॥সোয়েব সাঈদ॥
কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি এলাকার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী প্রজ্ঞামিত্র বন বিহারটি সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। যে কোন মূহুর্তে এটি ধ্বসে পড়ার আশংকায় নতুন করে বিহার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসী।
সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, ১৭৬৭ সালে তৎকালীন রাখাইন সম্প্রদায় প্রায় ১২ একর জমিতে এ বিহারটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রায় আড়াইশত বছর পূর্বে কাঠ দিয়ে
তৈরী বনবিহারের সাথে নির্মাণ করা হয় দৃষ্টিনন্দন বুদ্ধধাতু জাদি, সীমা বিহার ও চৈত্য মন্দির। কালের পরিক্রমায় এগুলো এখন অতি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। জনশ্রুতি রয়েছে, এ মন্দিরে একশ’রও অধিক বুদ্ধ মূর্তি ছিলো। যথাযথ তদারকি ও রক্ষনাŸেক্ষনের অভাবে অধিকাংশ মূর্তি উধাও হয়ে গেছে। তৎমধ্যে অনেক মূর্তি বিনষ্ট ও স্থান সংকুলান না হওয়ায় জেলার বিভিন্ন মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছে।
প্রজ্ঞামিত্র বন বিহারের অধ্যক্ষ, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক শ্রীমৎ সারমিত্র মহাথের জানান, এটি বহু পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী মন্দির। প্রায় আড়াইশত বছর পূর্বে রাখাইন সম্প্রদায় মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে মায়ানমারে চলে যান। সেই থেকে গ্রামবাসী এ মন্দির দেখাশোনা করে আসছে। বর্তমানে মন্দিরটি বেশ ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই এ বিহারের পাশে নতুন একটি পাকা মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, অর্থাভাবে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় পুরনো এ মন্দিরটি এখন ভেঙ্গে ফেলা ছাড়া কোন উপায় নেই।
বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়–য়া জানান, প্রায় আড়াইশ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ মন্দির এলাকাবাসী রক্ষনাবেক্ষন করে আসছে। বুদ্ধ পূর্ণিমা,স্বর্গপুরী উৎসব,কঠিন চীবরদানসহ নানা ধর্মীয় আয়োজনে দূর-দূরান্তেরর পুন্যার্থীর উপস্থিতিতে এ মন্দির সারা বছর মুখরিত থাকে। তিনি এ মন্দিরের উন্নয়নে সরকারী-বেসরকারী সহায়তা কামনা করেছেন।
অপরদিকে পুরনো এ বিহারের পাশে প্রাচীন বৌদ্ধ শ্মশানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র। সেখানে স্থাপন করা হচ্ছে ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য গৌতম বুদ্ধের সিংহশয্যা মূর্তি। এটি দেশের বৃহত্তম বুদ্ধ মুর্তি। তৈরীর কাজও প্রায় শেষ প্রান্তে। মুর্তিটির রঙের কাজ চলমান, তবে উপরে টিনশেড ছাউনির কাজ বাকি রয়েছে। ইতিমধ্যে এ বুদ্ধমূর্তিটি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করায় প্রতিদিন দেশে-বিদেশের বিপুল সংখ্যক পুজার্থী, পর্যটক ও দর্শনার্থীর উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। জরাজীর্ণ বনবিহারটি সংস্কার করা হলে এ স্থানটির গুরুত্ব আরো বাড়বে এমন ধারনা রামুর সচেতন মহলের।
ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালক ও ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য গৌতম বুদ্ধের সিংহশয্যা মূর্তির প্রতিষ্ঠাতা করুনাশ্রী থের জানান, এ মূর্তিটি দেখার জন্য দেশী বিদেশী অনেক পর্যটক এখানে আসছে। ২০০৬ সালের ১৫ অক্টোবরে এ মূতির নির্মান কাজ শুরু হয়।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক জানান, প্রজ্ঞামিত্র বন বিহার একটি পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ মন্দির। এ মন্দিরের উন্নয়নে সরকারীভাবে সহায়তা দেয়া হবে। মন্দিরের জমি দখল বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই মন্দিরের পাশে বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে নির্মিত দেশের বৃহত্তম ১০০ ফুট দীর্ঘ সিংহশয্যা বুদ্ধ মূর্তিটি পর্যটকদের কাছে নতুনত্বের স্বাদ দেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি এলাকার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী প্রজ্ঞামিত্র বন বিহারটি সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। যে কোন মূহুর্তে এটি ধ্বসে পড়ার আশংকায় নতুন করে বিহার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসী।
সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, ১৭৬৭ সালে তৎকালীন রাখাইন সম্প্রদায় প্রায় ১২ একর জমিতে এ বিহারটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রায় আড়াইশত বছর পূর্বে কাঠ দিয়ে
তৈরী বনবিহারের সাথে নির্মাণ করা হয় দৃষ্টিনন্দন বুদ্ধধাতু জাদি, সীমা বিহার ও চৈত্য মন্দির। কালের পরিক্রমায় এগুলো এখন অতি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। জনশ্রুতি রয়েছে, এ মন্দিরে একশ’রও অধিক বুদ্ধ মূর্তি ছিলো। যথাযথ তদারকি ও রক্ষনাŸেক্ষনের অভাবে অধিকাংশ মূর্তি উধাও হয়ে গেছে। তৎমধ্যে অনেক মূর্তি বিনষ্ট ও স্থান সংকুলান না হওয়ায় জেলার বিভিন্ন মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছে।
প্রজ্ঞামিত্র বন বিহারের অধ্যক্ষ, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক শ্রীমৎ সারমিত্র মহাথের জানান, এটি বহু পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী মন্দির। প্রায় আড়াইশত বছর পূর্বে রাখাইন সম্প্রদায় মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে মায়ানমারে চলে যান। সেই থেকে গ্রামবাসী এ মন্দির দেখাশোনা করে আসছে। বর্তমানে মন্দিরটি বেশ ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই এ বিহারের পাশে নতুন একটি পাকা মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, অর্থাভাবে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় পুরনো এ মন্দিরটি এখন ভেঙ্গে ফেলা ছাড়া কোন উপায় নেই।
বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়–য়া জানান, প্রায় আড়াইশ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ মন্দির এলাকাবাসী রক্ষনাবেক্ষন করে আসছে। বুদ্ধ পূর্ণিমা,স্বর্গপুরী উৎসব,কঠিন চীবরদানসহ নানা ধর্মীয় আয়োজনে দূর-দূরান্তেরর পুন্যার্থীর উপস্থিতিতে এ মন্দির সারা বছর মুখরিত থাকে। তিনি এ মন্দিরের উন্নয়নে সরকারী-বেসরকারী সহায়তা কামনা করেছেন।
অপরদিকে পুরনো এ বিহারের পাশে প্রাচীন বৌদ্ধ শ্মশানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র। সেখানে স্থাপন করা হচ্ছে ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য গৌতম বুদ্ধের সিংহশয্যা মূর্তি। এটি দেশের বৃহত্তম বুদ্ধ মুর্তি। তৈরীর কাজও প্রায় শেষ প্রান্তে। মুর্তিটির রঙের কাজ চলমান, তবে উপরে টিনশেড ছাউনির কাজ বাকি রয়েছে। ইতিমধ্যে এ বুদ্ধমূর্তিটি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করায় প্রতিদিন দেশে-বিদেশের বিপুল সংখ্যক পুজার্থী, পর্যটক ও দর্শনার্থীর উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। জরাজীর্ণ বনবিহারটি সংস্কার করা হলে এ স্থানটির গুরুত্ব আরো বাড়বে এমন ধারনা রামুর সচেতন মহলের।
ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালক ও ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য গৌতম বুদ্ধের সিংহশয্যা মূর্তির প্রতিষ্ঠাতা করুনাশ্রী থের জানান, এ মূর্তিটি দেখার জন্য দেশী বিদেশী অনেক পর্যটক এখানে আসছে। ২০০৬ সালের ১৫ অক্টোবরে এ মূতির নির্মান কাজ শুরু হয়।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক জানান, প্রজ্ঞামিত্র বন বিহার একটি পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ মন্দির। এ মন্দিরের উন্নয়নে সরকারীভাবে সহায়তা দেয়া হবে। মন্দিরের জমি দখল বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই মন্দিরের পাশে বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে নির্মিত দেশের বৃহত্তম ১০০ ফুট দীর্ঘ সিংহশয্যা বুদ্ধ মূর্তিটি পর্যটকদের কাছে নতুনত্বের স্বাদ দেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।