সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১২

কক্সবাজারে শপিং মার্কেটের সামনে বিষাক্ত শুটকি বিক্রি

॥ জাবেদ আবেদীন শাহীন ॥
 বার্মিজ শপিং মার্কেটে কেনাকাটার ফাঁকে ফাঁকে তীব্র গরম সেই সাথে শুটকির পচাঁ ঘ্রাণে বিব্রত বোধ করছিল ঢাকার কয়েকজন পর্যটক । প্রতি বারের ন্যায় এবারো পরিবার পরিজন নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছে। তারা বলেন, দেশে  অনেক  জায়গায় ভ্রমন করেছি। পর্যটন শহরে এ ধরনের নোংরা পরিবেশ কোথাও দেখি নাই। বার্মিজ শপিং মার্কেটের সামনে
পাশে পরিবেশ বিধ্বংশী শুটকির আড়ত সত্যিই অদ্ভুদ ব্যাপার। সর্বত্রই বিশ্রী ঝাঁঝালো গন্ধ ছড়াচ্ছে।  মনে হয় না এ শহরে প্রশাসন  দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে।না হয় আইন সম্বন্ধে কোন ধারনাই নেই। খোদ প্রধান সড়কে জনবহুল এলাকায় তাও আবার খোলা পরিবেশে বিএসটিআইয়ের সিল ছাড়া বিক্রি হচ্ছে। শুটকির গন্ধের জন্য এখানে আর কেনাকাটা করতে আসা হবে না। বিশেষ করে ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য এটি মারাত্নক হুমকির কারণ। কথা গুলো বলছিলেন ঢাকার পর্যটক ইসমত আরা।
পর্যটক দম্পত্তি সিলেটের হাসান আরিফ ও রুনা জানান , বিয়ে হয়েছে দুমাস হচ্ছে। বিদেশে না গিয়ে দেশে থাকা পর্যটন স্পট হিসাবে পরিচিত কক্সবাজারে হানিমুন করতে আসা। সত্যি  সবুজ পাহাড় সমৃদ্ধ আর বিশাল সমুদ্র সৈকত পরিবেশটা চমৎকার। রাখাইনদের বার্মিজ মার্কেটের অনেক গল্প বন্ধুদের মুখে শুনেছি। দেখার লোভও ছিল অনেক দিনের তাই এখানে আসা। শহরের  বিভিন্ন স্থানে দেখি খোলা ভাবে বিশ্রী পরিবেশে পঁচা  শুটকি বিক্রি করছে। গন্ধটাও সহ্য করার মত নয়।অথচ  বিদেশে বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য রয়েছে মনোরম পরিবেশে শপিং মার্কেট গুলোতে কেনাকাটা করার জন্য আলাদা সুযোগ সুবিধা। পর্যটকদের বিভিন্ন ভাবে স্বাগত  জানিয়ে সুন্দর পরিবেশের কেনাকাটার সুযোগ করে দেয়। এসব শুটকির দোকান থাকা একদম অনুচিত। এখানে সচেতনতার অভাব বলেই “ জনসমূখ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শুটকি বিক্রি হচ্ছে।
পর্যটন শহরের টেকপাড়ায় বার্মিজ শপিং মার্কেটগুলো ভ্রমন পিপাসু পর্যটকদের কাছে বরাবরই কেনাকাটার তীর্থ স্থান হিসাবে সুপরিচিত রয়েছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শহরের বিভিন্ন স্থানে গড়া উঠা মার্কেট গুলোর সামনে পাশেই খোলা ভাবে গড়ে উঠেছে অবৈধ বিষাক্ত শুটকির আড়ত।  বাতাস জনিত কারনে  ভেসে আসে শুটকি দোকানের পচাঁ তীব্র  ঘ্রাণ। স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও থাকে বিব্রত। আগের চেয়ে ক্রেতা অনেক কমে গেছে। বেচাকেনায়ও চলছে মন্দা ভাব। এ সব অভিযোগ স্থানীয় বার্মিজ শপিং মার্কেটের দোকানদারদের।
 কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য  বিশ্বে ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে দিন দিন আকর্ষনীয় হয়ে উঠছে। ভ্রমন জনিত সুবিধা থাকায়  প্রতি বছর বাড়ছে পর্যটকের উপস্থিতি। অথচ প্রশাসনের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে একটি সিন্ডিকেট চক্র নিজেদের ব্যবসার স্বাথের্ জনসমুখ্যে শহরের যত্রতত্র শুটকির দোকান  ও আড়ত গড়ে তুলেছে। ফলে মেয়াদহীন শুটকীর তীব্র দুর্গন্ধে জনজীবনের পরিবেশ হুমকীর মুখে পড়েছে। এতে করে সামাজিক পরিবেশ বিনষ্টের পাশাপাশি প্যাকেজাত বিক্রিত শুটকীর মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ভোক্তারা। সিন্ডিকেট চক্রটি প্রশাসন ম্যানেজ করে শহরের যত্রতত্র স্থানে  দেদারসে শুটকী ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
  খোঁজ নিয়ে বিভিন্ন তথ্যে জানা যায়, শহরের সর্বময় স্থানে দুগন্ধ শুটকির বেচাবিক্রিতে পর্যটনের পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে।নিয়ন্ত্রন না থাকায়  শহরে এখন প্রতিনিয়ত বাড়ছে  শুটকী দোকান । বিভিন্নস্থানে  ভাসমান  শুটকি বিক্রেতাসহ প্রায় দু শতাধিকেরও বেশি শুটকী দোকান রয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, শুটকীর দোকানগুলোতে বিক্রিত প্যাকেটজাত  শুটকীর মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।দোকানিরা বিভিন্ন ভাবে ছল ছাতুরী অবলম্বন করে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিশেষ প্যাকেট অবলম্বন করে। অথচ তাতে নেই কোন বিএসটিআই এর সীল, নেই কোন মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ। দায়িত্বরত কর্তৃপকে বিশেষ ভাবে ম্যানেজ করে চক্রটি নির্ভয়ে মার্কেটসহ জনস্বার্থে ক্ষতি করে অবৈধ ভাবে শুটকি ব্যবসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ প্রতিনিয়ত।শহরের টেকপাড়া,বার্মিজ মার্কেট,ফায়ারব্রিগেটের পাশে,কোট ব্লিডিং এলাকা, লাবনী মর্কেট,মধ্যম কলাতলীর বিভিন্ন পয়েন্ট, হোটেল মোটেল জোন, সী-ইন পয়েন্ট, পুরাতন ঝিনুক মার্কেট ও এস এ পরিবহন কাউন্টারের পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধভাবে শুটকি দোকান । বার্মিজ মার্কেটের দোকান ব্যবসায়ীরা  জানান, পর্যটকদের কাছে কেনাকাটার তীর্থ স্থান হিসেবে সুপরিচিত রয়েছে এই বার্মিজ মার্কেটগুলো।অথচ মার্কেটের  স্বাভাবিক পরিবেশে শুটকির দুর্গন্ধে অতিষ্ঠপর্যটকসহ এলাকাবাসী। যেখানে জনসম্মুখে পরিবেশ ক্ষতি, পরিবহন, বিমান, রেলে ভ্রমণ কালে এবং  শুটকী বহনে বিধিনিষেধ রয়েছে সেখানে উন্মুক্তভাবেমানহীন  শুটকী বেচাকেনা কি করে সম্ভব। নাজিরার টেক এলাকার শুটকী ব্যবসায়ীআবু সুলতান জানান, দ্রুত মাছ শুকানো কাজে অনেক সময় পোকার আক্রমণ থেকে রার জন্য ব্যাটারীর পানি, নাইট্রিক এসিড, বিষ ব্যবহার করা হয় সকলের অজান্তে। যা শরীরের জন্য মারাত্মক হুমকী। এমনকি মৃত্যুর আশংকা রয়েছে বলে জানান।
 সী-ইন পয়েন্টে স্ব-পরিবারে কেনাকাটা করতে আসা উদ্ভিদ বিভাগের প্রভাষক ঢাকাআনিসুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের শুটকীর কদর বেশি রয়েছে। প্রতিটি জিনিসের মতো শুটকী মাছ নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার পর খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যা খেলে শরীর বিষের  প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। প্রশাসনের উচিত কোলাহল মুখর বিশুদ্ধ পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং এই ধরনের শুটকীর বাণিজ্য অচীরে বন্ধ হওয়া উচিত বলে জানান।
সচেতন মহলসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন প্রশাসনের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করলেও কাজের কাজ তেমন পরিলতি হয়নি। ফলে ভোক্তাদের পড়তে হয়েছে বিভিন্ন দুর্ভোগে। শুটকীর ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্যাকেট সুসজ্জিত করে ঝুলিয়ে রাখে ছুরী শুটকী, লইট্ট্যা শুটকী, চান্দা শুটকী, চিংড়ি শুটকী, মাইক্কা শুটকী, পোয়া শুটকী, ইলিশ শুটকী, পাচ কাটা শুটকী, লাইখ্যা শুটকী সহ ৪০ রকমের। কয়েক বছর পূর্বে শুটকী রপ্তানী করা হলেও বর্তমানে মান নিয়ে প্রশ্ন উঠায় বন্ধ রয়েছে।
 জেলার পরিবেশ বাদী সংগঠগুলো এই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে শহরে শুটকীর বিক্রির দোকান বন্ধ করে জনস্বার্থের সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা পাশাপাশি শহরের নিরব একপাশে শুটকী মার্কেট গড়ে তোলার দাবী জানিয়েছেন।এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগীতা কামনা চাওয়া হয়।



























































































































































ুু











এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...