॥রামু নিউজ স্পোর্টস ডেস্ক॥
এশিয়া কাপের চতুর্থ খেলায় ভারতকে ৫ উইকেটে হারানোর পর নতুন করে শুরুর প্রত্যয় শোনা গেল অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং ম্যাচসেরা সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে।
২০০৭ সালের বিশ্বকাপের ঠিক আগে আগে ১৬ মার্চ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মানজারুল ইসলাম রানা। শোককে শক্তিকে পরিণত করে সেবার ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল
বাংলাদেশ।
এবার রানার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীর আগের রাতে টিম মিটিংয়ে তার স্মরণে ভালো কিছু করার প্রতিজ্ঞা করেন রানার সতীর্থরা।
শুক্রবার সেই ‘ভালো’ আসে ৫ উইকেটের জয় হয়ে, এই জয় রানাকে উৎসর্গ করার ঘোষণা দিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিক।
খেলা শেষের পর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক আবার বললেন, ভারতের বোলিং টুর্নামেন্টের অন্য দুই দলের তুলনায় আহামরি কিছু নয়।
“আগেই বলেছিলাম, পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার তুলনায় ভারতের বোলিং তত ধারালো নয়। আমাদের ব্যাটসম্যানরা আজকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে তাদের কাজ আরো কঠিন করে তোলে,” বলেন তিনি।
‘বেনিফিট অব ডাউট’ সাকিবের পক্ষে না আসায় কিছুটা ক্ষোভও ঝরল অধিনায়কের কণ্ঠে। “আমি পরের ব্যাটসম্যান ছিলাম। আউটটা খুব ভালো করে দেখেছি। আমি যতটুকু জানি, বেনিফিট অব ডাউট ব্যাটসম্যানের পাওয়ার কথা। সাকিবের জায়গায় একজন বড় ব্যাটসম্যান থাকলে হয়ত তিনি সেটা পেতেন।”
সাবেক অধিনায়ক সাকিব এই খেলায় ৩১ বলে ৪৯ রান তুলে এদিন বাংলাদেশ দলের জয়ের পথটি সুপ্রশস্ত করে দেন। তিনি স্ট্যাম্পড হন।
সাকিবের বিদায়ের পর মাঠে নামার সময় বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল মুশফিককে। তখন কী চিন্তা ছিল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কী বলেন সমস্যা ছিল না! অনেক সমস্যা ছিল তখন। তবে দুই তিনটা বলে রান পাওয়ায় এবং অন্য প্রান্তে নাসির উইকেটে সেট ছিল বলে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছিলাম। জানতাম, আমরা যদি খেলাটা শেষ করে আসি, জয় পাওয়া কঠিন হবে না।”
“৪৬ তম ওভারে ৪ রান এলেও তা নিয়ে ভাবিনি। জানতাম এক ওভারে ১৫/২০ রান হলেই কাজ হয়ে যাবে। শেষ ওভারে ১০/১২ রান লাগলে করে ফেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ৪৭তম ওভারে অনেক (১৭) রান আসায় কাজটা সহজ হয়ে যায়,” যোগ করেন তিনি।
বোলার মাশরাফি বিন মর্তুজা ও আব্দুর রাজ্জাকের প্রশংসা করে অধিনায়ক মুশফিক বলেন, “উইকেটে বোলারদের জন্য কিছু ছিল না। তারপরও খুব ভালো বল করেছেন মাশরাফি ও রাজ্জাক ভাই, তারা আরো ২০ রান বেশি দিলে কাজটা অনেক কঠিন হয়ে যেত।”
“ভালো বোলিংয়ের কারণে শচীন টেন্ডুলকারের শতক দেরিতে হয়েছে। তার বিদায়ের পরও খুব বেশি রান করতে পারেনি ভারত। টেন্ডুলকারের ইতিহাস গড়ার দিতে হারাতে পেরে খুব ভালো লাগছে,” যোগ করেন তিনি।
