॥ মো.আবুল বশর নয়ন, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) ॥
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের দুটি টোল পয়েন্ট ভেঙ্গে দিয়েছে ক্ষুব্ধ দুস্কৃতকারীরা। গতকাল সন্ধ্যায় রামু উপজেলার বেশ ক’জন চেয়ারম্যানসহ প্রতিবাদ সমাবেশে আসা লোকজন নাইক্ষ্যংছড়ির দুটি টোল পয়েন্টে এ হামলা চালায় বলে প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের দুটি টোল পয়েন্টে টোল আদায়কে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার ব্যবসায়ী
ও টোল পয়েন্টের ইজারাদারদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের দুটি টোল পয়েন্ট ভেঙ্গে দিয়েছে ক্ষুব্ধ দুস্কৃতকারীরা। গতকাল সন্ধ্যায় রামু উপজেলার বেশ ক’জন চেয়ারম্যানসহ প্রতিবাদ সমাবেশে আসা লোকজন নাইক্ষ্যংছড়ির দুটি টোল পয়েন্টে এ হামলা চালায় বলে প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের দুটি টোল পয়েন্টে টোল আদায়কে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার ব্যবসায়ী
একই পন্য দুই স্থানে টোল পরিশোধ করা হচ্ছে বলে বহিরাগত ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারী) রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ অন্যন্য চেয়ারম্যানদের সমর্থনে গর্জনিয়া বাজার এলাকায় এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে ব্যবসায়ীরা। উক্ত প্রতিবাদ সভা শেষে সন্ধ্যায় মোটর সাইকেল ও জীপ যোগে বিক্ষুব্ধ লোকজন ইউনিয়ন পরিষদের টোল পয়েন্ট ও হাসপাতাল রোড়স্থ পার্বত্য জেলা পরিষদের টোল পয়েন্টে হামলা চালায়।
জেলা পরিষদ টোল পয়েন্টের ইজারাদার আবু তাহের ও ইউনিয়ন পরিষদ টোল পয়েন্টর ইজারাদার মো: ওসমান জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বহিরাগত ব্যবসায়ীরা টোল আদায় বন্ধ করতে তাদের হুমকি প্রদর্শন করে আসছিল। মোটা অংকের অর্থ বিনিয়োগ করে ইজারা নেওয়া টোল পয়েন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আরও ৪/৫ মাস বাকি রয়েছে। এরই মধ্যে তারা টোল আদায় বন্ধ করলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে জানায়।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আরেফ উল্লাহ ছুট্টু জানায়, দু®কৃতিকারীরা দুটি টোল পয়েন্ট হামলা চালিয়ে নগদ টাকা লুট, টোল পয়েন্ট ও সাইন বোর্ড ভাংচুর করে। এসময় তাদের হামলায় তবারক, ফখরু, আবদুল হাকিম ও ফরিদুল আলম, আবদুল হাকিম নামে ৫ এক ব্যাক্তি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এসআই, আবুল কালাম জানায়, হামলার পর ঘটনাস্থল তিনি পরিদর্শন করা হয়ছে।ে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
টোল পয়েন্ট হামলার ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার ব্যবসায়ী মহল ও ইজারাদারদের মাঝে বর্তমানে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এলাকাবাসী জানান, যেকোন সময় টোল আদায় নিয়ে দুই উপজেলার ব্যবসায়ীদের মাঝে বড় ধরনরে সহিংসতার আশংকা রয়েছে ।