শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১২

টেকনাফে ৬২ হাজার ইয়াবা গায়েব! জড়িত পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি

॥ রামু নিউজ ডেস্ক ॥  
টেকনাফে অভিযান চালিয়ে জব্দ করা ১ কোটি ৪ লাখ টাকা মূল্যের ৬২ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট গায়েব করে ফেলা হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই আলোচিত অভিযানের গায়েব করা ইয়াবা ট্যাবলেট হজম করতে ইতোমধ্যেই কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীর নামে একশ্রেণীর
লোক ভাগবাটোয়ারায় মেতে উঠেছেন। গত কয়েকদিন ধরে টেকনাফে এঘটনার জোর আলোচনা চলছে।
জানা গেছে, গত ১৫ মার্চ ভোর রাতে টেকনাফ থানা পুলিশের এস আই বিল্লাল হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একদল পুলিশ নিয়ে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড় হাবির পাড়ার মৃত নবী হোছনের বাড়ীতে অভিযান চালায়। সেখানে তল্লাশী চালিয়ে লুঙ্গি পেছানো অবস্থায় ৬৪ হাজার ইয়াবাসহ বাড়ির গৃহকর্তা সোনা আলী (৪৮) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। অভিযানের সময় পাশ্ববর্তী বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। এসময় পুলিশের অভিযান দেখে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। কিন্তু থানা পুলিশ এ ঘটনায় মাত্র দুই হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ অভিযুক্ত আসামীকে আদালতে প্রেরণ করেন। ফলে এ ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবার বিশাল একটি পোটলা সহ সোনা আলীকে ধরে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে একটি মহল বাড়ির মালিকের স্ত্রীকে ইয়াবা ট্যাবলেটের সঠিক পরিমাণ প্রকাশ না করার জন্য হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এছাড়া ইয়াবার সংখ্যা কমিয়ে দুই হাজার ট্যাবলেট বললেই তাড়াতাড়ি ছাড়া পাওয়া যাবে বলে তাকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে। এমনকি একজন জনপ্রতিনিধি পুলিশকে দুই হাজার ইয়াবা জব্দের কথা বলা হয়েছে কিনা জানতে চান। ওই সময় ওই জনপ্রতিনিধিকে বিচলিত দেখা যায়। এতে এসব লোকজনের কথায় সোনা আলীর স্ত্রী দুইটি পোটলায় ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। কিন্তু এতে কি পরিমান ট্যাবলেট ছিল তিনি তা জানাচ্ছেন না। এলাকাবাসী মনে করেন, ধৃত আসামীকে রিমান্ডে এনে পুলিশ সুপার সরাসরি কথা বললেই আসল রহস্য বের হয়ে আসবে।
এলাকাবাসী আরো জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ওই দিন বিকাল ৪টায় স্থানীয় সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিনকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় পুলিশ সুপার সরাসরি স্থানীয় লোকজন ও গৃহকর্ত্রীর কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনা জানতে চান। এ সময় সোনা আলীর স্ত্রী দুই পোটলা ভর্তি ইয়াবা ঐদিন সন্ধ্যায় এক জন বর্মী লোক সোনা আলীকে দিয়ে চলে যায় বলে স্বীকার করেন। পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সাথে সাথেই ৫/৬ টি মোটর সাইকেল বেস্টিত অবস্থায় ঘটনাস্থলে যান সরকার দলীয় একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি। একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই চালানে ৬৪ হাজার ইয়াবা ছিলো। কিন্তু পুলিশ মাত্র ২ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার দেখানোর ফলে আরো ৬২ হাজার ইয়াবা কোথায় গেলো এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রটি দাবী করেছে, গায়েব হয়ে যাওয়া ৬২ হাজার ইয়াবার মধ্যে ২১ হাজার ইয়াবা হলো ‘আর-৭’। যার আনুমানিক মূল্য ৬৩ লাখ টাকা। বাকী ৪১ হাজার ইয়াবা হলো ‘চম্পা’। যার মূল্য ৪১ লাখ টাকা। সূত্রটি আরো দাবী করে যে, সরকার দলীয় একজন জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে পুলিশসহ একটি সিন্ডিকেট ৬২ হাজার ইয়াবা হজম করে ফেলেছেন। এটি জায়েজ করতে এখনো মোটা অংকের টাকার মিশন নিয়ে দৌড়ঝাঁপ চলছে। এ ঘটনা নিয়ে বর্তমানে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযানে নেতৃত্বদানকারী টেকনাফ থানা পুলিশের এস আই বিল্লাল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ইয়াবা সহ সোনা আলীকে আটকের পর এস পি স্যার ও এম পি সাহেব ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনা তদন্ত করেছেন। ৬২ হাজার ইয়াবা গায়েব করে দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব আমিও শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু এসব কিছুই তাকে বিপদে ফেলার জন্য ‘রিউমার’ ছড়াচ্ছে বলে দাবী করেন তিনি।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...