॥ অর্পন বড়ুয়া, রামু ॥
সন্ত্রাসীদের হাতে চকরিয়া থেকে অপহৃত রামুতে উদ্ধার হওয়া যুবক অপহরণের নেপথ্যে বেরিয়ে আসছে রহস্যজনক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অনুুসন্ধানে জানা গেছে, রামু-মরিচ্যা সড়কের নাশিকুল বেইলী ব্রীজের নিচ থেকে হাত-পা বাধা ও গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় জনতার হাতে উদ্ধার
এ ঘটনায় ত্রিমুখী বক্তব্য পাওয়া গেছে। অপহৃত নাজমুলের শ্বাশুড়ী চকরিয়ার উত্তর লই্যারচর এলাকার নুরুল আফসারে স্ত্রী রওশন আকতার (৪৫) সাংবাদিকদের বলেন, বিগত ২০০০ সালে তার মেয়ে তসলিমা বুলবুল জিসান (৩০) এর সাথে নাজমুলের বিয়ে হয়। চকরিয়া থানা রোডস্থ খোদারকুম এলাকায় নাজমুলের একটি ফার্ণিচারের দোকান রয়েছে। গত ১ বছর ধরে নাজমূল ফার্ণিচারের ব্যবসার অন্তরালে চকরিয়ার বেলিপাড়া এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী সাজেদা বেগম সাজু’র সাথে অনৈতিক সম্পর্কসহ তার সাথে ইয়াবা ও হিরোইনের ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়। এ নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতিনিয়তই ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হতো। শ্বাশুড়ী রওশন বলেন নাজমূল ইয়াবা ও হিরোইন ব্যবসার সাথে জড়িত হওয়ার কারনে টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে এ ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে।
এদিকে জনতার হাতে ধৃত চট্টমেট্টো চ ১১-৬০৯৯ নং নোহা গাড়ীর চালক উখিয়া শীলের ছড়া এলাকার সুলতান আহাম্মদের পুত্র আবদুল গফুর (২৩) সাংবাদিকদের বলেন সে ১৩ মার্চ বিকাল ৩ টায় কক্সবাজার লালদীঘির পাড় এলাকায় তার চালিত নোহা গাড়ি নিয়ে অবস্থান কালে উখিয়ার আব্দুল গণির ছেলে নুর মোহাম্মদ ড্রাইভার তাকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া করে। গফুর কক্সবাজার থেকে ৫ জন যাত্রী নিয়ে চকরিয়া যায়। চকরিয়া পৌঁছলে ওই ৫ জন থেকে ১ জন যাত্রী নেমে যায় এবং আরও ১ জন যাত্রী গাড়িতে উঠে। চকরিয়া থেকে নোহা গাড়িটি রামু-মরিচ্যা সড়কে নিয়ে আসে। তবে চালক গফুর কাউকে চিনে না বলে জানিয়েছে। তার নোহা গাড়ির ভিতর নাজমূল সাঈদকে মারধর এবং রামু-মরিচ্যা সড়কের নাশিকুল বেইলী ব্রীজের নিচে নাজমূলকে হাত-পা বাধা ও গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ফেলে দেওয়া এবং এসব ঘটনা পুলিশ কিংবা স্থানীয় জনতাকে অবহিত না করার বিষয়ে জানতে চাইলে চালক গফুর সাংবাদিকদের সন্তোষ জনক জবাব দিতে পারেনি।
এদিকে এ ঘটনায় অপহৃত যুবক নাজমূল বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে রামু থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাটি তারা তদন্ত করছেন এবং তদন্তের মাধ্যমেই প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন করা হবে। নাজমূল সাঈদকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধারের সময় তার কাছে ছবি সম্বলিত সাপ্তাহিক দুর্নীতি সমাচার পত্রিকার পরিচয় পত্র পাওয়া গেছে। তবে নাজমূল ইয়াবা ও হিরোইন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কারনেই হয়তো বা এ ধরনের পরিচয় পত্র তার সাথে রেখেছেন বলে ধারণা করছেন পুলিশ। এ ঘটনায় সুশীল সমাজে নানা জল্পনা কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমেই এ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শান্তির দাবী জানিয়েছেন।