্মভূমি রামু তথা সমগ্র দেশকে বারবার গর্বিত করেছেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৮২ বছর। জীবনের এই বিরাশিটি বসন্তকে তিনি সাজিয়েছেন শীল, বিনয়, প্রজ্ঞা এবং সমাধির আলপনায়। আজ তাঁর হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠান। পুরো দেশে হৈচৈ পড়ে গেছে। অদ্য তিনি জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ কর্তক সম্মানিত হবেন। তিনি সবার মাঝে অনন্তকাল ধরে জেগে থাকবেন। আজকের এই শুভ মাহেন্দ্রক্ষণে আমি গুরুদেবের নিরাময় সুদীর্ঘায়ু কামনা করছি।

জয়তু সত্যপ্রিয় মহাথের
জয়তু হীরক জয়ন্তী।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...