মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল, ২০১২

অবিলম্বে ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান করা জরুরী.....ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন

॥ হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর ॥
চট্টগ্রাম এম.ই.এস কলেজের অধ্যাপক ও মাসিক আত্-তাওহীদ সম্পাদক ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে হযরত মুহাম্মদ (স.) কে ব্যঙ্গ ও উপহাস করে নাটক প্রচার ও বক্তব্য প্রদানের একটি অসুস্থ প্রবণতা দেখা দিয়েছে। কঠোর শাস্তির বিধান সম্বলিত আইন প্রণয়ন করে ধর্ম অবমাননা বন্ধ করা আশু
প্রয়োজন। এদেশে প্রতিটি মানুষের ধর্ম চর্চা ও অনুশীলনের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। ধর্ম, ধর্মীয় নেতা ও ধর্ম গ্রন্থ নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য ও মন্তব্য প্রকাশ অব্যাহত থাকলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হবে; জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে যাবে। বোরকা, টুপি পরিধান করে, দাঁড়ি রেখে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করার সুযোগ অবশ্যই থাকতে হবে। ড্রেসকোড নামে এগুলো বন্ধ করা যাবেনা।
তিনি গত ২ এপ্রিল, সোমবার রাতে রামু রাজারকুল আসমা ছিদ্দিকা (রা.) বালিকা মাদরাসা, হেফজখানা ও এতিমখানার বার্ষিক সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
    সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক ও ইত্তেহাদুল মাদারিস এর মহাসচিব আল্লামা মুফতি আব্দুল হালিম বোখারী। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুচ্ছালাম কুদ্ছী। বিশেষ বক্তা ছিলেন, জোয়ারিয়ানালা এমদাদুল উলুম মাদরাসার মুহাদ্দিস ও রামু বাইপাস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হাফেজ আব্দুল হক, রাজঘাটা মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা ছৈয়দ আরমানী, লালখান বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি হুমায়ুন কবির খালভী, রাজারকুল জামালুল কুরআন মাদরাসার পরিচালক মাওলানা জসিম উদ্দিন, উখিয়ার মাওলানা সিরাজুল্লাহ প্রমূখ। লেখক হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিভিন্ন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আমান উল্লাহ সিকদার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাফর আলম চৌধুরী, মাদরাসা কমিটির সভাপতি জালাল আহমদ গরিবী, ছদরে মুহতামিম মাওলানা আইয়ুব আনছারী, মাষ্টার শফিউল আলম।
সভায় উক্ত মাদরাসার হেফজ বিভাগ থেকে সদ্য হাফেজ হওয়া ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান এবং বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের পুরুস্কৃত করা হয়। সভায় অংশগ্রহণকারীগণ মাদরাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হস্তলিপি প্রদর্শনী দেখে অভিভূত হন।
সভায় প্রধান অতিথি আল্লামা মুফতি আবদুল হালিম বোখারী বলেছেন, দুনিয়াতে শান্তি ও আখিরাতে মুক্তির জন্য জীবনের সর্বক্ষেত্রে কুরআন মজীদের বিধি-বিধান বাস্তবায়ন অপরিহার্য। মুসলমান হিসেবে বাঁচতে হলে কুরআন ছাড়া কোন উপায় নেই। তাই ক্বওমী মাদরাসাগুলো নিষ্ঠার সাথে পবিত্র কুরআন-সুন্নাহ্র সহীহ তা’লীম-তারবিয়াতের গুরুত্বপূর্ণ খেদমত আঞ্জাম দিচ্ছে। তিনি সহশিক্ষাকে আদর্শ জাতিগঠনের অন্তরায় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, নৈতিকতাসম্পন্ন জনগোষ্ঠি তৈরীতে দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত আদর্শ মায়ের বিকল্প নেই। এজন্য সতন্ত্র মহিলা মাদরাসার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
তিনি আরো বলেন, সর্বপ্রকার অন্যায়-অত্যাচার ও যাবতীয় অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে পবিত্র কুরআন মজীদে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাই এসব অপকর্মের সাথে জড়িতরাই কুরআনী শিক্ষার বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্তে মেতে উঠেছে। কিন্তু এই কুরআন মজীদের হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা। অতএব পবিত্র কুরআন-সুন্নাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কেউ সফল হতে পারবে না।
বিশেষ মুনাজাতের মাধ্যমে সভা সমাপ্ত হয়।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...