শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১২

সৌদি কূটনীতিক হত্যার তদন্ত শুরু

॥রামু নিউজ ডেস্ক॥  সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলির হত্যার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।

শনিবার রাজধানীর পুরান ঢাকায় কে এল জুবিলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি তথ্য জানান। গত সোমবার রাজধানীর গুলশানের কূটনীতিক জোনে খালাফ গুলিতে নিহত হন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “খালাফ হত্যা তদন্তে সৌদি কর্মকর্তা এসেছেন- এ কথা আমিও শুনেছি। তবে তারা কিভাবে এ ঘটনা তদন্ত করবেন তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলে সৌদি কর্মকর্তারা আমাদের তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তবে এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে।”

তিনি বলেন,
“বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ১২ মার্চের কর্মসূচিকে ঘিরে কেউ যাতে রাজধানীতে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।”

কলেজের অধ্যক্ষ সমরেন্দ্র নাথ রায় সমরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান খান দিপু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

১২ মার্চের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নগরবাসী যাতে কোনো ধরনের সহিংসতার শিকার না হয়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”

অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, একে একে অনেক যুদ্ধাপরাধী ধরা পড়ছে। যতদিন যুদ্ধাপরাধীদের বাংলার মাটিতে পাওয়া যাবে ততদিন পর্যন্ত তাদের বিচার চলবে।”

তিনি বলেন, “বিএনপি-জামায়াত ১২ মার্চ ‘চলো চলো ঢাকায় চলো’ কর্মসূচি দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করাই এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই যেকোনো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করার অধিকার বিএনপির রয়েছে। তবে কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো এ ধরনের কর্মসূচি দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের লক্ষ্যে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না।”

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “রাজধানীর আবাসিক হোটেলগুলোতে কেউ থাকতে পারবে না- এ কথা সঠিক নয়। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির অন্তরালে বোমা ও অস্ত্র নিয়ে হোটেলে বসে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা ষড়যন্ত্র করবে আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বসে তা দেখবে- এটাও ভাবা ঠিক হবে না।”

অপরিচিত লোকদের যাচাই-বাচাই করে আবাসিক হোটেলে সিট দিতে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি-জামায়ত জোট সরকারের আমলে সৃষ্ট জঙ্গিরা ৬৩টি জেলায় একই সময়ে ৫৫৩টি সিরিজ বোমা নিক্ষেপ করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল। সে সময় জঙ্গিরা বিচারক ও আইনজীবী হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে উপর্যুপরি গ্রেনেড হামলা চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেষ্টা করেছিল। গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী মহিলা লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত ও তিন শতাধিক আহত হয়। সূত্র: বাসস।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...