শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১২

কক্সবাজারের প্রাচীনতম বৃহৎ দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র ॥ চাকমারকুল মাদরাসা ঐতিহ্য ও অবদান

॥ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর ॥ 
ঈমান-আক্বীদা সমুন্নত রাখা, ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুনের প্রচার-প্রসার, দ্বীনি জ্ঞান আহরন এবং আদর্শ নাগরিক সৃষ্টির জন্য মাদরাসা শিক্ষা ধারার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তাই ইসলামে নবদীতি মুসলমানদের তা’লীম, ইবাদত-বন্দেগী শিক্ষা দেওয়ার জন্য নবুওয়াতের ৫ম বছর রাসুলে কারীম (স.) সাফা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত আরকাম ইবনে আবুল আরকান মাকজামি (র.) এর ঘর তথা
দারুল আরকামকে দ্বীনি শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন। এটিই ইসলামের ইতিহাসে প্রথম মাদ্রাসা। স্বয়ং রাসুল (স.) ছিলেন এ মাদ্রাসার শিক্ষক আর হযরত আবু বকর ছিদ্দিক (র.), হযরত ওসমান (র.), হযরত আলী (র.) প্রমূখ সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন ছাত্র।
মসজিদে নববী সংলগ্ন যে আঙ্গিনা ছিল, ইতিহাসে তা ‘সুফফা’ নামে অভিহিত। সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে যারা এখানে অবস্থান করতেন, তাঁদেরকে ‘আসহাবে সুফফা’ বা সুফফাবাসী বলা হতো। তাঁদের শিক্ষা ও তা’লীমের জন্য রাসুল (স.) সুফফাকেও মাদ্রাসা রূপে গড়ে তুলেন। যা পৃথিবীর ইতিহাসে সর্ব প্রথম আবাসিক মাদ্রাসা। এখানেও শিক্ষক ছিলেন স্বয়ং রাসুল (স.)। সর্বাধিক হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (র.) সহ বিশিষ্ট সাহাবীগণ এ মাদ্রাসার অন্যতম শিক্ষার্থী।
এভাবে সূচিত হলো মাদ্রাসা শিক্ষা ধারার বিকাশ। ফলশ্র“তিতে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে গড়ে উঠে অসংখ্য দ্বীনি দরসগাহ (মাদরাসা)। যার অন্যতম বলিষ্ট সংযোজন ‘দারুল-উলুম দেওবন্দ’। এই দ্বীনি শিক্ষা কেন্দ্রই মূলত মাদ্রাসা শিক্ষার ইতিহাসে বিশ্বব্যাপী নবদিগন্ত উম্মোচন করেন।

দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা :
উপনিবেশবাদ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বলিষ্ট চেতনায় উজ্জীবিত এবং দ্বীনি চেতনায় উদ্দীপ্ত খোদাভীরু সালেহীন, জনগোষ্ঠী তৈরী, শিরক-বিদ্আতের মূলোৎপাটন, দ্বীনি ইলমের বিস্তার ইসলামী তাহযীব- তামাদ্দুনের সংরণ এবং বিশ্বনবী (স.) এর শাশ্বত আদর্শের ব্যাপক প্রচার-প্রসারের সু-মহান উদ্দেশ্যে স্বপ্নযোগে রাসূল (স.) এর নির্দেশে হুজ্জাতুল ইসলাম আল্লামা কাসেম নানুতবী (রহ.) এর নেতৃত্বে যুগশ্রেষ্ট বুযুর্গানে দ্বীনের হাতে দারুল উলূম দেওবন্দের ভিত্তি রচিত হয়। ১৫ মুহাররম ১২৮৩ হিজরি মোতাবেক ৩০মে ১৮৬৬ ইং, বৃহস্পতিবার ভারতের দেওবন্দ এলাকায় ছাত্তার প্রাচীন মসজিদের মুক্ত আঙ্গিনায় ছোট একটি ডালিম গাছের ছায়ায় নিতান্ত অনাড়ম্বরপূর্ণ ভাবে কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই দারুল উলুম দেওবন্দের সূচনা হয়। মোল্লা মাহমুদ দেওবন্দী ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম শিক্ষক এবং শায়খুল হিন্দ আল্লামা মাহমুদুল হাসান ছিলেন প্রথম ছাত্র। আল্লাহর কি অপর মহিমা। ডালিম গাছের নিচে মাত্র একজন শিক্ষক আর একজন ছাত্র নিয়ে প্রতিষ্ঠিত সেই দারুল উলুম দেওবন্দের অবদানে বিশ্বব্যাপী অজস্র বরণ্যে ওলামা-মাশায়িখ, মুহাদ্দিস, ফকিহ্, লেখক ও অন্যান্য বিষয়ে পারদর্শী প্রাজ্ঞ ব্যক্তি তৈরী হয়েছে এবং হচ্ছে। যারা দ্বীনেহকের পতাকাকে সমুন্নত রাখতে প্রাণান্তকর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন, নিষ্ঠার সাথে আঞ্জাম দিচ্ছেন দেশ ও মিল্লাতের গুরুত্বপূর্ণ খেদমত। শায়খুল হিন্দ আল্লামা মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী, আল্লামা হোছাইন আহমদ মাদানী (রহ.), আল্লামা আশরফ আলী থানভী (রহ.), আল্লামা আনোয়ার শাহ্ কাশ্মিরী (রহ.), দারুল উলূম দেওবন্দ নামক দ্বীনি বাগিচার প্রস্ফুটিত গোলাপ। বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার ক্ষেত্রে দারুল উলূম দেওবন্দ’ই উজ্জল মাইল ফলক। সরকারের মূখ্য সহযোগিতা ব্যতিরেখে মুসলিম জনসাধারণের সাহায্যে পরিচালিত হওয়ায় এসকল দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কওমী মাদরাসা (জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) বলা হয়। ধর্মীয় মূল্যবোধ, মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, শান্তি-শৃঙ্খলা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এসব মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বদ্ধপরিকর। ইসলামের প্রচার-প্রসার মুসলিম উম্মাহ্র চিন্তা-চেতনা পরিশুদ্ধকরণ, নিররতাদূরীকরণ, সমাজসেবা, নৈতিক আবহ সৃষ্টি, দেশপ্রেমিক ও আদর্শবান জনগোষ্ঠী তৈরীতে এ মাদরাসাগুলোর অবদান সর্বজনবিদিত।
কক্সবাজার জেলার ঐতিহ্যবাহী ও প্রচীনতম সর্ববৃহৎ দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র জামিয়া দারুল উলুম চাকমারকুল তেমনই উজ্জল স্বারবাহী একটি প্রতিষ্ঠান।

চাকমারকুল মাদরাসা প্রতিষ্ঠা :
ইসলামী শিক্ষা-সংস্কৃতির বিকাশ এবং সুন্নাতে নববী (স.) এর আলোয় সমাজকে উদ্ভাসিত করার মহান ব্রত নিয়ে শায়খুল হাদীস হযরত সৈয়দ আহমদ রহ. হাটহাজারীর মাওলানা আব্দুল ওয়াহহাব রহ. পটিয়ার মুফতি আজিজুল হক (রহ.) সহ খ্যাতিমান বুযুর্গ মনীষীদের নির্দেশ ও অনুপ্রেরণায় কক্সবাজার জেলাধীন রামু থানার চাকমারকুল ইউনিয়নে ১৯৪৬ইং মুতাবিক ১৩৬৬ হিজরী সনে মাওলানা ফয়জুল্লাহ (রহ.), মাওলানা খলীল আহমদ (রহ.), মাওলানা রশিদ আহমদ (রহ.), মাওলানা হাসান (রহ.) প্রমূখ মনীষীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দারুল উলুম চাকমারকুল মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। এক্ষেত্রে স্থানীয় মুরব্বী মুহাম্মদ আলী সিকদার, হাজী গোলাম কাদেরসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নিষ্ঠাপূর্ণ সহযোগিতা প্রশংসনীয়।

