॥ মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ॥
চৈত্রের গরম পড়তে না পড়তেই শুরু হয়েছে বৃহত্তর ঈদগাঁওতে দফায় দফায় লোডশেডিং। সেই সাথে গ্রাহক বেশি দাম দিয়েও নিয়মিত বিদ্যুৎ পাচ্ছেনা। বর্তমানে ঈদগাঁওতে দৈনিক ৪/৫বার লোডশেডিং হচ্ছে। এ কারণে ঈদগাঁওর সেচ ব্যবস্থা ও ইসলামপুর শিল্প কারখানার উৎপাদন চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আর ব্যাঘাত হচ্ছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী বিশেষ করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায়। এই নিয়ে ক্ষোব্ধ হয়ে উঠেছে বৃহত্তর ঈদগাঁও প্রায় ২০হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিক্ষোব্ধ জনতা যে কোন মুহুর্তে মিছিল, অফিস ঘেরাও ও সড়ক অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচী পালন করারও হুমকি দেন। এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, চৌফলদণ্ডী পোকখালীতে প্রতিদিন প্রায় ৪/৬ঘন্টা বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। শিল্প এলাকা ইসলামপুরে ও অনরূপ ভাবে চলছে লোডশেডিংয়ের তেলেসমাতি। গত ৩বছরে বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়লেও কমেনি লোডশেডিংয়ের মাত্রা। এরপরও চলছে দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি। কিন্তু লোডশেডিং অভিশাপ থেকে মুক্তি মেলেনি বৃহত্তর ঈদগাঁওর পোকখালী,ইসলামপুর,চৌফলদণ্ডী,জালালাবাদ,ইসলামাবাদ ও ঈদগড়ের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক গ্রাহক। ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঈদগাঁও সাবগ্রীডটি উৎপাদনে মেঘাওয়াট বৃদ্ধি করা হয়েছে। শীঘ্রীই এর নিরসন হবে।