বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

চির বিদায় নিলেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রনেতা টিংকু

ঢাকা, ফেব্র“য়ারি ০৮ : নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকু মারা গেছেন। ৫০ বছর বয়সী টিংকু মস্তিষ্কের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। টিংকুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী এ বি জাকিরুল হক টিটন জানান, রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর ৪টার দিকে মারা যান সাবেক এই ছাত্রনেতা। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র টিংকু ১৯৮৯-৯০ মেয়াদে জাতীয় ছাত্রলীগের সর্বশেষ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’ গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। পরে মহিউদ্দিন আহম্মেদ ও আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বাধীন বাকশাল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হলে টিংকুও আওয়ামী লীগে যোগ দেন। কর্মজীবনে টিংকু ছিলেন একটি নির্মাণ সংস্থার চেয়ারম্যান। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১০ সালের নভেম্বরে টিংকুর মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়লে তাকে যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও তা ক্যান্সারের রূপ নেয়। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত মাসে তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে। সেখানেই বুধবার ভোরে মারা যান তিনি। হাসপাতাল থেকে টিংকুর মরদেহ প্রথমে নেওয়া হয় মগবাজারে তার বাড়িতে। দুপুরে মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাবি কেন্দ্রীয় মসজিদে টিংকুর জানাজায় অংশ নেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রনেতারাসহ রাজনীতিবিদরা। শ্রদ্ধা জানাতে আসা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুল জলিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সব গণতান্ত্রিক এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে টিংকু সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।” টিংকুর সময়ের ছাত্রদল সভাপতি ও ডাকসুর সহসভাপতি আমানউল্লাহ আমান বলেন, “স্বৈরতন্ত্র প্রতিহত করতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। তিনি বীরের মতো সামনে থেকে এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জাতি আজ সেই জাতীয় বীরকে হারালো।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজে। সেখানে শ্রদ্ধা জানানোর পর লাশ নেওয়া হবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সেখানে শ্রদ্ধা জানানোর পর চট্টগ্রামের রাউজানে গ্রামের বাড়িতে মরদেহ নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার তাকে সেখানেই দাফন করা হবে। টিংকুর মৃত্যুতে নব্বইয়ের ছাত্রনেতারা শোক প্রকাশ করেছেন। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা প্রয়াতের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান। বিবৃতিদাতারা হলেন- ডাকসুর সাবেক ভিপি মো. আখতারুজ্জামান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও খ ম জাহাঙ্গীর, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি খন্দকার মো. ফারুক ও আনোয়ারুল হক, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো. মনসুর, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শিরীন আখতার, ডাকসুর সাবেক জিএস মুশতাক হোসেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান, সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষ, ২ শিবিরকর্মী নিহত চবি, ৮ ফেব্রুয়ারি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও শিবিরকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় তুমুল গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় দুই শিবিরকর্মী নিহত হয়েছেন। এ পর্যন্ত পুলিশ তিন শিবিরকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। সংঘর্ষে উভয় সংগঠনের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নিরাপত্তা বিভাগের ইনচার্জ এস আই জহির বার্তা২৪ ডটনেটকে জানিয়েছেন, নিহত শিবিরকর্মীরা হলেন মুজাহিদ ও মাসুদ বিন হাবিব। মুজাহিদ প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ও মাসুদ ইংরেজি শেষ বর্ষের ছাত্র। মাসুদ সোহরাওয়ার্দী হলের শিবিরের সেক্রেটারি ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চকসু’র সামনে ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে শিবিরের দুজন এবং ছাত্রলীগের এক কর্মী আহত হন। আহত শিবিরের দুই কর্মী হলেন, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র আজাদ এবং বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ নাঈম। ছাত্রলীগের আহত কর্মী হলেন ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাহেল। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে শিবিরকর্মীরা ছাত্রলীগের চার কর্মীকে ধরে এনে বেধড়ক পেটায়। এতে গুরুতর আহত হন চার ছাত্রলীগ কর্মী। তারা হলেন, পলিটিক্যাল সাইন্স বিভাগের রাহাত হোসেন হিমেলে, আইন বিভাগের সজিব, ইংরেজি বিভাগের ফাহাদ ও সোহেল। পরে ছাত্রলীগের কর্মীরা দুই শিবিরকর্মীকে ধরে কুপিয়ে জখম করে। দুজনেই পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে মারা যান। ছাত্রলীগ ও শিবির এখনও মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে আহতদের নগরীর বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভা আহবান করা হয়েছে। বার্তা২৪ ডটনেট/

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...