শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১২

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যা

॥ রামু নিউজ ডেস্ক ॥  
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার পশ্চিম ষোলশহরের হিলভিউ আবাসিক এলাকায় প্রেমে ব্যর্থ হয়ে জাহেদুল আলম (২২) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন।
জাহিদের গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলার সাদেকনগরে। বাবার নাম মৃত দেলোয়ার হোসেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট।
শুক্রবার পাঁচলাইশ মডেল থানার এসআই (তদন্ত) আকরুজ্জামান  বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর হিলভিউয়ের ৮ নম্বর রোডের ৯৮ নম্বর বাসায় প্রেমে ব্যর্থ হয়ে জাহেদুল আলম গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। আত্মহত্যার আগে প্রেমিকা এবং তার খালাত ভাইয়ের মেয়ের কাছে সে দু’টি এসএমএসও পাঠায়।’
এতে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় উল্লেখ করে তার ভাতিজিকে একটি এসএমএস পাঠায়। অন্যটিতে প্রেমিকাকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন কথা লিখেছে বলে পুলিশ জানায়। 
নিহতের খালাতো ভাই সৌদিপ্রবাসী মো. রশিদ আহমদ  জানান, জাহিদ প্রায় দু’বছর ধরেই আমাদের বাসায় থাকে। পরিবারের সদস্য হিসেবেই সে থেকেছে। এমতাবস্থায় আমার বড় ভাইয়ের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ের এক বান্ধবীর সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তা প্রেমে গড়ায়।
কলেজে পড়ার সময়ে তার সঙ্গে মেয়েটির প্রেম হয়। আর এখন মেয়েটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে বিবিএতে। ওখানে ভর্তির পর থেকেই জাহিদের সঙ্গে সে তেমন যোগাযোগ করেনি। সর্বশেষ গত চারদিন ধরে তাদের সঙ্গে কোন কথা-বার্তা হয়নি বলেও তিনি জানান।  রশিদ আরও জানান, মেয়েটি হচ্ছে হিন্দু ধর্মের অনুসারী। তার পরিবারকে কখনও দেখেননি। এমনকি কোথায় থাকে তাও জানেন না তারা।
জাহিদ বেশি আবেগপ্রবণ হয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, মৃত্যুর ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে ‘আমার মৃত্যুতে কারও দোষ নাই’ লিখে আমার ভাতিজি ও ওই মেয়েটিকে বিভিন্ন কথা লিখে দু’টি এসএমএস দিয়েছে।
এছাড়া তার মা ও ভাবীর কাছে ‘ক্ষমা করে দিও’ বলেই মোবাইল বন্ধ করে দেয় বলে প্রবাসী রশিদ জানান।
রশিদ বলেন, ‘আমার ভাতিজি মুঠোফোনে জাহিদের এসএমএস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অন্যদের জানিয়ে বাসায় আসে। অনেক খোঁজাখুজির পর ছাদের সিড়ির সঙ্গে জাহিদের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাই।’
এঘটনায় নিহতের আরেক খালাতো ভাই আবুল মনসুর বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।
এ প্রসঙ্গে নগরীর পাঁচলাইশ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন  বলেন, ‘থানায় খবর দেওয়ার পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এছাড়ারও থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
‘বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন একই থানার এসএই (তদন্ত) আকতারুজ্জামান।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...