শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১২

যুবলীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় ক্ষোভ প্রকাশ : তখন সুবিধাবাদীদেরও পাশে পাওয়া যাবে না



রামু নিউজ ডেস্ক ॥    
দীর্ঘদিন বর্ধিত সভা না হওয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুবলীগের তৃণমূল নেতারা। পাশাপাশি তারা ‘অসহযেগিতার’ অভিযোগ এনেছেন স্থানীয় সাংসদদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যুবলীগের তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিনিধি সভায় জেলা নেতারা বলেন, শিগগিরই
বর্ধিত সভা ডেকে স্থানীয় নেতাদের কথা না শুনলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তখন সুবিধাবাদীদেরও পাশে পাওয়া যাবে না।
সমুদ্রসীমা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে মামলার রায় বাংলাদেশের পক্ষে আসায় আগামী ১৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘গণসম্বর্ধনা’ দেবে যুবলীগ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য ওই অনুষ্ঠান সফল করতেই বৃহস্পতিবার এই প্রতিনিধি সভার আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বলেন, “নতুন সমাজকে রাজনীতি, সংসদ ও মন্ত্রীসভায় আনতে হবে। রাজনৈতিক দলকে নতুন চেহারার মাধ্যমে রিনিউ করতে হবে।”
আওয়ামী লীগের আগামী সম্মেলনের মাধ্যমে তরুণদের জাতীয় নেতৃত্ব ও সংসদে দেখা যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, “ইউরোপ, আমেরিকাসহ মুসলিম দেশগুলো থেকে আমার কাছে প্রতিদিন ইমেইল আসছে। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐব্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
“আমরা ক্ষমতায় আছি। ভবিষ্যতেও হয়তো ক্ষমতায় যাব। তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে এবারই বোধহয় শেষ সময়। আজ কি পেলাম, পেলাম না...।”
ছাত্র সমাজ ও যুবসমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু খুন হতেন না বলেও মনে করেন আশরাফ।
গত তিন বছরে বর্ধিত সভা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বাগেরহাট জেলা যুবলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, “আমরা তিন বছর ধরে অবহেলিত। আওয়ামী লীগ আমাদের ঘৃণা করে। ওয়ান টাইম মার্কা এমপিদের কারণে দলের জনপ্রিয়তা তলানিতে যাচ্ছে।”
যুবলীগের চাঁদপুর জেলা সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, “দল ক্ষমতায় আসার পর আমাদের ডাকা হয় না। অন্য কিছু না হোক, প্রাপ্য সম্মানটুকু না দিলে ভবিষ্যতে কেউ রাজনীতি করতে চাইবে না।”
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলেও সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম।গাজীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি আলতাফ হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের ফোন করলে তারা ধরেন না।
যশোর জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “যুবলীগের শেকড় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এটা ঠিক করুন। বিরোধীদলে থাকতে আমরা ইজ্জত পেতাম। আমাদের সেই সম্মান ফিরিয়ে দিন।”
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নারয়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির। তৃণমূল নেতাদের সুখ-দুঃখের কথা শোনার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অন্যান্য জেলার যুবলীগ নেতারাও কেন্দ্রীয় নেতা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন। উপস্থিত নেতাকর্মীরা করতালির মাধ্যমে তাদের বক্তব্যকে স্বাগত জানান।
যুবলীগের চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম ছাড়াও বিভিন্ন জেলার যুবলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা সভায় বক্তব্য দেন।
বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কয়েক শ’ নেতা প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...