শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১২

তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু: আজ যোগ হচ্ছে দেড় কোটি নতুন ভোটার

॥রামু নিউজ ডেস্ক॥   আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রায় পৌনে এক কোটি নতুন তরুণ ভোটার অংশ নিতে যাচ্ছে। চলতি বছরের শেষেই ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদের মাধ্যমেই এই তরুণ ভোটাররা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। নির্বাচন কমিশন মনে করছেÑ আগের যেসব ভোটার বাদ পড়েছেন তারাও যুক্ত হবেন।
তাই নতুন ভোটার প্রায় দেড় কোটি হতে পারে। সব মিলিয়ে আগামী নির্বাচনে মোট ভোটার হতে পারে পৌনে ১০ কোটি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই নতুন ভোটাররাই পরবর্তী নিবাচনের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক হবেন। ৭০ লাখ ভোটার অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল শনিবার থেকে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে প্রথম পর্যায়ে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ। আগামী বছর তালিকা হালনাগাদ করা হবে না। এ তালিকা দিয়েই আগামী দশম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি)সচিবালয় জানায়, চার ধাপে দেশব্যাপী ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। আগামীকাল বেলা ১১টায় সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে হালনাগাদের কাজ উদ্বোধন করা হবে। ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর হবে তারা হালনাগাদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। সেক্ষেত্রে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ বছর হবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। নতুন এ ভোটারদের জন্য নতুন চারটি তথ্য যুক্ত হচ্ছে। ‘ফ্যামিলি ট্রি’ বা পারিবারিক পরিচয় থেকে শনাক্ত করার উপায় হিসেবে নতুন ভোটারদের ডাটাবেজে যুক্ত হবে বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের আইডি নাম্বার, মায়ের আইডি নাম্বার, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীর আইডি নাম্বার এবং জন্ম নিবন্ধন নাম্বার। তবে যারা ইতিমধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এসব তথ্য সংযোজন প্রযোজ্য নয়।
এবার হালনাগাদে ছিটমহলবাসীদের ভোটার করার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময়সূচিতে বলা হয়েছে, প্রথম পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৬৪ উপজেলায় ১০ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। নিবন্ধন কেন্দ্রে ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপসহ আনুষঙ্গিক তথ্য নেয়া হবে ২১ মার্চ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত।
দ্বিতীয় ধাপে ৭৬ উপজেলায় এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে হালনাগাদ শুরু হবে। নিবন্ধন হবে এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৪০ উপজেলায় ১৭ মে থেকে ২৬ মে পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। নিবন্ধন হবে ২৯ মে থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত। তৃতীয় পর্যায়ে ১৪০ উপজেলায় ২১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। নিবন্ধন হবে ৪ আগস্ট থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত। শেষ চতুর্থ পর্যায়ে ৯২ উপজেলায় ৪ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং নিবন্ধন হবে ১৭ অক্টোবর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন মে মাসের মধ্যে করার বাধ্যবাধকতা থাকায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে এসব এলাকায় হালনাগাদ হবে না। চতুর্থ পর্যায়ে ৪ অক্টোবর থেকে ঢাকা সিটিতে এ কাজ শুরু হবে।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...