যাদের পরিচালনায় ধন্য :
মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার পর প্রথম পরিচালক হিসেবে মনোনীত হন প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ফয়জুল্লাহ (রহ.)। এ সময় সহকারী পরিচালক ছিলেন মাওলানা খলীল আহমদ (রহ.)। আল্লাহর রহমতে তাঁদের আন্তরিকতা ও ইখলাসের বদৌলতে সল্প সময়ের মধ্যে মাদরাসাটির অগ্রযাত্রা তরান্বিত হয়ে জামাতে উলা পর্যন্ত উন্নীত হয়। মাওলানা সৈয়দ আহমদ (রহ.) ছিলেন এ মাদরাসার দ্বিতীয় পরিচালক। এসময় সহকারী পরিচালক ছিলেন মাওলানা নুরুল হক (রহ.)। হযরত মাওলানা সৈয়দ আহমদ (রহ.) এর ইন্তেকালের পর পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন মাওলানা সুলাইমান (রহ.)। তারই সুদ পরিচালনায় ১৯৮৩ইং মুতাবিক ১৪০৩ হিজরীতে মাদরাসাটি দাওরায়ে হাদীস (কামিল) কাসে উন্নীত হয়। সেই সাথে তিনি ক্বিরাত ফতওয়া ও ইসলামী গবেষণা, পাঠাগার, উচ্চতর আরবী, হস্তলিপি প্রভৃতি বিষয়ে পৃথক পৃথক বিভাগ এবং স্বতন্ত্র এতিমখানা চালু করেন। ১৯৯৬ইং মোতাবেক ১৪১৬ হিজরী সনে হযরত মাওলানা সুলাইমান (রহ.) এর ইন্তেকালের পর মাওলানা শাহ আখতার কামাল (রহ.) পরিচালক হিসেবে মনোনীত হন। এসময় নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব অর্পিত হয় মাওলানা মুহাম্মদ শফী (রহ.) এর উপর, আর সহকারী পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন মাওলানা এবাদুল্লাহ সাহেব। প্রসঙ্গত নির্বাহী পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ শফী (রহ.) অসুস্থ হওয়ায় ১৫ মার্চ, ২০১০ইং মুতাবিক ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৩১ হিজরীতে মজলিসে শুরা কর্তৃক মাওলানা এবাদুল্লাহ সাহেবকে নির্বাহী পরিচালক এবং মাওলানা শফী রহ. কে ছদরে মুহতামিম হিসেবে মনোনীত করা হয়।
    গত ১৩ অক্টোবর ২০১০ইং এ মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও পরিচালক আল্লামা শাহ আখতার কামাল রহ. এবং ২৪ এপ্রিল ২০১১ ইং তারিখে ছদরে মুহতামিম আল্লামা মুহাম্মদ শফী (রহ.) ইন্তেকাল করেন। তাই বর্তমানে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা এবাদুল্লাহ সাহেব এবং শায়খুল হাদীস হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন মাওলানা জাকের আহমদ। তদুপরি প্রধান শিক্ষা পরিচালক হিসেবে মাওলানা ছৈয়দ আকবর সাহেব, নির্বাহী শিক্ষা পরিচালক পদে মাওলানা মোহাম্মদ হারুন ক্বদিম সাহেব, শিক্ষা উপ-পরিচালক হিসেবে মাওলানা মুফতী কামাল হোছাইন সাহেব এবং সহকারী শিক্ষা পরিচালক হিসেবে মাওলানা হারুন জদীদ সাহেব দায়িত্ব পালন করছেন।     বর্তমানে এ মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৪০জন। শিক্ষার্থী সংখ্যা এক হাজারেরও অধিক।

পাঠ্য বিষয়সমূহ :
এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক থেকে দাওরায়ে হাদিস (কামিল) পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এখানে তাফসীর, হাদিস, ফিকহ্, আকাইদ, সীরাত, বালাগাত, মূলনীতি, আরবী, বাংলা, ইংরেজী, গণিত, ভূগোল, ইতিহাস, সমাজ বিজ্ঞান, দর্শন, তর্কশাস্ত্র, ফরায়েজ (উত্তরাধিকার আইন) সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদির উপর অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পাঠদান করা হয়।

বিভাগ সমূহ :
এই শিক্ষ প্রতিষ্ঠানে যেসব বিভাগ রয়েছে তৎমধ্যে প্রশাসনিক বিভাগ, নূরাণী বিভাগ, হিফ্জ ও নাজেরা বিভাগ, তাজবীদ ও ক্বেরাত বিভাগ, ফতওয়া ও গবেষণা বিভাগ, আরবী ও বাংলা বিভাগ, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও তর্ক বিভাগ, দাওয়াত ও তাবলীগ বিভাগ, কম্পিউটার বিভাগ অন্যতম। তাছাড়া রয়েছে শিক্ষার্থীদের সাহিত্য প্রতিভার বিকাশে সময়োপযোগী দেয়ালিকা প্রকাশনা।

আয়ের উৎস :
প্রাচীনতম এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে সরকারী বা বেসরকারী ভাবে স্থায়ী কোন আয়ের উৎস্য নেই। কেবলমাত্র আল্লাহপাকের বিশেষ রহমত ও জনগণের ঐকান্তিক সহায়তা আয়ের প্রধান উৎস। এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীগণ উপযুক্ত বেতন ছাড়াই দ্বীনের খেদমতে নিয়োজিত। এটিই ইসলামের আদর্শ।