শুক্রবারের হারের কারণে নয়, আরো দুই তিন বছর আগেই বাংলাদেশকে ভারতের তাদের দেশে খেলার আমন্ত্রণ জানানো দরকার ছিল বলে মনে করেন মুশফিক।
ভারতকে হারালেও এখনই ফাইনালের স্বপ্ন দেখতে রাজি নন মুশফিক। প্রতিটি খেলা নিয়ে আলাদাভাবে ভেবে এগোতে চান তিনি। তবে, ধরে রাখতে চান ধারাবাহিকতা।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা দেখে যারা ভেবেছিলেন বাংলাদেশ সেরা খেলা খেলেছে, তাদের আরো ধৈর্য ধরার পরমার্শ দেন মুশফিক।
মুশফিক না দেখলেও সাকিব কিন্তু ঠিকই ফাইনালের সম্ভাবনা দেখছেন। তিনি বলেন, “ফাইনালে খেলার বিশ্বাস সবারই থাকা উচিৎ। কেবল এই বিশ্বাস থেকেও অনেক কিছু করে ফেলা সম্ভব।”
আউটের সিদ্ধান্ত মাঠেই মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল সাকিবের। অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলেন আম্পায়ারের দিকে। সাজঘরে গিয়ে দেখেছেন ভিডিও ফুটেজ। জেতার পর এখন আর ওই সিদ্ধান্তকে ভুল বলছেন না তিনি।
তিনি বলেন, “জিতলে সবই সঠিক সিদ্ধান্ত! আউট হওয়ার পরও আমি চেয়েছিলাম সাজঘরের সবার মধ্যে জেতার আত্মবিশ্বাস অটুট থাকুক। জেতার এটা খুব দরকার ছিল।
“সম্পূর্ণ দলীয় প্রচেষ্টায় এই জয়। আজ (শুক্রবার) চার-পাঁচ জন পারফর্ম করেছে বলেই দল জিতেছে। এখন থেকে জেতার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তখনই সবার সমীহ আদায় করা যাবে।”
এশিয়া কাপের চতুর্থ খেলায় ভারতকে ৫ উইকেটে হারানোর পর নতুন করে শুরুর প্রত্যয় শোনা গেল অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং ম্যাচসেরা সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে।
২০০৭ সালের বিশ্বকাপের ঠিক আগে আগে ১৬ মার্চ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মানজারুল ইসলাম রানা। শোককে শক্তিকে পরিণত করে সেবার ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল
বাংলাদেশ।
এবার রানার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীর আগের রাতে টিম মিটিংয়ে তার স্মরণে ভালো কিছু করার প্রতিজ্ঞা করেন রানার সতীর্থরা।
শুক্রবার সেই ‘ভালো’ আসে ৫ উইকেটের জয় হয়ে, এই জয় রানাকে উৎসর্গ করার ঘোষণা দিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিক।
খেলা শেষের পর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক আবার বললেন, ভারতের বোলিং টুর্নামেন্টের অন্য দুই দলের তুলনায় আহামরি কিছু নয়।
“আগেই বলেছিলাম, পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার তুলনায় ভারতের বোলিং তত ধারালো নয়। আমাদের ব্যাটসম্যানরা আজকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে তাদের কাজ আরো কঠিন করে তোলে,” বলেন তিনি।
‘বেনিফিট অব ডাউট’ সাকিবের পক্ষে না আসায় কিছুটা ক্ষোভও ঝরল অধিনায়কের কণ্ঠে। “আমি পরের ব্যাটসম্যান ছিলাম। আউটটা খুব ভালো করে দেখেছি। আমি যতটুকু জানি, বেনিফিট অব ডাউট ব্যাটসম্যানের পাওয়ার কথা। সাকিবের জায়গায় একজন বড় ব্যাটসম্যান থাকলে হয়ত তিনি সেটা পেতেন।”
