রামু নিউজ রিপোর্ট: মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পান্তাপাড়া এলাকায় বাস উল্টে খালে পড়ে ১৭ জন
নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত অন্তত ৫০ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের পাশের ডাইভারশন রোড
দিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা বেশিরভাগই চরমোনাইগামী মুসলি্ল। তারা
মাহফিলে
যোগ দিতে সেখানে যাচ্ছিলেন। পরে বিক্ষুব্ধ জনগণ এক ঘণ্টা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এছাড়া সিলেট, রাজবাড়ী, শাহজাদপুর ও দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. নজরুল হোসেনের বরাত দিয়ে আমাদের মাদারীপুর প্রতিনিধি জানান, নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার সিরাজ খন্দকার, সিরাজুল ইসলাম, দুধখালী এলাকার সোবহান মুন্সী, রাজৈর উপজেলার গনি খাঁ, শরীয়তপুরের জাজিরার মনির হোসেন ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার জবেদ মাতুব্বর। তাৎক্ষণিকভাবে বাকিদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাসযাত্রী আবদুর রহমান বলেন, বাসের ছাদে ও ভেতরে কমপক্ষে ১০০ যাত্রী ছিলেন। এদের অধিকাংশই বরিশালের চরমোনাই পীরের মাহফিলে যাচ্ছিলেন। এছাড়া এ ঘটনায় লিয়াকত হোসেন, মীম, হারুন খান, মোমেন শেখ, তোতা মিয়া, শাহ-আলম মুন্সী, আনিসুর রহমান, মজিবুর, সঞ্জিত সরকার, লিয়াকত খান, রাজ্জাক, সোলায়মান, রজব, আবদুস সালাম, গোলাম সারোয়ার, কুটি মাতুব্বর, আবু তালেব, শাজাহান ঘরামী, সাহেব আলী, নুরুল হক, জাকির, রতন মাতুব্বর, শাহেদা, আবদুস শরীফ, আবদুর রহমান, মানিক, রতন মিয়া, মোহম্মদ লিয়াকত, ফারুক, আলাউদ্দিনসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩০ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাদারীপুর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা করছিল। এদিকে এ ঘটনার পরই স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ঘটনাস্থলে যান। তার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেন স্থানীয়রা। পরে মন্ত্রী হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান এবং তাদের উন্নত চিকিৎসার নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, মাদারীপুরের মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে একদল মুসলি্ল বরিশালের চরমোনাই যাওয়ার উদ্দেশে বাসটিতে ওঠেন। বাসটির ছাদ ও ভেতরে অসংখ্য যাত্রী ছিলেন। গাড়িটি ডাইভারশন রোড দিয়ে যাওয়া সময় উল্টে যায়। এতে ছাদে থাকা মুসলি্লরা পড়ে যান। এ সময় তাদের ওপরই গাড়িটি আছড়ে পড়ে। মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মাসুদ পারভেজ বলেন, পান্তাপাড়া এলাকার ব্রিজটি দুই বছর ধরে নির্মাণাধীন অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। এর আগে গত বছর একই স্থানে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন মারা যান।
রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার আমতলা নামক স্থানে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবদুস সালাম (৪২) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি পাংশা পৌর এলাকার পূর্বনারায়ণপুর গ্রামে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, শাহজাদপুরের তালগাছিতে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। তারা হলেন উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের টেপিয়ারপাড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে শফি (২২) ও আবুল কাশেমের ছেলে হাশেম (২৩)। নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট থেকে জানান, নগরীর শেখঘাটে অটোটেম্পো চাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত তাহমিনা আক্তার (১০) নগরীর খুলিয়াটুলার জামাল মিয়ার মেয়ে ও শেখঘাট মঈনুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। তাহমিনা নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা রিকাবীবাজার-শেখঘাট-তালতলা সড়ক একঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, পঞ্চগড়-বীরগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় এক গৃহকর্মী নিহত হয়েছেন। বীরগঞ্জে গতকাল সকালে দুর্ঘটনায় আছিয়া খাতুন (৫০) নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে সকাল সাড়ে ৮টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সড়ক অবরোধ ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী সড়কের সোনাইমুড়ীর বগাদিয়া নামক স্থানে তাহান (১০) নামে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্র অতিক্রম করার সময় জননী বাস চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে তার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী সড়ক অবরোধ করে রাখে এবং জননী বাসসহ দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে। জানা যায়, চৌমুহনী থেকে একটি জননী বাস রামগঞ্জ যাওয়ার পথে সোনাইমুড়ী বগাদিয়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। নিহতের পিতার নাম আবদুল গফুর।
