মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১২

হুমকি দিয়ে দাবি পূরণ হবে না: হানিফ

॥রামু নিউজ ডেস্ক॥   তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালে খালেদা জিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে বিএনপিকে সংসদে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ। 

দাবি পূরণে সরকারকে ১০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় হানিফ সোমবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন,
“পল্টনে দাঁড়িয়ে বেসামাল হয়ে আওয়ামী লীগকে ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। আওয়ামী লীগকে হুমকি দিয়ে কোনো অন্যায় ও অসাংবিধানিক দাবি আদায় করা যাবে না।” 


বিএনপি চেয়ারপারসন বিকালে নয়া পল্টনের জনসভায় বলেন, ১০ জুনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধানে পুনঃস্থাপন না হলে ১১ জুন ঢাকায় সমাবেশ করে কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে। 

“এতে হয় দাবি মেনে নেবে, নইলে সরকারকে বিদায় নিতে হবে,” বলেন তিনি। 

খালেদার জিয়ার বক্তব্যে সরকারের সমালোচনা থাকায় তা নিয়ে সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ। 

তিনি বলেন, “আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার কোনো বিধান নেই। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য আপনাদের কোনো প্রস্তাব থাকলে তা পল্টন ময়দানে নয়, সংসদে এসে দিন।” 

আওয়ামী লীগ লীগ নেতা দাবি করেন, মহাজোট সরকারের তিন বছরে সংসদের উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ প্রায় সাড়ে ৫ হাজার নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কোনো নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। 

আগামী ২৯ মার্চ খালেদার ডাকা হরতালের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তার বিশ্বাস, এই হরতাল পালিত হবে না। 

“পরাজিত শক্তির এজেন্ট হিসাবে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য থেকে ফিরে আসুন; তাহলে জনগণ হয়ত মাফও করে দিতে পারে,” বিরোধী দলের উদ্দেশে বলেন হানিফ। 

মহাজোট সরকারের সময়ে ১৫ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে বলে বিরোধীদলীয় নেতার বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, “এই ১৫ জনের নাম প্রকাশ করুন। না হলে, জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।” 

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকারী খুব শিগগিরই আইনের আওতায় আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হানিফ। 

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে- খালেদার এই দাবি নাকচ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় যেতে বিশ্বাসী। 

“বিরোধীদলীয় নেতা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে নীলনকশা অনুযায়ী কাজ করছেন,” পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি। 

মহাসমাবেশে বিএনপির আশানুরূপ জনসমাগম হয়নি দাবি করে হানিফ বলেন, “তাই খালেদা জিয়া তার স্বভাব স্বরূপ জনগণকে বিভ্রান্ত করতে বক্তব্য দিয়েছেন।” 

মহাসমাবেশের সংবাদ সরাসরি প্রচারে কোনো টেলিভিশনকে বাধা দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি। 

খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, তার জনসভা সরাসরি প্রচারে তিনটি টেলিভিশনকে বাধা দেওয়া হয়েছে। 

খালেদা জিয়ার জনসভার সময় হানিফের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একদল নেতা বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন। 

খালেদার বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সেখানে হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, “আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আওয়ামী লীগের জন্ম কোনো সেনা ছাউনীতে নয় যে বিরোধী দলকে ভয় পাবে।” 

নতুন জোটের মাধ্যমে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরালো করার খালেদা জিয়ার ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “নামসর্বস্ব দল নিয়ে জোট করে কোনো লাভ হবে না। এরকম বহু জোট আমরা আগে দেখেছি।” 

সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে বলে খালেদার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে হানিফ বলেন, “আওয়ামী লীগ গণমাধ্যমকে ভয় পায় না। আওয়ামী লীগ সরকারই সবচেয়ে বেশি টেলিভিশন ও পত্রিকার অনুমতি দিয়েছে।”

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...