শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১২

ওসি ও আইসির অপসারণ দাবী : ঈদগাঁওতে মাহফিল বন্ধ করায় ক্ষোভ

মোঃ রেজাউল করিম,ঈদগাঁও ॥ 
ঈদগাঁও হাইস্কুল মাঠের তাফসীর মাহফিল আকস্মিক বন্ধ ও পেন্ডেল ভেঙ্গে দিয়েছে পুলিশ। ৫ এপ্রিল রাতে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে জুমাবার বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন মসজিদে সংশ্লিষ্টদের ধিক্কার জানানো হয়। নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক ােভের সঞ্চার হয়েছে। উদ্বুত পরিস্থিতি সামাল দিতে মসজিদ ও বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ পাহারা বসানো হয়। ঘটনার প্রতিবাদে আযোজকরা সংবাদ সম্মেলনে  ওসি ও আইসির অপসারণ দাবী করেন।
প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, ৬ ও ৭ এপ্রিল ঈদগাহ হাই স্কুল মাঠে ঐতিহাসিক তাফসীরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ লক্ষে আয়োজক সংগঠন বৃহত্তর ঈদগাঁও ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ মাঠ ব্যবহারের অনুমতিসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু স্থানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মোঃ কবির হোসেন মাহফিল শুরুর আগের রাতে আয়োজকদেরকে ডেকে তা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। আয়োজকরা কারণ জানতে চাইলে উপরের নির্দেশে এটি করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানান। সূত্র মতে, ২০০৩ থেকে অরাজনৈতিক এ সংঘটনটি উক্ত মাঠে প্রতি বছর এ মাহফিলের আয়োজন করে আসছে। হঠাৎ করে এবার পুলিশ মাহফিলের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নির্মিত পেন্ডেল, তোরণ ও মঞ্চ ভেঙ্গে দেয়ায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ােভের সঞ্চার হয়েছে। প্রশাসনের এ নগ্ন হস্তেেপর কারণে মাহফিল আয়োজকদের প্রচুর তি হয়েছে বলে দাবী করা হয়। এদিকে বিুব্ধ আয়োজকরা ৬ এপ্রিল সকালে স্থানীয় প্রেসকাবে তাৎণিক সাংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে কক্সবাজার মডেল থানার ওসি এবং ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের আইসির অপসারণ দাবী সহ অন্যান্য কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আয়োজক কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার কামাল। অন্যদের মধ্যে ছিলেন উপদেষ্টা এড. মোঃ আমিনুল হক, সভাপতি মোহাম্মদ আলম মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আকতার কামাল,সদস্য মনজুর আলম প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়,মাহফিল বাস্তবায়নে প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা সাপেে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক মাঠ ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে তারা ৩ সপ্তাহ যাবৎ এর প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ৫ এপ্রিল ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহফিল না করার নির্দেশ দেন। বক্তব্যে আরো বলা হয়, বৃহত্তর মুসলিম দেশ বাংলাদেশে সকল ধর্মানুসারীরা নিজ নিজ ধর্মপালন করে আসছেন। মতামত পেশের স্বাধীনতা মানুষের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। মাহফিলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রশাসন মানবাধিকারের চরম লঙ্গন করেছে। অশ্লীল-নাচ গানের অনুমতি এবং প্রশাসনিক সহযোগিতা থাকলেও মাহফিল বন্ধের এ আদেশ সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও ধর্মীয় অনুভুতিতে চরম আঘাত হেনেছে। তাদের মতে মাহফিল বন্ধ করার জন্য প্রশাসনকে চরম মূল্য দিতে হবে। চক্রান্তকারীদের ধিক্কার এবং এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান তারা। ঘোষিত অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ১০ এপ্রিল জেলা পরিষদ প্রশাসকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং এলাকার বিভিন্ন আলেমদের সাথে মত বিনিময়। আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের অপসারণ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন তারা।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...