সোমবার, ১৯ মার্চ, ২০১২

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য নির্দিষ্ট রঙের পোশাক বাধ্যতামূলক হচ্ছে

॥ রামু নিউজ ডেস্ক ॥  
 প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য নির্দিষ্ট রঙের পোশাক বাধ্যতামূলক হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুরুষদের জন্য পছন্দের তালিকায় রয়েছে সাদা শার্টের সঙ্গে কালো অথবা নেভি-ব্লু রঙের প্যান্ট। তবে জুতার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পাবেন তারা।
রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. মোতাহার হোসেন এ তথ্য জানিয়ে বলেন,
শিগগিরই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা চূড়ান্ত করবে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে নারীদের জন্য কী রঙের শাড়ি বাধ্যতামূলক করা হবে তা চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
বর্তমানে সারাদেশে ৩৭ হাজার ৬৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ দশ ক্যাটাগরির ৭৮ হাজার ৬৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষকের সংখ্যা তিন লাখ ৯৫ হাজার ২৮১ জন। এরমধ্যে দুই লাখ ১৭ হাজার ১০৪ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৯৪ হাজার ৫৩৮ জন নারী।

সরকারি-বেসরকারিসহ সব ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ড্রেস কোড নির্ধারণের কাজ চলছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিশুরা বাবা-মায়ের পরেই শিক্ষকদের অনুকরণ করে। কিন্তু অনেক শিক্ষকই পরিপাটি পোশাকে বিদ্যালয়ে আসেন না। তাই তাদের জন্য ড্রেস কোড নির্ধারণ করা হচ্ছে।”
ড্রেস কোড অমান্যকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অবশ্য ড্রেস কোড নির্ধারণ করা হলে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের পোশাক কেনার টাকা দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান যুগ্ম-সচিব।
তিনি বলেন, “আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে ড্রেস কোডের নির্দিষ্ট পোশাক কেনার টাকা শিক্ষকদেরই বহন করতে হবে। তবে আরো আলোচনা-পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ড্রেস কোডে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের জন্য একই ধরনের পোশাক নির্দিষ্ট থাকবে জানিয়ে গিয়াস উদ্দিন বলেন “ড্রেস কোডে কোন রঙের পোশাক রাখা হবে তা নির্দিষ্ট করা না হলেও কোনো শিক্ষক গেঞ্জি পড়ে বিদ্যালয়ে আসতে পারবেন না- এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।”
মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজসহ অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ড্রেস কোড না থাকলেও কেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ড্রেস কোড করা হচ্ছে- জানতে চাইলে মোতাহার হোসেন বলেন, “আমরাই তো আগে আগে সব কিছু শুরু করি। পরে অন্যরা তা অনুকরণ করে।”
সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠনের নেতারাও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ড্রেস কোড মেনে চলতে তাদের কোনো অনুবিধা নেই।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক বিএম আসাদুল্লাহ  বলেন, “ড্রেস কোড করলে ভালোই হয়। এটা মেনে চলতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই।”
“নির্দিষ্ট পোশাক পড়লে আমাদের চিনতে সবার সুবিধা হবে, সকলের কাছ থেকেই সম্মান পাবো আমরা। তবে পোশাক কেনার টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দিলে ভালো হয়,” বলেন ঢাকার বংশাল নৈশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই প্রধান শিক্ষক।
বাংলাদেশ জাতীয় রেজি. বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের (একাংশ) সদস্য সচিব আব্দুর রহমান বাচ্চু বলেন, ড্রেস কোড থাকলে ভলো হয়।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...