তহবিল সমূহ :

জামেয়ার তিনটি ফান্ড রয়েছে- ১. চাঁদা ফান্ড, এ ফান্ড থেকে শিক্ষক-কর্মচারীগণের বেতন ভাতা, নির্মাণ ও সংস্কার ইত্যাদির ব্যয়ভার বহন করা হয়। ২. ছদকা ফান্ড, এ ফান্ড থেকে এতিম গরীব ছাত্রদের ব্যয়ভার বহন করা হয়। ৩. মসজিদ ফান্ড, এ ফান্ড থেকে ইমাম, মোয়াজ্জিনের বেতন এবং মসজিদের সংস্কারের ব্যয়ভার বহন করা হয়।

অবদান :
এ দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আল্লাহর একত্ববাদ ও সুন্নাতে রাসূলের বাস্তবায়ন, শিরক-বিদআত দূরীকরণ এবং খোদাভীরু আদর্শ নাগরিক গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ফলে এ প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ অনেক ছাত্র, বরেণ্য আলিম, মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাস্সির, হাফেজ, ক্বারী, ইমাম, মোয়াজ্জিন, কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, লেখক, গবেষক, মুবাল্লিগ হিসেবে দেশ ও মিল্লাতের গুরুত্বপূর্ণ খেদমত আঞ্জাম দিচ্ছেন। তৎমধ্যে জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়ার উপাধ্য আল্লামা মোহাম্মদ ফুরকানুল্লাহ খলিল, নেজামে ইসলাম পার্টির মরহুম কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা নুরুল হক আরমান (রহ.), জোয়ারিয়ানালা মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আবু বকর, মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল্লাহ, চাকমারকুল মাদরাসার বর্তমান পরিচালক মাওলানা এবাদুল্লাহ, প্রধান শিক্ষা পরিচালক মাওলানা ছৈয়দ আকবর, হাশেমিয়া কামিল মাদরাসার উপাধ্য মাওলানা আজিজুল হক, জেলা ইসলামী ঐকজোট সভাপতি মাওলানা হাফেজ ছালামতুল্লাহ, দৈনিক ইনকিলাবের কক্সবাজার আঞ্চলিক অফিস প্রধান ও দৈনিক হিমছড়ির সম্পাদক শামশুল হক শারেক, জোয়ারিয়ানালা মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা হাফেজ আব্দুল হক, রাজারকুল আসমা ছিদ্দিকা মাদরাসার ছদরে মুহতামিম মাওলানা আইয়ুব আনছারী, প্রবীণ আলেম মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ, চাকমারকুল মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি কামাল হোছাইন, শিক্ষক মুফতি ফিরোজ আহমদ, লিংক রোড উম্মে হাবিবা বালিকা দাখিল মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আ.হ.ম নুরুল কবির হিলালী, মেরংলোয়া রহমানিয়া মাদরাসার সুপার মাওলানা আমান উল্লাহ, রামু মাজহারুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ হারুন প্রমূখ উল্লেখযোগ্য।

পরিকল্পনা সমূহ :
এখানে সম্প্রতি অনন্য স্থাপত্যশৈলীতে নতুন হিফ্জ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বাকী পরিকল্পনাসমূহের মধ্যে রয়েছে মসজিদের দ্বিতল ভবন নির্মাণ, নূরাণী ভবন নির্মাণ, ছাত্রাবাস সম্প্রসারণ, পুরাতন ভবন সমূহের মেরামত ও সংস্কার, সীমানা প্রাচীর ও শাহী গেইট নির্মাণ ইত্যাদি। এসব মহৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্বীন দরদী জনসাধারণের আন্তরিক দোয়া ও সহযোগিতা প্রয়োজন। আল্লাহ পাক দ্বীনে হকের আলোকবর্তিকা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কবুল করুন। আমিন!
লেখক : যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার ইসলামী সাহিত্য ও গবেষণা পরিষদ।
তথ্যসূত্র : ১। দারুল উলুম দেওবন্দের ইতিহাস- ১ম ও ২য় খণ্ড, সায়িদ মাহাবুব রিজভী।
২। কওমী মাদরাসা- ইতিহাসের ধাপে ধাপে।
৩। চাকমারকুল মাদরাসার ইতিহাস, ঐতিহ্য, অবদান- মুফতি কামাল হোছাইন।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...