॥ জহির উদ্দীন খন্দকার,ঈদগড় ॥
রামু উপজেলার ঈদগড়ে অসংখ্য ফসলি জমিতে এখন তামাক চাষ আর তামাক চাষ। তামাকের আগ্রাসন থেকে রা পাইনি দেশের স্বনামধন্য পি,এইচ,পি গ্র“পের জমিও। তামাক পাতা পুড়াতে কাটা হচ্ছে সংরতি বনাঞ্চলের মূল্যবান গাছ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিট্রিশ আমেরিকান ট্যোবাকো ও
ঢাকা ট্যোবাকো নামের দুইটি তামাক কোম্পানীর অধিনে এলাকার ৮০জন তামাক চাষী প্রায় ৬০০শত একর ফসলি জমিতে তামাক চাষ সৃজন করেছে। ঈদগড় বড়বিল,বৌঘাট, নতুন পাড়া, করলিয়ামুরা, কেম্পেরচর, ঠান্ডাঝিরি, ঘিলাতলী, চরপাড়া ও পূর্বরাজঘাটাসহ ঈদগড় এলাকা জুড়ে এখন তামাকের সবুজ সমারোহ। ঈদগড় বাজারের অতি নিকটে অবস্থিত চরপাড়া গ্রাম। এই গ্রামের বিশাল ফসলি জমির মাঠ এখন তামাক চাষে পরিপূর্ন। সরেজমিনে গেলে দেখা যায় তামাক েেতর মাঝামাঝি টাঙ্গানো আছে ১টি সাইন বোর্ড। সাইন বোর্ডে লেখা আছে “ক্রয় সূত্রে এই জমির মালিক পি,এইচ,পি লেট্যাক্স এন্ড রাবার প্রোডাক্ট লিঃ। চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই জমিটি ক্রয় করেছিল উক্ত গ্র“পের অফিস ঘর নির্মাণ করার জন্য। উক্ত কোম্পানীর কর্মকর্তারা মালিকের অজান্তে জমিটি তামাক চাষীদের লাগিয়ত করেছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে চাষীরা তামাক পাতা পুড়ানোর জন্য সরকারী রিজার্ভ ভূমির মূল্যবান গাছ কেটে নির্মাণ করেছে ৭০ টি তামাক চুল্লি। একটি তামাক চুল্লিতে মৌসুমে পুড়ানো হবে ২৫০মণ জ্বালানি। সেই হিসাবে ৭০টি চুল্লিতে পুড়ানো হবে ১৭৫০০মণ জ্বালানি কাঠ। এ বিশাল অংকের জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের টার্গেট নিয়ে ঈদগড় বনাঞ্চলে চলছে গাছ কাটার মহাৎসব। বনাঞ্চল থেকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ ও তামাক চুল্লিতে পুড়াতে দিতে হয় আড়াই হাজার করে ঘুষ। এই অভিযোগ করেছে তামাক চাষী আবুল কালাম। এ ব্যাপােের ঈদগড় রেঞ্জ কর্মকর্তা নুরুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে এই অভিযোগ সত্য নয় এবং শীঘ্রই তামাক চুল্লিতে অভিযান চালানো হবে বলে তিনি দাবি করেন।রামু উপজেলার ঈদগড়ে অসংখ্য ফসলি জমিতে এখন তামাক চাষ আর তামাক চাষ। তামাকের আগ্রাসন থেকে রা পাইনি দেশের স্বনামধন্য পি,এইচ,পি গ্র“পের জমিও। তামাক পাতা পুড়াতে কাটা হচ্ছে সংরতি বনাঞ্চলের মূল্যবান গাছ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিট্রিশ আমেরিকান ট্যোবাকো ও