বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১২

কক্সবাজারে হেফজখানা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রভাবশালীরা

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার  ॥
  কক্সবাজার শহরের কলাতলীর চরপাড়াস্থ (সাবেক করাচী পাড়া) প্রভাবশালী কর্তৃক একটি হেফজখানা গুড়িয়ে দেয়ায় ৫২ জন হেফজ পড়ুয়া ছাত্র মসজিদে কোরআন মূখস্থ ও রাত যাপন করতে করছে। এতে মুসল্লীদের নামায আদায়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও নানাভাবে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঐসব ছাত্রদের নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবক এবং
শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার সকালে কলাতলীর চরপাড়ায় ঘটে এ ঘটনাটি।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ৪০ বছর পূর্বে কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল মোটেল জোনের হোটেল ওশান প্যারাডাইসের পশ্চিমে চরপাড়া (সাবেক করাচী পাড়া) প্রতিষ্ঠিত হয় জামিল জামে মসজিদ। মসজিদকে কেন্দ্র করে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বেলাল বিন রিবা(রা:) হেফজ ও এতিমখানা। হেফজখানায় বর্তমানে ছাত্র রয়েছে ৫২ জন। দুই জন হাফেজ দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, বিভিন্ন হোটেল-মোটেল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতায় পড়ালেখা চালিয়ে আসছিল সেখানে। সম্প্রতি হাফেজখানার ঐ জমির উপর নজর পড়ে কিছু প্রভাবশালী মহলের। ক্ষমতাধর জনৈক ব্যক্তি ৪জন পুলিশ উপস্থিত রেখে সন্ত্রাসীদের দিয়ে দিন-দুপুরে হেফজখানাটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।

স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, সরকারী খাস জমি উল্লেখ করে প্রভাবশালী মহল জবর দখলের জন্য দ্বীনি প্রতিষ্টানটি ভেঙ্গে দিয়েছে। এর আগে পরিচালনা কমিটিকে কোন প্রকার সতর্কও করা হয়নি। এছাড়া কোন ম্যাজিষ্ট্রেট কিংবা প্রশাসনিক পদস্থ কর্মকর্তাও ঘটনাস্থলে যাননি। তিলে তিলে গড়া প্রতিষ্ঠানটি প্রভাবশালীরা মুহুর্তেই মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়।

মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফয়েজ আহমদ অভিযোগ করে বলেন, ৪০ বছর আগে জঙ্গল পরিষ্কার করে মসজিদ-মাদ্রাসা করেছি। এতোদিন এটি কারো জমি ছিলনা। বর্তমানে কলাতলীতে জমির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর তাদের নজর পড়েছে। শিক্ষক হাফেজ মোহাম্মদ আনোয়ার জানান, এটি গুড়িয়ে দেয়ায় ৫২ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান ও দারুণ কষ্টে রাত যাপন করতে হচ্ছে মসজিদে। এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার সেলিম মোঃ জাহাঙ্গীর জানান, সৈকতে চলাচলে নিষিদ্ধকৃত ঘোড়া গুলো ওই মাদ্রাসা এলাকায় অবস্থান নেয়। এছাড়া আরও কিছু অপরাধী সেখানে থাকে মর্মে পুলিশের কাছে খবর ছিল। এছাড়া সরকারী জমির উপর হেফজখানাটি নির্মিত হয়েছিল।

এদিকে সম্প্রতি জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি‘র একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি অবগত করেছেন। ৫২ জন শিশুর উজ্জল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্টানটি পুন: নির্মাণের অনুমতি ও সাহায্য সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।


এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...