বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১২

মেঘনায় লঞ্চ দূর্ঘটনা : লাশের সংখ্যা বেড়ে ১১২

॥ রামু নিউজ ডেস্ক ॥  
মুন্সীগঞ্জে আড়াইশ যাত্রী নিয়ে মেঘনায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি টেনে তুলে তীরে নিয়ে এসেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম। বুধবার আরো লাশ উদ্ধারের পর এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১২ জনে।

মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক আজিজুল আলম  বলেন, “লঞ্চটি তীরে আনার পর ভেতরেও কিছু লাশ পাওয়া
যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ১১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।”

অপরদিকে শরীয়তপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) মো. তালেবুর রহমান জানান, নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার খান ও চামটা ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বারীর মাধ্যমে মোট ৪১টি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

এমভি শরিয়তপুর-১ নামের দ্বিতল লঞ্চটি আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে সোমবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে। উদ্ধার পাওয়া যাত্রীরা বলেছেন, একটি কার্গো জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে তাৎক্ষণিকভাবে লঞ্চটি ডুবে যায়। রাতেই আরেকটি লঞ্চের সহায়তায় ২৫-৩০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে মোট ৩৬টি লাশ উদ্ধার করেন। এরপর উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়।

বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা খন্দকার জানান, মেঘনার মূল চ্যানেলের চরকিশোরী এলাকায় প্রায় ৭০ ফুট পানির নিচে ডুবে গিয়েছিল লঞ্চটি। মঙ্গলবার দুপুরেই উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম লঞ্চটিকে বেঁধে ফেলে। কিন্তু উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাওয়ায় রাতে উদ্ধারকাজ বন্ধ থাকে।

হামজা রাত ১টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর বুধবার ভোরে আবার শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।

এদিকে মেঘনার তীরে স্বজনদের আহাজারি বাড়ছেই। চর কিশোরগঞ্জে খোলা লঙ্গরখানায় নির্ঘুম রাত কাটিয়ে সকালেই তারা হাজির হন দুর্ঘটনাস্থলে। লঞ্চডুবিতে নিখোঁজ প্রিয়জনকে জীবিত ফিরে পাওয়ার আশা বাদ দিয়ে এখন শুধু লাশটি নিয়ে বাড়ি ফিরতে চান তারা। যখনি তীরে কোনো লাশ লাশ আসছে তখনি শোকাতুর মানুষ ভীড় করছেন সেখানে স্বজনের খোঁজে।

এদিকে নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়, সুরেশ্বর মহাবিদ্যালয়, সুরেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়, হালইসার উচ্চ বিদ্যালয় কালো পতাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কালো ব্যাচ ধারণ করেছেন।

একই সঙ্গে কালো পতাকা উড়তে দেখা গেছে সুরেশ্বর বাজার, কার্তিকপুর বাজার, ঘড়িষার বাজার, গোলার বাজার, বাংলা বাজারের প্রায় প্রতিটি দোকানপাটে।

এ লঞ্চডুবির ঘটনায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ এবং সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর এই তিনটি কমিটি করেছে।

নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান মঙ্গলবার দুপরে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে সাংবাদিকদের জানান, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ত্রিশ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। তবে একই পরিবারের একাধিক ব্যাক্তি মারা গিয়ে থাকলে পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা করে পাবে।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...