বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

ফখরুদ্দীন-মইনকে বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ

প্রথম আলো. সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ এবং সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদসহ আরও কয়েকজনকে বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়। ২০০৭ সালের আগস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-সেনা সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত আগস্ট/২০০৭-এর ঘটনাবলি’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধেরও সুপারিশ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ঘটনা পরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে। রাশেদ খান মেনন প্রতিবেদনটি নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানান। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করা ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী জানান, বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। ৩৮৪ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংঘটিত ঘটনার বিবরণ, তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ, উপকমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণী রয়েছে। ওই সময়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরের ক্লিপিং, বাংলাদেশ বেতার, বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বেতারমাধ্যমের খবরের লিখিত রূপ, সরকারের গোপনীয় নথি, কমিটিতে সাক্ষ্য দেওয়া ছাত্র-শিক্ষকদের বক্তব্য, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, সেই সময়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তা ও আমলাদের বক্তব্যও প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া ওই সময়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদ আলাদাভাবে সিডি আকারে দেওয়া হয়েছে। সুপারিশে সহিংস ঘটনার জন্য ফখরুদ্দীন আহমদ, মইন উ আহমেদ, ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল এ টি এম আমিন, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফজলুল বারী, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শামসুল আলমসহ বেশ কয়েকজনকে দায়ী করা হয়েছে। তাঁদের প্রচলিত আইনের আওতায় বিচারের সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সুপারিশে ডিজিএফআইয়ের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং টিএফআই ও যৌথবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ সেল বন্ধ করতে বলা হয়েছে। কমিটির মতে, জিজ্ঞাসার নামে নির্যাতন গণতান্ত্রিক দেশে চলতে পারে না। এ ছাড়া সংসদীয় কমিটিকে যাতে কেউ উপেক্ষা করতে না পারে, সে জন্য কমিটিতে যে কাউকে তলবের ক্ষমতা দিতে বলা হয়েছে। ২০১০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সংসদীয় কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে আহ্বায়ক এবং মির্জা আজম, বীরেন শিকদার ও শাহ আলমকে সদস্য করে এ বিষয়ে একটি উপকমিটি গঠিত হয়। ২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর উপকমিটি প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে এবং ২০ ডিসেম্বর সংসদীয় কমিটি ওই প্রতিবেদন অনুমোদন করে। প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিষয়টি মীমাংসা করতে চেয়েছিল। কিন্তু ডিজিএফআই তাতে বাধা দেয়। জনপ্রশাসনকে উপেক্ষা করে ডিজিএফআই যে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে, তা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তুলনাযোগ্য। ’৭৫-পরবর্তী সরকারগুলো ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সেনাবাহিনীর সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোয় এবং জরুরি অবস্থায় সেনা কর্মকর্তাদের পদমর্যাদা বাড়ানোয় সামরিক-বেসামরিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। পর্যবেক্ষণে ঘটনাকে পরিকল্পিত এবং বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যসম্পন্ন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ফখরুদ্দীন ও মইন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রক্টর নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ সেনাবাহিনীর পক্ষাবলম্বন করেন এবং মেজর কামরুল ছাত্রদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এ টি এম আমিনের বোন, সে সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন আসমা সিদ্দিকার ভূমিকা ছিল বিতর্কিত।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...