যোগ দিতে সেখানে যাচ্ছিলেন। পরে বিক্ষুব্ধ জনগণ এক ঘণ্টা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এছাড়া সিলেট, রাজবাড়ী, শাহজাদপুর ও দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. নজরুল হোসেনের বরাত দিয়ে আমাদের মাদারীপুর প্রতিনিধি জানান, নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার সিরাজ খন্দকার, সিরাজুল ইসলাম, দুধখালী এলাকার সোবহান মুন্সী, রাজৈর উপজেলার গনি খাঁ, শরীয়তপুরের জাজিরার মনির হোসেন ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার জবেদ মাতুব্বর। তাৎক্ষণিকভাবে বাকিদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাসযাত্রী আবদুর রহমান বলেন, বাসের ছাদে ও ভেতরে কমপক্ষে ১০০ যাত্রী ছিলেন। এদের অধিকাংশই বরিশালের চরমোনাই পীরের মাহফিলে যাচ্ছিলেন। এছাড়া এ ঘটনায় লিয়াকত হোসেন, মীম, হারুন খান, মোমেন শেখ, তোতা মিয়া, শাহ-আলম মুন্সী, আনিসুর রহমান, মজিবুর, সঞ্জিত সরকার, লিয়াকত খান, রাজ্জাক, সোলায়মান, রজব, আবদুস সালাম, গোলাম সারোয়ার, কুটি মাতুব্বর, আবু তালেব, শাজাহান ঘরামী, সাহেব আলী, নুরুল হক, জাকির, রতন মাতুব্বর, শাহেদা, আবদুস শরীফ, আবদুর রহমান, মানিক, রতন মিয়া, মোহম্মদ লিয়াকত, ফারুক, আলাউদ্দিনসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩০ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাদারীপুর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা করছিল। এদিকে এ ঘটনার পরই স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ঘটনাস্থলে যান। তার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেন স্থানীয়রা। পরে মন্ত্রী হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান এবং তাদের উন্নত চিকিৎসার নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, মাদারীপুরের মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে একদল মুসলি্ল বরিশালের চরমোনাই যাওয়ার উদ্দেশে বাসটিতে ওঠেন। বাসটির ছাদ ও ভেতরে অসংখ্য যাত্রী ছিলেন। গাড়িটি ডাইভারশন রোড দিয়ে যাওয়া সময় উল্টে যায়। এতে ছাদে থাকা মুসলি্লরা পড়ে যান। এ সময় তাদের ওপরই গাড়িটি আছড়ে পড়ে। মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মাসুদ পারভেজ বলেন, পান্তাপাড়া এলাকার ব্রিজটি দুই বছর ধরে নির্মাণাধীন অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। এর আগে গত বছর একই স্থানে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন মারা যান।
রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার আমতলা নামক স্থানে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবদুস সালাম (৪২) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি পাংশা পৌর এলাকার পূর্বনারায়ণপুর গ্রামে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, শাহজাদপুরের তালগাছিতে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। তারা হলেন উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের টেপিয়ারপাড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে শফি (২২) ও আবুল কাশেমের ছেলে হাশেম (২৩)। নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট থেকে জানান, নগরীর শেখঘাটে অটোটেম্পো চাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত তাহমিনা আক্তার (১০) নগরীর খুলিয়াটুলার জামাল মিয়ার মেয়ে ও শেখঘাট মঈনুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। তাহমিনা নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা রিকাবীবাজার-শেখঘাট-তালতলা সড়ক একঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, পঞ্চগড়-বীরগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় এক গৃহকর্মী নিহত হয়েছেন। বীরগঞ্জে গতকাল সকালে দুর্ঘটনায় আছিয়া খাতুন (৫০) নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে সকাল সাড়ে ৮টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সড়ক অবরোধ ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী সড়কের সোনাইমুড়ীর বগাদিয়া নামক স্থানে তাহান (১০) নামে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্র অতিক্রম করার সময় জননী বাস চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে তার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী সড়ক অবরোধ করে রাখে এবং জননী বাসসহ দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে। জানা যায়, চৌমুহনী থেকে একটি জননী বাস রামগঞ্জ যাওয়ার পথে সোনাইমুড়ী বগাদিয়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। নিহতের পিতার নাম আবদুল গফুর।