॥ সোয়েব সাঈদ ॥
রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দারিয়ারদীঘি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী সহ অর্ধশত আহত হওয়ার ঘটনা সমাধানে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। হামলার দিন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক কে লিখিত অভিযোগ দেন।
ওই অভিযোগে প্রেক্ষিতে গতকাল ১ এপ্রিল (রবিবার) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক। বৈঠকে রামু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাকের উল্লাহ, খুনিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক আব্দুল মাবুদ, ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক, কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী, জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান এমএম নুরুচ ছাফা, চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান মুফিদুল আলম মুফিদ প্রমূখ।
সভায় বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক জহির উল্লাহর ভাইদের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি প্রমানিত হয়। এ জন্য ওই ঘটনায় জড়িতদের প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চান।
এছাড়াও ওই ঘটনায় জড়িতরা আগামী ৫ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার সকাল ৯ টায় দারিয়ারদিঘী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসীর সামনে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নেবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও ঘটনারদিন (৩১ মার্চ) বিদ্যালয়ের নতুন যোগদান করা প্রধান শিক্ষক জহির উল্লাহর বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীদের মিছিল করার পেছনে ইন্ধনদাতা আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে দারিয়ারদিঘী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাফর আলম, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাজু উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক সুরজিত বড়ুয়া, বাবলী বড়ুয়া, প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের আদেশ পাওয়া জহির উল্লাহ, সাবেক প্রধান শিক্ষক নজির আহমদ, ইউপি সদস্য আবু তাহের সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
খুনিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বিষয়টি মামলার পরিবর্তে সুষ্ঠু সমাধানের পথে এগুচ্ছে। বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে সকলকে এ ব্যাপারে আন্তরিক ভূমিকা রাখতে হবে।
দারিয়ারদীঘি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. জাফর জানান, পাশের পেঁচারদ্বীপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বদলী হয়ে শনিবার (৩১ মার্চ) সকাল নয়টার দিকে এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক পদে যোগদান করতে আসেন পাশের পূর্ব দারিয়ারদীঘি গ্রামের বাসিন্দা মো. জহির উল্লাহ। কিন্তু ওই শিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকায় এলাকাবাসী তাকে যোগদান করতে দেননি। এ অবস্থায় তিনি এলাকাবাসীর বাঁধার মুখে দুই-তিন ঘন্টা অবস্থানের পর চলে যান।
এ ঘটনার জের ধরে ওইদিন বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে জহির উল্লাহর ভাই মহিবুল্লাহ,আহসান উল্লাহ,নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে তাঁর নিজের এলাকা থেকে শতাধিক লোকজন এসে বিদ্যালয়ে হামলা চালায়।
এতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক মো.তাজু উদ্দিন, সহকারী শিক সুরজিত বড়ুয়া, বাবলি বড়ুয়া, শিক্ষার্থী শাহানা, রোকেয়া, সাইফুল, হামিদা, ফয়সাল, এলাকাবাসী সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক আহত হন। হামলাকারীরা ইংরেজী শিক্ষার জন্য বিদেশী সংস্থার দেয়া যন্ত্রাংশ, ফুলের টব, জানালার কাঁচ ভাংচুর, শিার্থীদের উপবৃত্তির কার্ড তচনচ এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করে।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শহীদ মো. ছাইদুল হক জানান, বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করার চেষ্টা চলছে। হামলাকারীরা শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। পরে বিদ্যালয়েও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবে। এছাড়া ভাংচুর এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য হামলাকারীদের জরিমানাও করা হয়েছে।
রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দারিয়ারদীঘি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী সহ অর্ধশত আহত হওয়ার ঘটনা সমাধানে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। হামলার দিন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক কে লিখিত অভিযোগ দেন।
ওই অভিযোগে প্রেক্ষিতে গতকাল ১ এপ্রিল (রবিবার) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক। বৈঠকে রামু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাকের উল্লাহ, খুনিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক আব্দুল মাবুদ, ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক, কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী, জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান এমএম নুরুচ ছাফা, চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান মুফিদুল আলম মুফিদ প্রমূখ।
সভায় বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক জহির উল্লাহর ভাইদের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি প্রমানিত হয়। এ জন্য ওই ঘটনায় জড়িতদের প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চান।
এছাড়াও ওই ঘটনায় জড়িতরা আগামী ৫ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার সকাল ৯ টায় দারিয়ারদিঘী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসীর সামনে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নেবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও ঘটনারদিন (৩১ মার্চ) বিদ্যালয়ের নতুন যোগদান করা প্রধান শিক্ষক জহির উল্লাহর বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীদের মিছিল করার পেছনে ইন্ধনদাতা আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে দারিয়ারদিঘী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাফর আলম, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাজু উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক সুরজিত বড়ুয়া, বাবলী বড়ুয়া, প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের আদেশ পাওয়া জহির উল্লাহ, সাবেক প্রধান শিক্ষক নজির আহমদ, ইউপি সদস্য আবু তাহের সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
খুনিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বিষয়টি মামলার পরিবর্তে সুষ্ঠু সমাধানের পথে এগুচ্ছে। বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে সকলকে এ ব্যাপারে আন্তরিক ভূমিকা রাখতে হবে।
দারিয়ারদীঘি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. জাফর জানান, পাশের পেঁচারদ্বীপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বদলী হয়ে শনিবার (৩১ মার্চ) সকাল নয়টার দিকে এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক পদে যোগদান করতে আসেন পাশের পূর্ব দারিয়ারদীঘি গ্রামের বাসিন্দা মো. জহির উল্লাহ। কিন্তু ওই শিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকায় এলাকাবাসী তাকে যোগদান করতে দেননি। এ অবস্থায় তিনি এলাকাবাসীর বাঁধার মুখে দুই-তিন ঘন্টা অবস্থানের পর চলে যান।
এ ঘটনার জের ধরে ওইদিন বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে জহির উল্লাহর ভাই মহিবুল্লাহ,আহসান উল্লাহ,নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে তাঁর নিজের এলাকা থেকে শতাধিক লোকজন এসে বিদ্যালয়ে হামলা চালায়।
এতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক মো.তাজু উদ্দিন, সহকারী শিক সুরজিত বড়ুয়া, বাবলি বড়ুয়া, শিক্ষার্থী শাহানা, রোকেয়া, সাইফুল, হামিদা, ফয়সাল, এলাকাবাসী সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক আহত হন। হামলাকারীরা ইংরেজী শিক্ষার জন্য বিদেশী সংস্থার দেয়া যন্ত্রাংশ, ফুলের টব, জানালার কাঁচ ভাংচুর, শিার্থীদের উপবৃত্তির কার্ড তচনচ এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করে।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শহীদ মো. ছাইদুল হক জানান, বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করার চেষ্টা চলছে। হামলাকারীরা শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। পরে বিদ্যালয়েও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবে। এছাড়া ভাংচুর এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য হামলাকারীদের জরিমানাও করা হয়েছে।