রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১২

রামুতে শ্বাশুড় বাড়িতে জামাই ও সৎ ভাইয়ের হাতে যুবলীগ নেতা খুন

॥নিজস্ব প্রতিনিধি॥  রামুতে শ্বাশুড় বাড়িতে জামাই ও সৎ ভাইয়ের হাতে যুবক খুন হয়েছে। পৃথক হত্যাকান্ডে নিহতরা হলেন, রামু উপজেলার রশিদনগর উত্তর কাহাতিয়াপাড়ার মমতাজ মিয়ার ছেলে নুরুল আমিন (৩০) এবং জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের পূর্বপাড়ার মৃত সোলেমান সিকদারের ছেলে যুবলীগ নেতা ওসমান সরওয়ার আলম।

জানা গেছে, গত শুক্রবার (২ মার্চ) বৃহষ্পতিবার রাত ১০ টায় উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের উত্তর কাহাতিয়াপাড়ায় ধানক্ষেতে নুরুল
আমিনের মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরে রামু থানার এএসআই আবুল কাশেম ধান ক্ষেত থেকে নুরুল আমিনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, তার মাথা ও শরীরে ধারালো দা’য়ের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শাশুর বাড়ির লোকজনের সাথে নুরুল আমিনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়। এ বিরোধের জের ধরে নুরুল আমিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে নুরুল আমিনের পরিবার ও স্থানীয়রা দাবী করেছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা রামু থানার এসআই মোকাদ্দেস জানান, প্রাথমিক তদন্তে শ্বাশুড় বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে নুরুল আমিনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে নজিবুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহত নুরুল আমিনের বাবা মমতাজ মিয়া বাদী হয়ে গতকাল সন্ধ্যায় থানায় মামলা করেছেন। নুরুল আমিনের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে সৎ ভাইদের হামলার শিকার উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ওসমান সরওয়ার আলম গতকাল শনিবার (৩ মার্চ) সকাল ৯ টায় চট্টগ্রামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত যুবলীগ নেতা ওসমান সরওয়ার আলম রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের পূর্বপাড়ার মৃত সোলেমান সিকদারের ছেলে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারী বাড়ির পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেত দেখতে গেলে তার সৎ ভাই লোকমান সরওয়ার ও ইমন সরওয়ার ইমুর নেতৃত্বে কয়েকজন তার উপর বর্বরোচিত হামলা চালায় বলে নিহতের আত্মীয় স্বজনরা দাবী করেছেন।

লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে ওসমানকে ধান ক্ষেতে ফেলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে ওই সময় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল শনিবার (২মার্চ) বিকাল সাড়ে চারটায় ওসমানের মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছলে হাজারো শোকার্ত জনতা ভীড় জমায়। পরে মৃতদেহ রামু থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে হামলার পর চিকিৎসাধীন থাকাকালে ওসমানের স্ত্রী বাদি হয়ে রামু থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ওসমানের সৎমা উম্মে হাফসা ও সৎ ভাইদের আসামী করা হয়। তবে ওই মামলায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে নজিবুল ইসলাম জানান, নিহত ওসমান সরওয়ার আলমের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য গতকাল সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানা হয়েছে এবং এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

নিহত ওসমানের ছোট ভাই এমরান সরওয়ার জানান, পিতার ইন্তেকালের পর থেকে স্থানীয় কিছু কুচক্রি মহলের ইন্ধনে পৈত্রিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে সৎ ভাইয়েরা পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে যুবককে হত্যার ঘটনায় পুরো এলাকায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। অসহায় ওসমানের পরিবারের সদস্যরা পুলিশ প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছে।

তবে অভিযুক্ত সোলেমান সিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী উম্মে হাফসা জানান, ওসমানকে হত্যার ঘটনায় তিনি বা তার ছেলেরা সম্পৃক্ত নন। তার সন্তানদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় তাদের জড়ানো হচ্ছে।

এদিকে রামু উপজেলা যুবলীগের প্রচার বিষয়ক সম্পাদক ওসমান সরওয়ার আলমকে মধ্যযুগীয় কায়দায় পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলম, সাধারন সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান ভূট্টো সহ দলের নেতাকর্মীরা।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...