শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১২

উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব

॥ এম. সেলিম ॥
দেশের পর্যটন শিল্পকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার নানামুখী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সরকার ২০১২ সালের মধ্যে দেশের পর্যটন শিল্পকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়ার লক্ষ্যে এ শিল্পের প্রসার, গতিশীলতা সৃষ্টি, আধুনিকীকরণ, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি সহ
আনুসাঙ্গিক বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রতি নীতিমালা প্রনয়ন করেছে। বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এবং যোগাযোগ মন্ত্রী একাধিকবার কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, মহেশখালীসহ পুরো পর্যটন এলাকা পরিদর্শন পূর্বক কক্সবাজারকে পরিকল্পিত আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের কাছে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তার ধারাবাহিকতায় বিগত ২০১১ সালে কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ষ্পটগুলো নিয়ে সরকার কর্তৃক মাষ্টারপ্লান অনুমোদিত হয়।
কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা থাকলেও নানা প্রতিকুলতার কারনে কক্সবাজারের উন্নয়ন লাল ফিতায় বন্ধি থেকে যায়। অবশেষে কক্সবাজারের উন্নয়নের লক্ষ্যে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী “কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১২” এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ফলে দোহাজারি থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ষ্টেডিয়াম নির্মাণ, বিমান বন্দরের আধুনিকায়ন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক দুই লাইনে উন্নীতকরণ, সোনাদিয়ায় গভির সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, মেডিকেল কলেজ স্থাপন, মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ, পর্যটন ষ্পটগুলোকে এক্সকুসিভ জোন হিসেবে গড়ে তোলা, রাস্তাঘাট সহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন কক্সবাজারবাসীর গনদাবীতে পরিনত হয়। সম্প্রতি কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রেল লাইনের কাজ শুরু হলেও আদৌ কক্সবাজারের উন্নয়নে জনগণের প্রস্তাবিত গণদাবীগুলোর বাস্তাবায়ন হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত জেলাবাসী।
এদিকে পর্যটনের উন্নয়নের নামে একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল কক্সবাজারের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের হানি ঘটাতে একের পর এক পাহাড়কুল কেটে সমুদ্র সৈকত দখল করে ব্যাঙ্গের ছাতার মত অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। হাউজিং ব্যবসার নামে একশ্রেনী দখলবাজ চক্র বিল্ডিংকোড অমান্য করে যত্রতত্র দালান নির্মান করে কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনকে কংক্রিটের শহরে পরিনত করেছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে পর্যটকরা।
কক্সবাজারের পর্যটন খাত থেকে সরকার প্রতি অর্থ বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় করছে। তাই জাতীয় স্বার্থে কক্সবাজারের উন্নয়নে উত্থাপিত গনদাবী গুলো বাস্তবায়ন করতে সদ্য অনুমোদিত “কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১২” এর বাস্তবায়ন জরুরী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। এব্যাপারে সম্প্রতি এক সেমিনারে জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নুল বারী বলেন, কক্সবাজারের উন্নয়নে সরকার বেশ আন্তরিক। ইতিমধ্যে পর্যটন নীতিমালা প্রনয়নসহ জেলার ব্যাপক উন্নয়নের ল্েয সরকার কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপ অনুমোদন করেছেন।  অতি শীঘ্রই কক্সবাজারকে বিশ্বমানের পর্যটন নগরী করার কাজ শুরু করবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
কক্সবাজার (সদর-রামু) ৩ আসনের সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল এমপি বলেন, পর্যটন সম্পর্কীত নীতিমালাসমূহ কাগজে-কলমে সিমাবদ্ধ রেখে কক্সবাজারের উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব নয়। স্থানীয় গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠিত হলে পর্যটন খাত থেকে পাওয়া রাজস্ব দিয়েই কক্সবাজারকে ঢেলে সাজানো সম্ভব।
কক্সবাজারের উন্নয়ন বিষয়ে কক্সবাজার (সদর-রামু) ৩ আসনের মহাজোট প্রার্থী ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর পরিচালক সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন- কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে মহাজোট সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার “কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১২” অনুমোদন করেছে। বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলেই কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের মাধ্যমে কক্সবাজারের সামগ্রীক উন্নয়ন কর্মকান্ড সমাপ্ত করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।
কক্সবাজার (সদর-রামু) ৩ আসনের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন এমপি বলেন, বর্তমান মহাজোট সরকার দেশের অন্যান্য জেলার চাইতে কক্সবাজারের উন্নয়নে বেশ আন্তরিক। ইতিমধ্যে সরকারের নানামুখী পদেেপর কারণে জেলার সর্বমহলের কাছে বেশ প্রশংশিত হয়েছে। সাংসদ এথিন রাখাইন দেশের পর্যটন খাতকে আরো বেশী শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করার লে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী উদ্যেক্তাদের আরো বেশী বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন। এদিকে সচেতন মহল মনে করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের মাধ্যমে জেলাবাসীর মৌলিক গনদাবী গুলো বাস্তবায়িত হলে বিশ্বের পর্যটন শিল্পের ইতিহাসে কক্সবাজার শহর একটি মডেল পর্যটন রাজধানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।





এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...