॥ রামু নিউজ ডেস্ক ॥
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতির
প্রতিবাদে দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট।
শনিবার বিকালে রাজধানীতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস-পানি সংকট নিরসনে ব্যর্থতার প্রতিবাদে ১১ এপ্রিল এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি, খুন-গুম-হত্যাকাণ্ড বৃদ্ধির প্রতিবাদে মহানগর-জেলা-থানায় ২৫ এপ্রিল বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল।
মার্চের হরতাল প্রত্যাহার করা বিএনপি এপ্রিলে হরতাল দিতে পারে- গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরের পর জনমানুষের সৃষ্ট উদ্বেগের মধ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিল বিরোধী দল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “দেশের জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আমরা এপ্রিল মাসের কর্মসূচি ঠিক করেছি। এই মাসে এইচএসসি পরীক্ষা রয়েছে। মানুষের যাতে কষ্ট না হয়- সেদিকে নজর রেখে দুই দিনের কর্মসূচি দিয়েছে আমরা।”
“সরকারকে বলব, বিদ্যুতের দাম অবিলম্বে কমাতে হবে। লোডশেডিং দূর করতে হবে। নইলে আগামীতে এই ইস্যুতে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্রাহক পর্যায়ে খুচরা বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে গড়ে ৩০ পয়সা এবং পাইকারি (বাল্ক) দাম ২৮ পয়সা হারে বৃদ্ধি করে। মার্চ মাস থেকেই নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং ১২ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশে বাধা, হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নয়া পল্টনে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সমাবেশে চার দলের শরিক নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, “এখনো সময় আছে, নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নিয়ে সংসদে তা পাস করুন। বিরোধীদলীয় নেতা আপনাদের এজন্য ৯০ দিনের সময় দিয়েছেন। তা না হলে আপনারা পালাবারও পথ পাবেন না।”
সাংবিধানিকভাবে বাতিল হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালে চলতি মাসে এক সমাবেশ থেকে সরকারকে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
অর্থনীতিকে সরকার পরিকল্পিতভাবে প্রতিবেশি দেশের ওপর নির্ভরশীল করে ফেলার কাজ করে চলেছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
মহানগর আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, আমান উল্লাহ আমান, ফজলুল হক মিলন, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জামায়াতে ইসলামীর অধ্যাপক মজিবুর রহমান, হামিদুর রহমান আযাদ, এ টি এম মাসুদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম আল মামুন বক্তব্য রাখেন।