বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১২

রামুর আইনশৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি


॥ রামু নিউজ রিপোর্ট ॥ 
কক্সবাজারের রামু উপজেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় চুরি,ডাকাতি,খুন,অপহরন বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার পাঁচ লাখ মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। একের পর এক নানা অপরাধ কর্মকান্ড ঘটলেও পুলিশের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। গত মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) উপজেলার মাসিক আইনশৃংখল কমিটির সভায় এ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
 সভায় বক্তারা বলেন, সম্প্রতি
জোয়ারিয়ানালায় সৎ ভাইয়ের হাতে যুবলীগ নেতা ওসমান সরওয়ার আলম হত্যা, রশিদ নগরে শশুড় বাড়িতে জামাই হত্যা, চাবাগান এলাকায় ডাকাতের হাতে ব্যবসায়ী ফারুখ খুন, গর্জনিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় আমির হোছাইন হত্যা, দনি মিঠাছড়িতে বনকর্মীদের গুলিতে কাঠচোর নিহত,পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটি চাপায় পিকআপ শ্রমিক নিহত, দিনদুপুরে ফতেখাঁরকুলের হাইটুপি গ্রামে দিনদুপুরে পুলিশ কর্মকর্তার হাতে গৃহবধূকে নির্মমভাবে মারধর, রাজারকুল নাসির বরকুয়া বেইলী ব্রীজের নিচে হাত-পা বাঁধা ও গলায় ফাঁস লাগানো মূমূর্ষ অবস্থায় যুবক উদ্ধার, রামু মরিচ্যা সড়কে পনেরদিনে দুইবার  ডাকাতি সহ গত কয়েক মাসে শতাধিক অপরাধ কর্মকান্ড সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার দণি মিঠাছড়ি ইউনিয়নসহ  বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা,  মাদকদ্রব্য বেচা-কেনা চললেও পুলিশ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির দিনদিন অবনতি হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকায় সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, নারী ভাইস চেয়ারম্যান মুসরাত জাহান মুন্নী। অন্যান্যদের মধ্যে, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে নজিবুল ইসলাম, হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক সারওয়ার আলম, রামু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শামসুল আলম এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটির এক সদস্য বলেন, রামুর চেরাংঘাটা, মেরংলোয়াসহ বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে মাদক বেচা কেনা বন্ধে এবং চিহ্নিত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃংখলা কমিটির প্রতিটি সভায়  সিদ্ধান্ত হলেও  রহস্যজনক কারনে এ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হয়না। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর নিয়মিত মাসোহারা নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করে থাকে। তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে সহজলভ্য হওয়ায় রামুতে অপরাধ কর্মকান্ড বেড়েই চলেছে। 
তবে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে নজিবুল ইসলাম বলেন, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে এবং সম্প্রতি সংঘটিত প্রায় সবকটি হত্যাকান্ডের আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে অনেকের জবানবন্দীও নেওয়া হয়।
আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির কথা স্বীকার করে ইউএনও শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক বলেন, আইন শৃংখলা রায় পুলিশকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে পুলিশের সাথে বসে আইনশৃংখলার উন্নয়নে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল বলেন, উপজেলায় সম্প্রতি একের পর এক চুরি, ডাকাতি, হত্যাকান্ড এবং নানা অপরাধ কর্মকান্ড ঘটলেও পুলিশের তৎপরতা নেই। রহস্যজনকভাবে পুলিশের কর্মকান্ডে স্থবিরতা চলছে। ফলে আইনশৃংখলার অবনতি হচ্ছে। তাদের আরও তৎপর হওয়া দরকার। তিনি বলেন, ডাকাতি তো আছেই, গত পনের দিনে তাঁর নিজের দুটি গরুসহ সাতটি গরু চুরি হয়েছে। কিন্তু পুলিশ চোরও ধরতে পারেনি ,একটি গরুও উদ্ধার করতে পারেনি।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...