মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল, ২০১২

প্রবাসীরাও ডেসটিনি আতংকে


॥ রামু নিউজ  ডেস্ক ॥ 
বাংলাদেশের প্রধান শ্রমবাজার সৌদি আরব। এখানে প্রায় ২৫ লক্ষ বাংলাদেশি কাজ করছেন। কথিত আছে- এখানে অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা ইউরোপ-আমেরিকার বাংলাদেশি বড় বড় ব্যবসায়ীর চেয়েও বেশি টাকা আয় করে থাকেন।

প্রবাসীরাও চান তাদের টাকা দেশ গড়ার কাজে লাগুক। তাই তারা খুব সহজেই দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখান এবং বিনা শর্তে কোটি টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন। তাই অনেক প্রবাসী বাংলাদেশে বসবাসকারী আত্মীয়-স্বজনদের কথা মতো কিছু লাভের আশায় বিনিয়োগ করেছিলেন ডেসটিনি গ্রুপে। এখন লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকা ফিরে পাবেন কি না তা নিয়েও শংকিত প্রবাসীরা। গত ক`দিনে ডেসটিনির বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে সরকার ও বিভিন্ন মহলের বক্তব্য মিডিয়াতে প্রচার হওয়ার পর তাদের আতংক আরো বেড়ে যায়।

হায় হায় প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির বিরুদ্ধে অবৈধ ব্যাংকিংসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। এর প্রভাব পড়েছে প্রবাসেও। আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে প্রবাসীরাও জড়িয়ে পড়েছেন ডেসটিনির সঙ্গে।

ডেসটিনির ক`জন সৌদিপ্রবাসী গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভাই-বোন অথবা নিকট আত্মীয়ের পরামর্শে একেকজন লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগ করেছেন হায় হায় কোম্পানি ডেসটিনিতে। মরুভূমির খরতাপে ঘাম ঝরিয়ে কামাই করা টাকা ফেরত পাবেন কি না তা নিয়ে এখন শংকিত তারা। এ নিয়ে কথা হয় কয়েকজন ভুক্তভোগী গ্রাহকের সঙ্গে।

লক্ষ্মীপুরের দুলাল চৌধুরী থাকেন রিয়াদে। শ্যালকের পরামর্শে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি। কিন্তু কিছু বন-জঙ্গলের ছবি আর আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাননি দুলাল চৌধুরী।

চাঁদপুর হাজীগঞ্জের মানুষ আব্দুস সালাম মুন্সি। স্থানীয় এজেন্ট শহীদুলের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা দিয়ে নাম লেখান ডেসটিনিতে। বছর পার হলেও কানাকড়িও ফেরত পাননি তিনি।

ঢাকার দোহারের ছেলে আব্দুর রহীম। ২০১১ সালের প্রথম দিকে ৪টি নামে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ডেসটিনিটির সদস্য হন। ৩ কিস্তিতে ৩৫ হাজার টাকা ফেরত পেলেও গত ৮/৯ মাস ধরে আর লাভের মুখ দেখেন না আব্দুর রহীম।

আরো কয়েকজন পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারা সৌদি আরবে তাদের সঙ্গে থাকা বাবা, ভাই, মামা, খালা, দুলাভাইদের না জানিয়ে নিজের জমানো টাকার বড় একটা অংশ ডেসটিনিতে বিনিয়োগ করেছেন। এ টাকা ফেরত না পেলে পরিবারের কাছে কি জবাব দেবেন সেই চিন্তায় তাদের ঘুম হারাম। যাদের মাধ্যমে ডেসটিনিতে টাকা দিয়েছিলেন তাদের মোবাইল বন্ধ থাকায় তাদের মনে এখন যোগ হয়েছে উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তা।

প্রবাসী ডেসটিনি-গ্রাহকদের এখন একটাই জিজ্ঞাস্য, তারা তাদের কষ্টার্জিত টাকা আদৌ ফেরত পাবেন তো?

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...