রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১২

মহেশখালীর আওয়ামীলীগ নেতার পুত্র দিদার হত্যা মামলা সরজমিন পরিদর্শনে: সি.আই.ডি

॥ এম ছালামত উল্লাহ: মহেশখালী ॥  
গত ৮ জানুয়ারী মহেশখালীতে ঘটে যাওয়া  চাঞ্চল্যকর দিদার হত্যা মামলার মহেশখালী থানায় রুজু হয়েছে গত ০৮/০২/২০১২ইং তারিখ। মহামান্য হাইকোর্ট নিহত দিদারের পিতা এম. ফোরকানের করা এক রীট পিটিশনের প্রেক্ষিতে মহেশখালী থানাকে এ মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর আগে নিহত দিদারের পিতা
মহেশখালী থানায় দিদার হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করেন। উক্ত থানা তা রুজু না করায় পরে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মহেশখালীতে ১৫/১/১২ইং তারিখ এজাহার দায়ের করলে উক্ত বিজ্ঞ আদালত ওসি মহেশখালীকে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। ওসি মহেশখালীর তাতে তৎপরতা প্রত্যক্ষ হয়নি বিধায় নিহত দিদারের পরিবারের পক্ষ থেকে নিহত দিদারের ছোট বোন চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল স্কুল এণ্ড কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মিসেস রেজিয়া আকতার গত ২১/০১/১২ইং কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের নিকট দিদার হত্যা কান্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনীদের গ্রেফতারের আবেদন জানানো হয়। যে আবেদনের স্মারক নং-৭২৩/ তারিখ২৪/০১/২০১২ইং। জেলা পুলিশ সুপারের কাছে নিহত দিদারের বোনের দিদার হত্যা মামলার সহায়তা প্রত্যাশ করার পনের দিন পর জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ গ্রহণ পরিলক্ষিত না হওয়ায় নিহত দিদারের পিতা গত ৬/২/১২ইং তারিখ মহামান্য হাইকোর্টের আশ্রয় নেন। উলে¬খ্য যে, গত ২০/০২/২০১২ইং তারিখ নিহত দিদারের পিতা কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তা ও আসামী গ্রেফতারসহ যাবতীয় পুলিশী সহায়তা প্রত্যশা করে এক আবেদন দাখিল করেন। যে আবেদনের স্মারক নং-১৪৯৩/তারিখ-২০/০২/২০১২ইং। এদিকে মহেশখালী থানার ওসি রনজিৎ বড়–য়া দিদারের মৃত্যুর ঠিক একদিন আগে গত ৭/১/২০১২ইং তারিখ দিদারসহ দিদারের ৩ সহোদরের নামে একটি ডাকাতি মামলা রুজু করেন। এ মামলার বাদী দিদার হত্যা মামলার ১নং আসামী সালাহ উদ্দিনের মা। দিদারের মৃত্যুর ১দিন পর ৯/১/২০১২ইং তারিখ দিদারসহ উক্ত ৩ সহোদরের নামে আরও একটি ডাকাতির মামলার চার্জসীট বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মহেশখালীকে দাখিল করেন উক্ত ওসি। এই মামলাটির বাদী দিদার হত্যা মামলার ১নং আসামী সালাহ উদ্দিনের আপন তালাত ভাই এবং মামলাটির ১নং স্বাক্ষী সালাহ উদ্দিনের আপন বোন। এছাড়া দিদারের মৃত্যুর ২৬ দিন পর ৪/২/১২ইং তারিখ মহেশখালী থানার ওসি রনজিৎ বড়–য়া নিহত দিদারের উক্ত ২ সহোদরসহ তার আতœীয় স্বজনের নামে আরও ১টি ডাকাতিসহ ঘর পোড়া মামলা রুজু করেন। যে মামলাটির বাদী সালাহ উদ্দিনের মামী। নিহত দিদারের পিতা জানান কক্সবাজার জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার আমাদের বড় ধরনের সহায়তা না করলেও ঐদিন দিদার হত্যা মামলার ১৫ নং আসামী জয়নালকে আটক করার পেছনে উনার সহযোগিতা পেয়েছি। কারণ উক্ত দিন মহেশখালী থানার সম্মানিত ওসি রনজিৎ বড়–য়াকে আসামীদের এলাকায় অবস্থানের খবর জানালে উনি সহায়তা না করায় বাধ্য হয়ে মাননীয় পুলিশ সুপারকে ফোন করি। উনি পুলিশ পাঠানোর বিষয়ে আমাদের আশ্বস্থ করেন এবং পুলিশ পাঠান। ইতিমধ্যে আসামীরা অনির্দিষ্ট গন্তব্যে পাড়ি জমায়। আমাদের লোকজন আসামী জয়নালের গন্তব্য চিহ্নিত করতে সক্ষম হয় ফলে উক্ত আসামী ধৃত হয় পার্শ্বের গ্রামের সিপাহী পাড়া থেকে। এদিকে সরেজমিন তদন্তে জানা যায় গত ১৬মার্চ ২০১২ইং এডিশনাল পুলিশ সুপার, মহেশখালী থানার ওসি রণজিৎ বড়–য়াসহ পুলিশের কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসেছিলেন নিহত দিদারের গ্রামে দিদার হত্যা মামলা তদন্ত করতে। একই সাথে গতকাল ১৭ মার্চ ২০১২ইং গিয়েছিলেন মহেশখালী থানার ওসি তদন্ত নাছির উদ্দিন। বিশ্বস্থ সূত্রে শোনা যায় গত ১১মার্চ ২০১২ইং বিজ্ঞ আইনজীবি এডভোকেট মনজিল মোরসেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সন্তুষ্ট হয়ে দিদার হত্যা মামলা সিআইডি তদন্তে প্রেরণ করেন মহামান্য হাইকোর্ট। এলাকাবাসীদের মধ্যে সচেতন জনগোষ্ঠী মনে করেন ১১ মার্চ মহামান্য হাইকোর্ট মামলা সিআইডিতে প্রেরণ করার পর হঠাৎ করে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের দিদার হত্যা মামলার এই তদন্তের প্রয়োজনটা কোথায় রয়েছে সেটাই ভাবিয়ে তুলেছে তাদের। বিশেষ করে ওসি রনজিৎ বড়ুয়া ১১ মার্চ হাইকোর্টে উপস্থিত ছিলেন এবং মামলা সিআইডিতে প্রেরণ সম্পর্কে তিনি অবহিত আছেন। নিহত দিদারের পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে এ বিষয়ে বার বার তাগাদা দেওয়া সত্বেও তার উপস্থিতিতে এবং তার সহযোগিতায় ১৬ এবং ১৭ মার্চের পর পর ২ দিন দিদার হত্যা মামলার এই পুলিশী তদন্ত এলাকাবাসীর কাছে বিরাট প্রশ্ন?   


এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...