শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১২

৪ এপ্রিল হরতাল ॥ ধারাবাহিক কর্মসূচি দেবে চার দল

বিশেষ প্রতিবেদক. ঢাকা :
 বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিসহ জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টিকারী সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধারাবাহিক কর্মসূচি দেবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট।  বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে চার দলের নেতাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে জামাত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য হামিদুর রহমান আজাদ, নুরুল ইসলাম বুলবুল, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, মহানগর সভাপতি আবুল কাশেম, খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির সৈয়দ মুজিবুর রহমান, মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ সাংবাদিকদের বলেন, দ্রব্যমূল্যসহ গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জোট নেত্রীকে কর্মসূচি চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কী ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কঠোর কর্মসূচিসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির চিন্তা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে এপ্রিল মাসে এইচএসসি পরীক্ষার কথাও বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে।
রাত ৯টা থেকে শুরু হওয়া ১ ঘণ্টার বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিসহ জোট সম্প্রসারণের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী ৩১ মার্চের সমাবেশ থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। হরতালের মতো কর্মসূচি থাকছে কি-না এ প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি। চার দলের সর্বশেষ বৈঠক হয় গত ২৬ মার্চ। ওই বৈঠকে ২৯ মার্চের হরতাল প্রত্যাহার করে ৩১ মার্চ ঢাকায় সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়।
বিএনপির অপর একটি সূত্র জানায়, আগামী ৪ এপ্রিল বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করতে পারে। তবে হরতাল ডাকার আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এ নিয়ে আলোচনা হবে। এইচএসসি পরীক্ষার কারণে হরতাল দেয়া না-দেয়া নিয়ে গতকালের বৈঠকে আলোচনা হয়। তবে ৪ এপ্রিল পরীক্ষা না থাকায় ওইদিনটি বেছে নেয়া হয়েছে। গতকালের বৈঠকে সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আন্দোলন কর্মসূচি ও জোট সম্প্রসারণের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চারদলীয় জোটের শরিক ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, সভায় মূলত আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হরতালসহ জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি নিয়ে কথা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত কিছু হয়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনার পর কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে। বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানান, জোট সম্প্রসারণের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। যে কাজগুলো বাকি আছে, তা আগামী মাসে শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই নেতা বলেন, সারাদেশে বিদ্যুৎ-পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জনস্বার্থে বিরোধী দলের এমন কর্মসূচি দেয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি দেয়া হবে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বেঁধে দেয়া ৯০ দিনের সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি দেয়া হবে না।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...