সাবেক অধিনায়ক সাকিব এই খেলায় ৩১ বলে ৪৯ রান তুলে এদিন বাংলাদেশ দলের জয়ের পথটি সুপ্রশস্ত করে দেন। তিনি স্ট্যাম্পড হন।
সাকিবের বিদায়ের পর মাঠে নামার সময় বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল মুশফিককে। তখন কী চিন্তা ছিল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কী বলেন সমস্যা ছিল না! অনেক সমস্যা ছিল তখন। তবে দুই তিনটা বলে রান পাওয়ায় এবং অন্য প্রান্তে নাসির উইকেটে সেট ছিল বলে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছিলাম। জানতাম, আমরা যদি খেলাটা শেষ করে আসি, জয় পাওয়া কঠিন হবে না।”
“৪৬ তম ওভারে ৪ রান এলেও তা নিয়ে ভাবিনি। জানতাম এক ওভারে ১৫/২০ রান হলেই কাজ হয়ে যাবে। শেষ ওভারে ১০/১২ রান লাগলে করে ফেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ৪৭তম ওভারে অনেক (১৭) রান আসায় কাজটা সহজ হয়ে যায়,” যোগ করেন তিনি।
বোলার মাশরাফি বিন মর্তুজা ও আব্দুর রাজ্জাকের প্রশংসা করে অধিনায়ক মুশফিক বলেন, “উইকেটে বোলারদের জন্য কিছু ছিল না। তারপরও খুব ভালো বল করেছেন মাশরাফি ও রাজ্জাক ভাই, তারা আরো ২০ রান বেশি দিলে কাজটা অনেক কঠিন হয়ে যেত।”
“ভালো বোলিংয়ের কারণে শচীন টেন্ডুলকারের শতক দেরিতে হয়েছে। তার বিদায়ের পরও খুব বেশি রান করতে পারেনি ভারত। টেন্ডুলকারের ইতিহাস গড়ার দিতে হারাতে পেরে খুব ভালো লাগছে,” যোগ করেন তিনি।
শুক্রবারের হারের কারণে নয়, আরো দুই তিন বছর আগেই বাংলাদেশকে ভারতের তাদের দেশে খেলার আমন্ত্রণ জানানো দরকার ছিল বলে মনে করেন মুশফিক।
ভারতকে হারালেও এখনই ফাইনালের স্বপ্ন দেখতে রাজি নন মুশফিক। প্রতিটি খেলা নিয়ে আলাদাভাবে ভেবে এগোতে চান তিনি। তবে, ধরে রাখতে চান ধারাবাহিকতা।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা দেখে যারা ভেবেছিলেন বাংলাদেশ সেরা খেলা খেলেছে, তাদের আরো ধৈর্য ধরার পরমার্শ দেন মুশফিক।
মুশফিক না দেখলেও সাকিব কিন্তু ঠিকই ফাইনালের সম্ভাবনা দেখছেন। তিনি বলেন, “ফাইনালে খেলার বিশ্বাস সবারই থাকা উচিৎ। কেবল এই বিশ্বাস থেকেও অনেক কিছু করে ফেলা সম্ভব।”
আউটের সিদ্ধান্ত মাঠেই মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল সাকিবের। অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলেন আম্পায়ারের দিকে। সাজঘরে গিয়ে দেখেছেন ভিডিও ফুটেজ। জেতার পর এখন আর ওই সিদ্ধান্তকে ভুল বলছেন না তিনি।
তিনি বলেন, “জিতলে সবই সঠিক সিদ্ধান্ত! আউট হওয়ার পরও আমি চেয়েছিলাম সাজঘরের সবার মধ্যে জেতার আত্মবিশ্বাস অটুট থাকুক। জেতার এটা খুব দরকার ছিল।
“সম্পূর্ণ দলীয় প্রচেষ্টায় এই জয়। আজ (শুক্রবার) চার-পাঁচ জন পারফর্ম করেছে বলেই দল জিতেছে। এখন থেকে জেতার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তখনই সবার সমীহ আদায় করা যাবে।”