॥ মহসীন শেখ, কক্সবাজার ॥
কক্সবাজার শহর থেকে তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ুয়া আমেনা জুহি নামের এক ৮ বছরের শিশুকে অপহরণের দায়ে আটক জেলার শীর্ষ তালিকাভূক্ত দেহ ব্যবসায়ী হাসান আহমেদ প্রকাশ ঢাকাইয়া দালাল হাসানকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার আটকের পর শিশুর পিতা অ্যাড. কায়সারুল ইসলাম বাদী হয়ে দালাল হাসানসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছে। যার কক্সবাজার থানা মামলা
নং-৬৩, তারিখ-২৩/০৩/১২। তাকে শনিবার আদালতে হাজির করে তার বিরুদ্ধে পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছেন বলে আদালত সূত্র জানিয়েছেন। আদালত রিমান্ডের আবেদনটি শুনানীর জন্য দিন ধার্য্য করে হাসানকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখাকে দেয়া হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নুর উদ্দিন জাহেদ মামলাটি তদন্ত করবেন বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা(ডিবি) ওসি বাসু দত্ত। কক্সবাজার শহর থেকে তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ুয়া আমেনা জুহি নামের এক ৮ বছরের শিশুকে অপহরণের দায়ে আটক জেলার শীর্ষ তালিকাভূক্ত দেহ ব্যবসায়ী হাসান আহমেদ প্রকাশ ঢাকাইয়া দালাল হাসানকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার আটকের পর শিশুর পিতা অ্যাড. কায়সারুল ইসলাম বাদী হয়ে দালাল হাসানসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছে। যার কক্সবাজার থানা মামলা
এদিকে শুক্রবার তালিকা ভূক্ত শীর্ষ দেহ ব্যবসায়ী হাসানকে আটকের খবরে অপরাধ জগতে আতংকের সৃষ্টি হলেও তাকে ছাড়িয়ে নিতে রাতভর পুলিশের কাছে নামী-দামী ব্যক্তিদের তৎবির চালাতে দেখা গেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানিয়েছেন।
অপরদিকে হাসানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিশু জুঁই অধ্যায়নরত কক্সবাজার কে.জি এন্ড মডেল হাই স্কুলের শিকসহ সুধিজনরা।
উল্লেখ্য, ৬ ফেব্র“য়ারী সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শহরের গোলদীঘির পাড় এলাকার বড় কবরস্থানের পাশের নিজ বাড়ির গেইট থেকে এক কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য জাতীয় পার্টি নেতা অ্যাড. কায়সারুল ইসলামের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া কন্যা ৮ বছরের শিশু আমেনা জুঁইকে। ২৩ মার্চ দুপুরে ওই অপহরনের প্রধান নায়ক হাসানকে বাসা থেকে আটক করতে সক্ষম হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা।